খেলা শরীরে ট্যাটু করাবেন না কোনওদিন! জীবনে এত বড় সিদ্ধান্ত কেন রোনাল্ডোর, রয়েছে বড় কারণ Gallery September 8, 2024 Bangla Digital Desk তারকা ফুটবলার কিন্তু শরীরে ট্যাটু নেই— ফুটবল বিশ্বে এখন এমন দৃশ্য বিরল। তবে পর্তুগিজ ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো কথা রেখেছে। ডেভিড বেকহ্যাম থেকে লিওনেল মেসি কিংবা হালের নেইমার—সবার শরীর ভর্তি ট্যাটু থাকলেও স্রোতের বিপরীতে জার্সি নম্বর সেভেন। শরীরে ট্যাটুর অস্তিত্ব নেই তাঁর। কিন্তু রোনাল্ডো গায়ে কেন ট্যাটু করান না জানেন? ইংলিশ কিংবদন্তি ডেভিড বেকহামের বিদায়ের পর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ঐতিহ্যবাহী সাত নম্বর জার্সি গায়ে জড়ান ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। ইউনাইটেডের জার্সিতে শুরু থেকেই নিজেকে মেলে ধরতে শুরু করেন পর্তুগিজ তারকা। ধীরে ধীরে তিনি পরিণত হন সুপারস্টারে। বর্তমান প্রজন্মের স্টাইল আইকন রোনাল্ডো প্রায় সবক্ষেত্রেই নিজের স্বকীয়তা দেখিয়েছেন। চুলের স্টাইল থেকে শুরু করে জামাকাপড়, সব কিছুতেই নিজস্বতা ধরে রেখেছেন তিনি। তবে এই প্রজন্মের স্টাইল আইকন হয়েও তাঁর শরীরে কোনও ট্যাটু নেই। সমসাময়িক প্রায় সব বড় তারকা–লিওনেল মেসি, নেইমার কিংবা ইব্রাহিমোভিচ, সবাই যেখানে মজেছেন ট্যাটুর প্রেমে, সেখানে রেনাল্ডোর শরীরে একটি ট্যাটুও দেখা যায় না। ২০১২ সালে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম দিরেত্তাকে রোানল্ডো বলেছিলেন, I don’t have tattoos because I donate blood very often। অর্থাৎ, তিনি নিয়মিত রক্তদান করেন, যে কারণে শরীরে ট্যাটু আঁকান না। স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, রোনাল্ডোর বয়স যখন মাত্র ১৪, তখন তাঁর হার্ট সার্জারি হয়েছিল। তখন থেকে তাঁর মনে গেঁথে যায়, হাসপাতালগুলোতে রক্তের কতটা দরকার! এর পর থেকেই রক্তদানে অনুপ্রাণিত হন এবং শরীর কখনও ট্যাটুর ছুঁচ পড়তে দেননি। কারণ, শরীরে ট্যাটু করার পর ১ বছর রক্তদান করা যায় না। ২৪ বছর বয়স থেকেই রোনাল্ডো নিয়মিত রক্তদাতা হয়ে ওঠেন৷ প্রথমে তাঁর জাতীয় দলের সতীর্থ কার্লোস মার্টিন্সের সন্তানকে রক্ত দেন তিনি৷ এর পর থেকেই বছরে অন্তত দুবার করে রক্তদান করেন তিনি। বিশ্বব্যাপী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রেড ক্রস ট্যাটু করার পর অন্তত ১২ মাস রক্ত দিতে বারণ করে থাকে। তবে ব্রিটেনের প্রতিষ্ঠানগুলো অবশ্য অত দীর্ঘ সময়ের কথা বলেনি। তারা ট্যাটু করানোর পর রক্ত দেওয়ার ক্ষেত্রে কমপক্ষে চার মাস অপেক্ষা করতে বলে থাকে। শুধু রক্তই নয়, পর্তুগিজ মহাতারকা রক্তের প্লাজমাও দান করেন মাঝে মাঝেই। ২০১৭ সালে ‘বি দ্য ওয়ান’ নামে একটি রক্ত ও প্লাজমা দাতা প্রতিষ্ঠানের প্রচারের নেমেছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের প্রাক্তন এই তারকা।