জুনিয়র চিকিৎসকদের অনড় মনোভাবে প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর৷

Mamata Banerjee on junior doctors: ‘এত জেদ কেন, যা বলবে মানতে হবে?’, জুনিয়র চিকিৎসকদের অনড় মনোভাবে প্রশ্ন মমতার

কলকাতা: জুনিয়র চিকিৎসকদের দেওয়া শর্ত মেনে আলোচনায় রাজি হয়নি রাজ্য সরকার৷ যদিও নবান্ন সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের বেঁধে দেওয়া শর্ত মানতে রাজি না হলেও এখনও জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রতি নমনীয় মনোভাব দেখানোরই পক্ষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

সূত্রের খবর, এ দিন শিল্প সংক্রান্ত বৈঠকের শেষে জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন নিয়ে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব, মুখ্যসচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং কয়েকজন সিনিয়র মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সেই বৈঠকেই রাজ্যের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে জুনিয়র চিকিৎসকরা আলোচনায় বসার জন্য যে যে শর্ত চাপিয়েছেন, তা জানানো হয় মুখ্যমন্ত্রীকে৷ সূত্রের খবর, সব শুনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,  ‘ওরা কেন এত জেদ করছে? ওরা যা বলবে সব মানতে হবে? আমি তো ওদের জন্য সব সময় সময় দিতে রাজি। সুপ্রিম কোর্টের অর্ডার তো সবাইকে মানতে হবে। ওদেরকে আরও একবার বোঝাও।’

আরও পড়ুন: ‘পিছনে রাজনীতির খেলা’, জুনিয়র চিকিৎসকদের নিশানা করলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা

জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হয়ে আসা সরকারকে কেউ বলতে পারে না কোন অফিসার থাকবে আর কোন অফিসার থাকবে না। খোলা মনে আলোচনা করতে গেলে কোন শর্ত দিয়ে হয় না। এইভাবে কোনও আলোচনার পরিসর তৈরি হয় না।’

মুখ্যমন্ত্রীর এই বৈঠকের পরই এ দিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার এবং রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য৷ সেই বৈঠক থেকেই স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, আগে থেকে চাপানো কোনও শর্ত মেনে জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে না রাজ্য সরকার৷

মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ মেনে রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা শুরুর জন্য নতুন করে কোনও বার্তা দেওয়া হয় কি না, সেটাই এখন দেখার৷ প্রসঙ্গত, গতকালও চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা করতে মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে অপেক্ষা করেছিলেন বলে জানিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য৷ শুধু তাই নয়, আরজি কর ইস্যুতে তিনি ছাড়া অন্য কোনও মন্ত্রীকে মন্তব্য করতেও নিষেধ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷