ঘরে ঘরে ডায়াবেটিসের রোগী। প্রতিদিন মুঠো মুঠো ওষুধ খেতে হয়। তবেই রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। কিন্তু প্রাকৃতিক পদ্ধতিতেও যে ডায়াবেটিসের মোকাবিলা করা যায়, জানেন না অনেকেই।গুরমার শব্দটি এসেছে হিন্দি ‘গুড়’ মানে মিষ্টি এবং ‘মার’ মানে বাদ দেওয়া থেকে। যা এই উদ্ভিদের মিষ্টি দূর করার ক্ষমতাকে বোঝায়। শরীরের জন্য ব্যাপক উপকারী। ডায়াবেটিস তো বটেই, অনেক রোগ নিরাময়েই এই উদ্ভিদ ব্যবহার করার চল রয়েছে।গুরমারের নির্যাসে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা রয়েছে। টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী। এছাড়া হজমের সমস্যা, অন্ত্রে ব্যাকটেরিয়ার অতিরিক্ত বৃদ্ধি এবং ত্বকের সংক্রমণ কমাতেও গুরমার ব্যবহার করা হয়। আয়ুর্বেদ এবং ইউনানিতে গুরমারের পাতা, কাণ্ড এবং শিকড় ওষুধ হিসাবে ব্যবহৃত হয়। আর অ্যালোপ্যাথি ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয় এর পাতা। সাধারণত গুঁড়ো এবং ক্যাপসুলের আকারে রোগীকে দেওয়া হয় গুরমার। এর নির্যাস চায়ে মিশিয়ে খাওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়। বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় প্রাকৃতিক বিকল্প হিসাবেও গুরমার ব্যবহারের চল রয়েছে। নিয়মিত সেবনে স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।কেন্দ্রীয় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. রাজেন্দ্র প্রসাদ এবং পুসার মেডিসিনাল প্ল্যান্টের ইনচার্জ ড. দীনেশ রায় বলেন, গুরমার গাছকে অনেকে মধুনাশিনীও বলেন। আয়ুর্বেদে এর গুরুত্ব অপরিসীম। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য মহৌষধ। গুরমারের গুঁড়ো এবং পাতা শুধু ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় নয়, অন্ত্র, হজম, ত্বকের রোগের ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হয়। গুরমার শরীরে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এটাই তার প্রধান কাজ। যাঁরা প্রাকৃতিক ওষুধের মাধ্যমে শরীরের যত্ন এবং রোগ নিরাময় করতে চান, তাঁদের জন্য গুরমার আশীর্বাদস্বরূপ। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ীই এর ব্যবহার করা উচিত, নাহলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
