কুণাল ঘোষ

Kunal Ghosh TMC: ‘আমি কেন এখনও তৃণমূলের হয়ে বলছি…?’ এবার আসল ‘কারণ’ বলে দিলেন কুণাল ঘোষ!

কলকাতা: আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর থেকে বারবারই নতুন নতুন মন্তব্য করে সংবাদ শিরোনামে তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ। এই নিয়ে দলের ভিতরে বাইরে সমালোচনা ও কটাক্ষেরও সম্মুখীন হতে হচ্ছে বার বার। এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন কুণাল। তিনি কেন এখনও তৃণমূলের হয়ে কথা বলছে তার কারণ নিজেই স্পষ্ট করলেন।

কুণাল ঘোষ শুক্রবার বলেন, “আমি কেন এখনও তৃণমূলের হয়ে বলছি, অনেকে প্রশ্ন করছেন। সমালোচিতও হচ্ছি বিস্তর। আমি তৃণমূলের হয়ে বলছি, কারণ আমি তৃণমূলের সৈনিক। আমি আরজি করের ঘটনা ডিফেন্ড করছি না। প্রথম পোস্ট আমার ছিল, দোষীদের শাস্তি চাই। এখনও একই কথা, দোষীদের শাস্তি। যে বা যারা আড়াল করছে, তাদের শাস্তি। প্রশাসনের যে যে পদক্ষেপকে মানুষ ভুল বলেছেন, আমি একটা দল করেও সেই ভুল প্রকাশ্যে বলেছি। নাগরিক আন্দোলনের আমি সমর্থক। কিন্তু যাদের জমানায় এই ধর্ষণ, খুন বারবার ঘটেছে বা ঘটে, সেইসব রাজনৈতিক শক্তির মুখোশ পরা ইভেন্টের আমি বিরোধী।”

আরও পড়ুন: সাগরে ফুঁসছে নিম্নচাপ…! আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ার বিরাট সতর্কতা দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে! কী হবে কলকাতায়? জানিয়ে দিল আইএমডি

একইসঙ্গে কুণাল যোগ করেন, “আজকের মিডিয়া, সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে ঠিক/ভুল/বিকৃত/ অভিমুখকৃত কথা ছড়িয়ে দেওয়া সহজ। তাতে অনেক মানুষ একসঙ্গে আমাকে ভুল বুঝতে পারেন, কিন্তু আমার কাছে আমি পরিষ্কার এবং স্পষ্ট অবস্থানে দাঁড়িয়ে। এই সময়ে ব্যক্তিগত রাগ মেটাতেও অক্ষম ঈর্ষার কিছু আক্রমণ আসে, সেসব হয়েই থাকে। আমি তৃণমূলের সৈনিক। দলের কিছু ব্যক্তির প্রতি আমার কিছু অভিমান, অভিযোগ থাকলেও আমি আনুগত্যের প্রমাণ দিয়েছি। দলের বিরুদ্ধে এখন সম্মিলিত বিপক্ষ শক্তির আক্রমণ; কিছু পদক্ষেপের কারণে নাগরিকদের স্বাভাবিক বিরক্তি, ক্ষোভ। এই সময় আমি দলের পক্ষে সৈনিকের ভূমিকা পালনই কর্তব্য বলে মনে করছি। দলের মধ্যেই ভুল সংশোধনের প্রক্রিয়া চলছে, এখনও তাতে আস্থা রাখি। মমতাদির নেতৃত্বে, অভিষেকের সেনাপতিত্বে আমি এবং আমার মত আরও সৈনিকরা সাধ্যমত লড়ছে।”

এরপরে তৃণমূল নেতার মন্তব্য, “আবার বলি, আরজি করের দোষী/রা, মদতদাতারা শাস্তি পাক। দুর্নীতিচক্র ভেঙে যাক। নাগরিক সমাজের আন্দোলনে সমর্থন আছে। কিন্তু কিছু রাজনৈতিক দলের অরাজনৈতিক মুখোশে অরাজকতা তৈরির চেষ্টার বিরোধিতা করব। কারণ, একবার অরাজকতা লাগামছাড়া হলে সেটা হবে বাংলার সুদূরপ্রসারী ক্ষতি।