কলকাতা RG Kar: ‘গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমাণ নষ্ট’, ‘সঞ্জয়কে বাঁচানোর চেষ্টা’! টালা থানার ওসির বিরুদ্ধে আরও কী কী চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সিবিআইয়ের? Gallery September 16, 2024 Bangla Digital Desk আরজি করে তরুণী চিকিত্সককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় আদালতের নির্দেশে ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের হেফাজতে টালা থানার ওসি অভিজিত্ মণ্ডল। ওসির বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ আনল সিবিআই? কেন সিবিআই দাবি করছে ওসি টালা বৃহত্তর ষড়যন্ত্রে শামিল? ওসির বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি ঘটনাস্থলে সময়মতো পৌঁছননি। টালা থানার ওসি খবর পেয়েছিলেন সকাল ১০:৩০ নাগাদ। ঘটনাস্থলে তিনি পৌঁছেছিলেন ১১ টা নাগাদ। মারাত্মক ঘটনার খবর পেয়েও দেরি করেছিলেন।৫৭ মিনিট পর ঘটনাস্থলে পৌঁছোন,যেখানে টালা থানা থেকে হাসপাতালের দূরত্ব ১ কিলো মিটার। ৫৪২ নম্বর জিডিই এন্ট্রিতে মৃতদেহ নিয়ে মিথ্যা তথ্য দেওয়া হয়েছে। জিডিইতে বলা হয়েছিল, অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে। কিন্তু একজন চিকিৎসক ততক্ষণে পরীক্ষা করে বলেছিলেন মৃত অবস্থায় রয়েছে। এই ষড়যন্ত্রে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও অন্যান্য কিছু ব্যক্তির সঙ্গ ওসি টালাও ছিলেন। তথ্য পরিবর্তন করা হয়েছে ইচ্ছাকৃত ভাবে। অভিযোগ, ‘কগনিজেবল অফেন্স’ বা অপরাধ হওয়া সত্ত্বেও সঠিক আইন মেনে এফআইআর করা হয়নি। এহেন অপরাধ সংগঠিত হয়েছে জেনেও ঘটনাস্থল বা ক্রাইম সিন সুরক্ষিত করা হয়নি। যাদের ওখানে না ঢোকার কথা তারা অবাধে ঢুকেছেন। গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমাণ নষ্ট হয়েছে। অভিযুক্ত সঞ্জয় ও অন্য বেশ কয়েকজনকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়েছে তথ্য প্রমাণ নষ্ট করার মাধ্যমে। মৃতদেহ দেখে ‘ডেথ সার্টিফিকেট’ ইস্যু করতে দেরি করা হয়েছে। এমনকি ইনকোয়েস্ট ও ময়না তদন্ত করার ক্ষেত্রেও সময় নষ্ট করা হয়েছে। এফআইআর করার ক্ষেত্রেও সময় নষ্ট বা দেরি হয়েছে।সকাল ১০:৩০ খবর পেয়েছেন। দুপুর ২৫৫ এমএসভিপি অভিযোগ করলেন পরিবার সন্ধ্যা ৭ঃ৩০ এ অভিযোগ করেএফআইআর হয় রাত ১১ঃ৪০। প্রায় ১৪ ঘণ্টা পর। ভিডিওগ্রাফি ত্রুটিপূর্ণ। এতেও গাফিলতি ছিল ওসি টালার। নমুনা সংগ্রহের যে ভিডিওগ্রাফি তা ত্রুটিপূর্ণ। অভিযুক্ত ও সন্দেহভাজনদের আড়াল করতেই এই চেষ্টা। মৃতার পরিবার দ্বিতীয় বার ময়না তদন্ত চাইলেও অতি দ্রুততার সঙ্গে শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়েছিল। এই সিদ্ধান্ত নিয়েও টালা থানার ওসির বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছে সিবিআই। ১০ অগস্ট সঞ্জয়কে গ্রেফতার করা হলেও তার পরনের জামা কাপড় বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল দু’দিন পর। ঘটনার নেপথ্যে থাকা ষড়যন্ত্রকারীদের দিক থেকে তদন্তের মোড় অন্য দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে তথ্য নষ্ট করা হয়েছে। সিবিআইয়ের কাছে সত্য বলা হয়নি। গোপন করা হয়েছে । ধৃত অভিজিৎ মণ্ডলকে জেরা করে অন্য কারা এই ষড়যন্ত্র ও অপরাধে শামিল জানতে চাইছে সিবিআই।