এই ঘটনায় এক পুরোহিত সহ ছ’জন জখম হন। নামখানার হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩০০টি মাটির বাড়ি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। ৫০টি পানের বরজ-সহ বিস্তীর্ণ কৃষিজমির ফসল নষ্ট হতে বসেছে।

Heavy Rainfall In Bankura: টানা বৃষ্টিতে ডুবল সড়ক, বিপদসীমার উপরে বইছে নদী, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়ার

বাঁকুড়া: নিম্নচাপের জেরে গত তিন দিন ধরে টানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে সমগ্র রাজ্যে৷ অতি বৃষ্টির জেরে বাঁকুড়া জেলার সবকটি নদী ফুসছে৷ জলস্তর বইছে বিপদ সীমার উপর দিয়ে৷ ইতিমধ্যেই জলের তলায় চলে গিয়েছে বাঁকুড়ার দ্বারকেশ্বর নদীর উপর মিনাপুর, গন্ধেশ্বরী নদীর উপর মানলানালী সেতু৷

গত তিনদিনের টানা বৃষ্টিতে জল স্তর বেড়েছে বাঁকুড়া দ্বারকেশ্বর, গন্ধেশ্বরী, শিলাবতি, ভৈরববাকী, শালি-সহ বিভিন্ন নদীতে। এর ফলে কজওয়ে নদী ব্রিজও জলের তলায় ডুবেছে।

আরও পড়ুন: আরজি করে চিকিৎসক ধর্ষণ, খুন কাণ্ডে গ্রেফতার সন্দীপ ঘোষ! বিরাট পদক্ষেপ সিবিআই-এর

বাঁকুড়ার দ্বারকেশ্বর নদীর উপর মিনাপুর সেতু, গন্ধেশ্বরী নদীর উপর মানকানালী সেতু, বাঁকুড়া-সিমলাপাল নয় নম্বর রাজ্য সড়কের ওপর থাকা শিলাবতী নদীর সেতুও জলের তলায় চলে গিয়েছে৷

আরও পড়ুন: টানা বর্ষণে ভেঙে পড়ল পরিত্যক্ত বাড়ি, মৃত ২! নেপথ্যে কি প্রশাসনের নজরদারির অভাব?

যার ফলে সড়ক পথে বাঁকুড়ার সঙ্গে ঝাড়গ্রামের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। নদীর জলস্তর আরও বাড়তে থাকায় বেশ কিছু এলাকায় জল ঢুকতে শুরু করে দিয়েছে। গত তিন দিনে নিম্নচাপ জনিত টানা বৃষ্টির কারণে বাঁকুড়ার গন্ধেশ্বর নদীর উপর মিনাপুর সেতু পুরোটাই চলে গিয়েছে জলের তলায়।

বাঁকুড়া জেলার সবকটি নদীর সংলগ্ন এলাকাতেই সতর্কতা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে জেলা জুড়ে৷ যা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটাই বেশি৷