পাঁচমিশালি IC814: ৭০টির বেশি দেশের নোট ছাপা হত এই সুইস ব্যবসায়ীর কোম্পানিতে, ছিলেন আইসি ৮১৪ বিমানে, হাইজ্যাকাররা বুঝতেও পারেনি Gallery September 11, 2024 Bangla Digital Desk নেটফ্লিক্সে সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ‘আইসি ৮১৪: দ্য কান্দাহার হাইজ্যাক’ ওয়েব সিরিজ। তারপর থেকেই ঘটনার খুঁটিনাটি বিষয়ে জনসাধারণের কৌতূহল তুঙ্গে। ১৯৯৯ সালে কাঠমান্ডু থেকে দিল্লিগামী বিমান হাইজ্যাক করেছিল জঙ্গিরা। সেই সত্য ঘটনার উপর ভিত্তি করেই তৈরি হয়েছে এই সিরিজ। ওয়েব সিরিজের বেশ কিছু ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। নতুন করে উঠে আসছে অনেক তথ্যও। সম্প্রতি জানা গিয়েছে, বিমানের ১৭৬ জন যাত্রীর মধ্যে এক ধনী বিদেশি ব্যবসায়ীও ছিলেন। হাইজ্যাকাররা তো বটেই, সাধারণ যাত্রীরাও জানতেন না তাঁর আসল পরিচয়। ওই যাত্রী আর কেউ নন, সুইস-ইতালিয় ব্যবসায়ী রবার্তো জিওরি। ‘টাইম’ ম্যাগাজিনের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেই সময় সুইজারল্যান্ডের অন্যতম ধনী ব্যবসায়ী ছিলেন তিনি। কোম্পানি ‘দে লা রু’-এর মালিক। বিশ্বের নোট ছাপানোর ব্যবসার ৯০ শতাংশ ছিল তাঁর দখলে। পৃথিবীর ৭০টিরও বেশি দেশের নোট ছাপাত রবার্তো জিওরির কোম্পানি। দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাঠমান্ডুতে ছুটি কাটিয়ে বান্ধবী ক্রিস্টিনা ক্যালাব্রেসিকে দিল্লিগামী আইসি ৮১৪ বিমানে উঠেছিলেন রবার্তো জিওরি। বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম এও দাবি করেছে যে জিওরির থাকার কারণে হাইজ্যাকারদের দাবি মেনে নেওয়ার জন্য ভারতের উপর আন্তর্জাতিক চাপও ছিল। রিপোর্ট অনুযায়ী, ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের আইসি ৮১৪ বিমানকে ৮ দিন হাইজ্যাক করে রেখেছিল জঙ্গিরা। আটক যাত্রীদের মুক্তির জন্য ভারত সরকারের কাছে ২০০ মিলিয়ন ডলার এবং কয়েকজন জঙ্গিকে ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছিল। এদের মধ্যে মাসুদ আজহার অন্যতম। হাইজ্যাকারদের দাবি মেনে নিতে বাধ্য হয় ভারত সরকার। জঙ্গি আহমেদ ওমর সাইদ শেখ, মুসতাক আহমেদ এবং মাসুদ আজহারকে মুক্তি দেওয়া হয়। এই মাসুদ আহজারই পরবর্তীকালে জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদ তৈরি করে।