মাত্র ৪৮ বছর বয়সে ঘুমের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা বিকাশ শেঠির। তারপর থেকেই ঘুরেফিরে উঠছে একটাই প্রশ্ন। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে কেন হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে?বিকাশের স্ত্রী জাহ্নবী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বিকাশ নিয়মিত জিমে যেতেন। তবে মৃত্যুর কয়েকদিন আগে থেকে মারাত্মক বদহজমে ভুগছিলেন। বমি এবং পেট খারাপ হয়েছিল। তাহলে কী বদহজমের সঙ্গে হার্ট অ্যাটাকের কোনও যোগসূত্র রয়েছে?পিটিআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জাহ্নবী বলেছেন, “বিকাশকে নিয়ে নাসিকে বাপের বাড়ি গিয়েছিলাম। পৌঁছনোর পর থেকেই বমি আর লুজ মোশন শুরু হয়। বিকাশ হাসপাতালে ভর্তি হতে রাজি হননি। বাড়িতেই ডাক্তার ডাকা হয়। রবিবার সকাল ৬ টা নাগাদ ডাকতে গিয়ে দেখি কোনও সাড়াশব্দ নেই। চিকিৎসকরা বলেন, ঘুমের মধ্যেই হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে।’’মাথা ঘোরা, বুকে ব্যথা ইত্যাদি হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। অম্বল বা অ্যাসিডিটি হলে ধরে নেওয়া হয় বদহজম হয়েছে। এর সঙ্গে হার্ট অ্যাটাকের যোগসূত্র থাকতে পারে বলে মনে করেন না অনেকেই। হায়দরাবাদের অ্যাপেলো হাসপাতালের কনসালস্ট্যান্ট নিউরোলজিস্ট ডাঃ সুধীর কুমার বলেন, “বুকে ব্যথা হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ ঠিকই। তবে ৮-৩৩ শতাংশ ক্ষেত্রে বুকে ব্যথা নাও হতে পারে।’’ হৃদপিণ্ডে রক্তের প্রবাহ ব্যহত হলে শরীরে চাপ তৈরি হয়। এর প্রভাব পড়ে হজমে। তখন ডায়ারিয়া বা বমির মতো লক্ষণ দেখা দেয়। এমনটাই বলছেন ডঃ সুধীর কুমার। তাঁর কথায়, “ধূমপানের অভ্যাস থাকলে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং উচ্চ কোলেস্টেরলের ঝুঁকি থাকে। এগুলোও হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম কারণ।’’২০১৬ সালে আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের সার্কুলেশন জার্নালে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সিস্টেম এবং লিভারের সমস্যা থেকেও হৃদযন্ত্রের সমস্যা হতে পারে বলে জানানো হয়েছিল। বলা হয়েছিল, “হৃদযন্ত্রের চিকিৎসায় গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সিস্টেম এবং লিভারের সমস্যাকেও সমান গুরুত্ব দেওয়া উচিত। সামান্য একটা রক্ত পরীক্ষা এবং ইসিজি থেকে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি রয়েছে কি না, বোঝা যায়, এমনটাই বলা হয়েছে জার্নালে।
