Tag Archives: R G Kar Hospital
CM Mamata Banerjee at R G Kar Hospital Protest: ‘যদি কেউ দোষী হয়, নিশ্চয়ই শাস্তি পাবে’, আরজি কর কাণ্ডে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর
কলকাতা : ‘‘মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নয়, আপনাদের দিদি হিসেবে এসেছি’’-শনিবার ধরনাস্থলে জুনিয়র ডাক্তারদের বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন দুপুরে আচমকাই সল্টলেকে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনস্থলে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী। আন্দোলনরত ডাক্তারদের প্রতি সমবেদনা, সহমর্মিতা জানিয়ে তিনি বলেন আন্দোলন তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার।
অবস্থানরত জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস, আরজি কর হাসপাতাল কাণ্ডে কেউ যদি দোষী হয়, নিশ্চয়ই শাস্তি পাবে। তিনি পদক্ষেপ করার আশ্বাস দেন। বলেন,‘‘আপনারা যা ভাবছেন কেউ আমার বন্ধু, আমি তাদের চিনি না, জানি না। আমাদের সঙ্গে কোন সম্পর্ক নেই। তারা এসেছেন প্রসেসের মাধ্যমে।’’ পাশাপাশি একইসঙ্গে তাঁর আশ্বাস, আন্দোলনরত কোনও ডাক্তারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে না। তাঁর কথায়, ‘‘আপনাদের বিরুদ্ধে কোনও অ্যাকশন নেব না। আমরা জানি আপনারা অনেক মহৎ কাজ করেন।’’
অবস্থানরত জুনিয়র ডাক্তাররা তাঁর উপর ভরসা রাখতে পারেন। আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর। কর্মবিরতি থেকে আরও একবার কাজে ফেরার আবেদন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আপনাদের আমাদের প্রয়োজন। আপনারা আমার উপর বিশ্বাস রাখতে পারেন। আমি যখন আপনাদের জন্য মঞ্চ পর্যন্ত আসতে পেরেছে আমার উপর ভরসা রাখতে পারেন। আমাকে একটু সময় দিন। সাধ্যমতো চেষ্টা করব।’’
আরও পড়ুন : ‘সব হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি আমি ভেঙে দিলাম…’ জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্নামঞ্চ থেকে বিরাট ঘোষণা মমতার
শনিবার স্বাস্থ্য ভবনের কাছে জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থান মঞ্চে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা করেন। পাশাপাশি রাজ্যের সব হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন।
CM at R G Kar Hospital Protest: আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা তিনি নেবেন না, স্বাস্থ্যভবনের সামনে ধরনাস্থলে আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর
কলকাতা : শনিবার বৃষ্টিভেজা সকালে আচমকাই সল্টলেকে স্বাস্থ্যভবনের সামনে জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনায় পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। মুখ্যমন্ত্রী পৌঁছনর পর ধরনাস্থল থেকে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ দাবি ওঠে।
ধরনাস্থলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন তিনি জুনিয়র ডাক্তারদের এই আন্দোলনকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন। তিনি নিজে উঠে এসেছেন ছাত্র আন্দোলন থেকে। তিনিও রাতের পর রাত ঘুমোচ্ছেন না। শুক্রবার রাতে ঝড়জলের মধ্যে আন্দোলনরত ডাক্তাররা যে ভাবে বসে ছিলেন, তাতে তাঁর কষ্ট হচ্ছে। আন্দোলনকারীদের তিনি বলেন, ‘‘আপনারা রাস্তায় থাকলে আমাকেও পাহারাদার হিসাবে জেগে থাকতে হয়।’’ প্রসঙ্গত আরজি কর কাণ্ডে ‘প্রকৃত অপরাধীদের’ আড়াল করার অভিযোগ এনে বার বার শাসক দলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে। সেই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, কেউ তাঁর বন্ধু নয়। পরিচিতও কেউ নয়।
আরও পড়ুন : ‘সব হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি আমি ভেঙে দিলাম…’ জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্নামঞ্চ থেকে বিরাট ঘোষণা মমতার
পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী খারিজ করলেন আরও এক আশঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে বার বার ধারণা করা হয়েছে, অবস্থানরত জুনিয়র ডাক্তারদের সমস্যায় পড়তে হতে পারে। তাঁরা সরকারের কাছ থেকে বেতন নিয়েও কর্মবিরতিতে আছেন বলে উঠেছে কটাক্ষ করা হয়েছে। শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারী ডাক্তারদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা তিনি নেবেন না। আন্দোলন করা তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার। একইসঙ্গে তাঁর আশ্বাস, আরজি কর কাণ্ডে যদি কেউ অপরাধী থাকে, তাদের শাস্তি দেওয়া হবে।
অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ধর্নাস্থলে মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁরা স্বাগত জানাচ্ছেন। তবে তাঁরা তাঁদের ৫ দফা দাবিতে অনড়। সেই দাবি নিয়ে তাঁরা এর পরও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মুখোমুখি আলোচনায় বসতে চান।
R G Kar Case: ‘যদি জুনিয়র ডাক্তারদের উপরে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা আসে, আমরা বাধ্য হব কর্মবিরতিতে যেতে…’ সাংবাদিক সম্মেলন থেকে বার্তা
কলকাতা: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের সুবিচার চেয়ে পথে নেমেছেন চিকিৎসকেরা। আন্দোলনের ৩৩ দিন অতিক্রান্ত। গত দু’দিন ধরে নবান্ন ও জুনিয়র ডাক্তারদের আলোচনার রফাসূত্র মেলেনি। ‘যদি জুনিয়র ডাক্তারদের উপর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেমে আসে, আমরা বাধ্য হবো কর্মবিরতির মতো পদক্ষেপ করতে। প্রশাসনকে আবেদন করছি অবিলম্বে মেডিক্যাল কাউন্সিল ভেঙে দিতে হবে। ওদেরকে আজকেই মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা উচিত। ওদের সঙ্গে বসা উচিত। না হলে এই বার্তা যাবে মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন না এই অচলঅবস্থা কাটুক।’ জুনিয়র ডক্টর ফ্রন্ট্রে তৃতীয় দিনের অবস্থান মঞ্চে সিনিয়র ডাক্তারদের সাংবাদিক সম্মেলন থেকে এমনই বার্তা এল।
ডাক্তারদের তরফে বলা হয়েছে, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসার কথা প্রকাশ্যে সাংবাদিকদের সামনে বললেও এ কথা স্পষ্ট যে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর বাস্তবে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসে তাদের যে নির্দিষ্ট পাঁচ দফা দাবি, যেগুলি অত্যন্ত ন্যায্য বলে আমরা মনে করি সেগুলি শুনে একটা সমাধান সূত্র বের করবার কোন সদিচ্ছা দেখা গেল না। গত ১০ এবং ১১ সেপ্টেম্বর পরপর দুইটি মেল যা প্রশাসনের কাছ থেকে এসেছিল তার কোনওটিতেই উল্লেখ ছিল না যে মুখ্যমন্ত্রী নিজে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বসবেন। বাস্তবে তিনি জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠক এড়িয়ে গেলেন। অথচ তিনি জুনিয়র ডাক্তারদের ঘাড়ে দোষ চাপালেন জুনিয়র ডাক্তাররা বৈঠকে বসতে চায় না।
আরও পড়ুন: একটা হেলমেট আর সেই রাত! সঞ্জয় কি আসলে লুকিয়েছে বিশেষ কিছু? জেলে ছুটল CBI
আমরা আশা করেছিলাম দুর্নীতিমুক্ত ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রী জুনিয়র ডাক্তারদের আবেদনে সাড়া দিয়ে বৈঠকে বসতে রাজি হবেন। মুখ্যমন্ত্রী ইতিপূর্বে বহু বৈঠক করেছেন যেখানে লাইভ স্ট্রিমিং এর বাবস্থা থেকেছে অথচ আজ যখন জুনিয়র ডাক্তাররা বৈঠকে লাইভ স্ট্রিমিং এর আবেদন করছেন তখন মুখ্যমন্ত্রী এড়িয়ে যাচ্ছেন। এর পিছনে কী উদ্দেশ্য কাজ করছে সেটা আমাদের জানা নেই।
জুনিয়র ডাক্তাররা অবশ্যই কাজে ফিরতে চান, কিন্তু যখন দোষীরা গ্রেফতার হয়নি এবং প্রত্যেকটা মেডিক্যাল হাসপাতালে যেভাবে এখনও হুমকি এবং সিন্ডিকেট চক্রের পান্ডারা বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে তখন তাদের বিরুদ্ধে কোনরকম ব্যবস্থা নেওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় শোনা গেল না। উপরন্ত জুনিয়র ডাক্তারদের অবিলম্বে কাজে ফিরবার জন্য পারতপক্ষে হুমকি দেওয়া হল এবং সুপ্রিমকোর্টকে রেফার করা হল।প্রতিদিন সংবাদপত্রে অভয়ার মর্মান্তিক মৃত্যু ও ধর্ষণের পরিপ্রেক্ষিতে যে সমস্ত হাড়হিম করা তথ্য এবং দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত যে বিশাল চক্রের কথা সামনে আসছে সে বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে কোনও কথা শোনা গেল না।
আমরা মনে করি অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষ থেকে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকের ব্যাপারে সদর্থক ভূমিকা পালন করা প্রয়োজন। আমরা, সিনিয়ার চিকিৎকরা, জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের পাশে সর্বদাই আছি। যদি জুনিয়র ডাক্তারদের উপরে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেমে আসে, তাহলে আমরাও বাধ্য হব কর্মবিরতির মতো বড় পদক্ষেপ করতে। আগামী দিনে জুনিয়ার ডাক্তারদের এই ন্যায় সঙ্গত আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করবার জন্য যা যা করণীয় তা করবার অঙ্গীকার আমরা করছি।
ধর্মঘটে কিছু অসুবিধা হয়। সিনিয়র ডাক্তাররা অতিরিক্ত পরিশ্রম করছে । সরকার নমনীয় হোক । যে পরিমাণ দুর্নীতি হচ্ছে তাদের আগে সরান। জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে সিনিয়র ডাক্তাররা রয়েছেন। স্বাস্থ্যব্যবস্থায় দুর্নীতি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীকে আজই এদের সঙ্গে বৈঠক করা উচিৎ। সিনিয়র ডাক্তাররা এই আন্দোলন এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে এই আন্দোলনকে জোরাল করবে। ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিকেল কাউন্সিল ভেঙে দেবার দাবি করা হল । খুন ধর্ষণের ঘটনায় সময়তেও সিসিটিভি পুলিশ সবই ছিল কিন্তু তাও ঘটনা রোখা যায়নি। জুনিয়র ডাক্তারদের উপর যদি কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় তাহলে সিনিয়র ডাক্তাররা পদক্ষেপ করবেন । জুনিয়র ডাক্তারদের ৫ দফা দাবির সঙ্গে সিনিয়র ডাক্তাররা সহমত। সিনিয়র ডাক্তাররা যদি কর্মবিরতিতে যান তাহলে সরকারি থেকে বেসরকারি সব হাসপাতালে কর্মবিরতিতে যাওয়া হবে। সিনিয়র ডাক্তারদের দাবিগুলি মেইল করে মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হবে।’
বৃহস্পতিবার নবান্নর তরফে জুনিয়র চিকিৎসকদের চিঠি দিয়ে আলোচনার প্রস্তাব পাঠানো হল প্রতিবাদী জুনিয়র চিকিৎসকদের। নবান্নর তরফে চিঠিতে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টায় ফের আলোচনার প্রস্তাব পাঠানো হল। সর্বাধিক ১৫ জন আসতে পারবেন। কিন্তু লাইভ হবে না। কিন্তু রেকর্ড করা যাবে। নবান্নের হলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক হবে।
R G Kar Update: ৯ সেপ্টেম্বর, রাত ৯টা… আরজি কর কাণ্ডের একমাসে ৯ মিনিট স্তব্ধ জনজীবন
কলকাতা: আজ এক মাস। গত ৯ অগাস্ট রাতে আরজি কর হাসপাতালে কর্তব্যরত মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। ১ মাস হয়ে গেল এখনও বিচারের আশায় গোটা দেশ। সমাজের সকল স্তরের মানুষ তাকিয়ে সুপ্রিম কোর্টের শুনানির দিকে। আজ রাত ৯টায় ৯ মিনিটের জন্য রাজ্যের মানুষকে বাড়ির আলো বন্ধ করে, কাজ থামিয়ে মৌন প্রতিবাদে শামিল হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
যাদবপুর ৮বি বাস স্ট্যান্ডে রাত নটায় ৯ মিনিটে এর জন্য সব স্তব্ধ হয়ে যায়। লক্ষ্য রাস্তায় জাস্টিস ফর আরজি কর। আরজি করের প্রতিবাদরাজ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। ছড়িয়ে পড়েছে দেশ, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে।
আরও পড়ুন: ময়না তদন্তের ‘সময়’ নিয়ে সংশয়! কে করেছিল সেই ভিডিওগ্রাফ…? কী তাঁর ডেজিগনেশন? প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টে
১৪ অগাস্ট পথ দখল করেছিল তামাম রাজ্য। চাহিদা একটাই, আরজি করের নিহত চিকিৎসক-পড়ুয়ার খুনের বিচার চাই। গর্জে উঠেছিল কাতারে-কাতারে মানুষ। মধ্যরাতে রাস্তায়-রাস্তায়, মোড়ে-মোড়ে মানুষের ঢল নেমেছিল। কার-ও হাতে মোববাতি,কারো হাতে মশাল। মুখে স্লোগান।৪ তারিখ রাতেও ফের একবার রাতদখল হয়। আরজি কর হাসপাতালে নির্যাতিতার বাবা-মা ধর্নামঞ্চে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেন। বিচার চেয়ে গা চিকিৎসকেরাও। শহরজুড়ে সেদিন বন্ধ ছিল আলো, চারদিকে শুধু মোমবাতি।
R G Kar Update: ৯ সেপ্টেম্বর, রাত ৯টা… আরজি কর কাণ্ডের একমাসে ৯ মিনিট স্তব্ধ জনজীবন
Digha Hospital: দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালের উন্নতিতে নজরদারি প্রশাসনের
পূর্ব মেদিনীপুর: দুর্গাপুজোর আর একমাস বাকি নেই! এখন থেকেই তোড়জোড় শুরু হয়েছে। এবার পুজোর সময় দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালের উন্নতিতে নজর দিল প্রশাসন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দিঘা শুধু জেলাবাসীর কাছে আকর্ষণের জায়গা নয়। রাজ্যের পাশাপাশি ভিন রাজ্য ছাড়িয়ে বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে সমুদ্র সৈকত নগরী দিঘা। দিঘায় পর্যটকের ভিড় বাড়ছে প্রতিদিনই। দিঘা পর্যটকদের সুরক্ষা দিতে একাধিক পদক্ষেপ আগেই গ্রহণ করেছে প্রশাসন। এবার স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের চিকিৎসার সুবিধার্থে দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালের উন্নতিতে নজর দিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন।
বঙ্গোপসাগরের উপকূলে অবস্থিত এই দিঘা শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য নয় সেই সঙ্গে বিনোদনের পসরা সাজিয়ে এখন আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র। দিঘায় আসা পর্যটক এবং স্থানীয় মানুষজনদের চিকিৎসা পরিষেবার পৌঁছে দিতে দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালের পরিকাঠামোগত উন্নয়নে নজর দেওয়া হয়েছে। দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালের সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ের তদারকিতে হাসপাতাল পরিদর্শনকরেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজী। হাসপাতালে নবনির্মিত র্যাম্পের উদ্বোধন করেন তিনি। সেই সঙ্গে হাসপাতাল পরিদর্শন করেন, রোগীদের সুবিধা ও অসুবিধার সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন।
আরও পড়ুন: দুর্গাপুজো আসতেই ব্যস্ত এই শিল্পীরা, দেখুন
জেলাশাসক হাসপাতালে রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের অভাব অভিযোগ শুনলেন। হাসপাতালের বাথরুমের অব্যবস্থা নিয়ে সুপারকে যেমন সতর্ক করেন। তিনি জানান, ‘আগামী কয়েক মাসে হাসপাতালে রোগী পরিষেবার ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন ঘটবে। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে হাসপাতালে। হাসপাতালে দ্রুততার সঙ্গে মহিলা বিভাগে এসির ব্যবস্থা করা হবে ও এক্স-রে পরিষেবার জন্য নতুন করে পাওয়া যাবে। এর পাশাপাশি দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটার চালু করা হবে।’
দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, হাসপাতালের মূল ভবন পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। যখন তখন কংক্রিটের চাঙর খসে পড়ছে। উপকূলবর্তী মানুষজনদের পাশাপাশি দিঘায় আসা পর্যটকদের চিকিৎসার জন্য বড় ভরসা এই দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতাল। সাধারণ মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি এই হাসপাতালের পরিকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি চিকিৎসা পরিষেবা আরও উন্নতি হোক। দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবার উন্নতিতে একগুচ্ছ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
সৈকত শী
RG Kar Hospital Incident Hearing: আরজি কর মামলায় ফের স্টেটাস রিপোর্ট তলব সুপ্রিম কোর্টের, পরবর্তী শুনানি ১৭ সেপ্টেম্বর
নয়াদিল্লি: সোমবার সুপ্রিম কোর্টে শুরু হল আরজি কর মামলার শুনানি। শুনানি পর্বের শুরুতেই স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ খতিয়ে দেখে মুখবন্ধ খামে জমা পড়া স্টেটাস রিপোর্ট। শুনানিতে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ নতুন করে স্টেটাস রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিল সিবিআই-কে। আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে নতুন স্টেটাস রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি প্রধান বিচারপতির নির্দেশ, সিবিআই-কে তাঁদের লিড নিয়ে তদন্তে এগিয়ে যেতে দেওয়া হোক। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৭ সেপ্টেম্বর।
দেশের শীর্ষ আদালতে শুনানিতে সিবিআইয়ের তরফে সলিসিটর জেনারেল সোমবার বলেন, “সকাল সাড়ে ৯টার সময় দেহ দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। ফরেন্সিক রিপোর্ট বলছে, দেহ যখন পাওয়া গিয়েছিল, তখন তা অর্ধনগ্ন অবস্থায় ছিল। তাঁর দেহে ক্ষতচিহ্ন ছিল। ওই সব নমুনা এমস বা অন্য কোনও ল্যাবরেটরিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিবিআই।”
প্রশ্ন তোলা হয় নিহত তরুণী ডাক্তারের ময়নাতদন্ত প্রক্রিয়া নিয়েও। সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়, ময়নাতদন্ত কখন করা হয়েছে— সেই সময়ের উল্লেখ নেই। যদিও রাজ্যের আইনজীবীর যুক্তি, সব কিছু উল্লেখ রয়েছে। তখন আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি বলেন, “দুপুর আড়াইটা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত শুধুমাত্র ১০ বার জিডি এন্ট্রি করা হয়েছে। পুরোটা পরে তৈরি করা হয়নি তো? অনেক রহস্য রয়েছে।” সেই সংশয়ের প্রেক্ষিতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সন্দেহ হলে তাঁর কাছে রিপোর্ট চাওয়া হোক। সিবিআই-এর তরফও আদালতে জানানো হয়, ফরেন্সিক রিপোর্ট নিয়ে তাদের মনেও প্রশ্ন রয়েছে। তাই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সেটি এমসে পাঠাতে চায়। আইনজীবী এডুলজির মন্তব্য,তাঁর ২৭ বছরের কর্মজীবনে এমন মামলা তিনি দেখেননি।
SC On RG Kar: ‘অনেক কিছুই লোকানো হয়েছে…’, রাজ্যের রিপোর্ট সিবিআইকে দেওয়া হয়নি : তুষার মেহতা
নয়াদিল্লি: আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণের তদন্তে আজ, সোমবার দ্বিতীয় দিনের শুনানি। শুনানির শুরুতেই স্ট্যাটাস রিপোর্ট পেশ করেছে রাজ্য। শুনানির শুরুতেই এসজি তুষার মেহতার বড় অভিযোগ। রাজ্যের তরফে অনেক কিছুই লোকানো হয়েছে বলেই অভিযোগ তুললেন তুষার মেহতার।
প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, কলকাতা পুলিশ গোটা প্রসিডিংসের ভিডিও ফুটেজ সিবিআইকে দিয়েছে? কলকাতা পুলিশ পুরো সার্চ সিজারের ফুটেজ সিবিআই কে দিয়েছে? রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিবাল উত্তরে জানান দিয়েছে। সিবিআই-এর তরফে জানানো হয়, ৪টি ক্লিপে ২৭ মিনিটের ফুটেজ দেওয়া হয়েছে। আমাদের কাছে মাত্র ২৭ মিনিটের চারটি ক্লিপিং দেওয়া হয়েছে। আমাদের কাছে মাত্র ২৭ মিনিটের চারটি ক্লিপিং দেওয়া হয়েছে। সিজার ৮ঃ৩০-১০-৪৫ দেওয়া হয়েছে। ভাগে ভাগে দেওয়া হয়েছে।এই প্রসঙ্গে রাজ্য জানায় টেকনিক্যাল গ্লিচ ছিল। হার্ডডিস্কে দেওয়া হয়েছে পুরোটা।
আরজি কর তদন্তে সমস্ত নমুনা পরীক্ষার জন্য এইমস এবং অন্য ফরেন্সিক সেন্টারে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিবিআই— রাজ্যের এফএসএলের নমুনা এবং তার রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন সিবিআই এর। তুষার মেহতার তরফে জানানো হয়, ‘কে নমুনা নিয়েছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়ছে।
Kanchan Mullick gets slammed by Koneenica Banerjee: ‘ও কাঞ্চনদা!…তোমায় ছোট থেকে অন্যভাবে চিনতাম…তুমি কী বলছ এসব?’’ আক্ষেপ ও ক্ষোভ উগড়ে দিলেন কনীনিকা
কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে কাঞ্চন মল্লিকের বিতর্কিত মন্তব্যের বিরোধিতা করে সরব হয়েছেন টলিউডের একাধিক তারকা। সেই প্রতিবাদী-তালিকায় জুড়ল অভিনেত্রী কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, ‘‘ও কাঞ্চনদা, আমার মা বিগত কয়েক মাস ধরে গভর্নমেন্ট হসপিটালে ভর্তি। তাও ক্রিটিক্যাল কেয়ারে।’’
অসুস্থ মাকে দেখতে তিনি নিয়মিত হাসপাতালের বর্হিবিভাগ এবং হাসপাতালের ভিতরে যান। জানিয়েছেন কনীনিকা। দৃঢ়ভাবে বলেছেন হাসপাতালে চিকিৎসা থেমে নেই৷ কাঞ্চনকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন, ‘‘বিশ্বাস করো, সিনিয়র ডাক্তাররা কত খাটছেন, তোমার কোনও আইডিয়া নেই৷ তাই ভুল তথ্য প্লিজ দিয়ো না৷’’
প্রসঙ্গত কাঞ্চন প্রশ্ন করেছিলেন, আরজি কর কাণ্ডে যে ডাক্তাররা আন্দোলন করছেন তাঁরা সরকারের কাছ থেকে বেতন এবং পুজোর বোনাস নেবেন তো? যাঁরা সরকারি উপাধি ও পুরস্কার পেয়েছেন তাঁদেরও ছাড়েননি কাঞ্চন। প্রশ্ন তুলেছিলেন, তাঁরা সে সব ফিরিয়ে দেবেন তো? এর পরই নিন্দার ঝড় ওঠে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই তাঁদের পোস্টে মনে করিয়ে দেন যে সরকারি বেতন বা যে কোনও পারিশ্রমিকই হয় করদাতাদের করের টাকায়। দিনভর নিন্দিত হয়ে কাঞ্চন অবশেষে নতিস্বীকার করেন। ফের সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিওতে বলেন, তিনি ধর্নামঞ্চে কিছু মন্তব্য করে ফেলেছেন। যা নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। তিনি তাঁর বক্তব্যের জন্য দুঃখিত এবং লজ্জিত।
ভিডিওতে কাঞ্চন জানান তাঁর বাড়িতেও স্ত্রী, অসুস্থ ব্যক্তি রয়েছেন। যাঁকে সুস্থ রাখতে চিকিৎসা পরিষেবার প্রয়োজন পড়ে। আরও অনেককেই প্রয়োজন অনুযায়ী পরিষেবার ব্যবস্থা করে দেন তিনি। কিন্তু তাঁর ধৈর্যচ্যুতির কারণ অন্যত্র। বলেন, তাঁর ভ্রাতৃসম এক বন্ধুর মা মৃতপ্রায় ছিলেন মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে। কাঞ্চনের অভিযোগ, ডাক্তারদের ধর্মঘট থাকায় তাঁকে বাঁচানো যায়নি। সে দিনই তাঁর ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে পড়ে। তবে কাঞ্চন এও সংযোজন করেন যে ডাক্তার এবং ডাক্তারি পরিষেবা নিয়ে কোনও খারাপ মন্তব্য মন থেকে করতে চাননি। সকলে অশান্ত পরিস্থিতির চাপে। তিনিও আন্তরিক ভাবে ন্যায়বিচার চাইছেন নিহত তরুণী ডাক্তারের জন্য। ভিডিওর শেষে তিনি ফের সকলের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন।
আরও পড়ুন : ‘একেবারে অচেনা হয়ে গেলি’…কাঞ্চনের ক্ষমাপ্রার্থনায় রাজনীতি দেখছেন দেবলীনা, মন্তব্যে বাকরুদ্ধ সুদীপ্তা
দুঃখপ্রকাশ এবং ক্ষমাপ্রার্থনার পরও কাঞ্চনের প্রতি সদয় হননি টলিউডের প্রতিবাদীরা৷ তাঁর ক্ষমা চাওয়ার মধ্যেও রাজনীতি দেখেছেন অভিনেত্রী দেবলীনা দত্ত৷ কাঞ্চনের মন্তব্যে বাকরুদ্ধ সুদীপ্তা তাঁকে ‘ত্যাগ’ দিয়েছেন৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েওছেন সে কথা৷ কনীনিকা এ বার কাঞ্চনকে সরাসরি জমিতে নামতে বললেন৷ তাঁর কথায়, ‘‘গ্রাউন্ডে নামো…তোমায় ছোট থেকে অন্যভাবে চিনতাম৷ তুমি কী বলছ এসব?’’
কাঞ্চনের উদ্দেশে কনীনিকার প্রশ্ন, ‘‘এই সব চাকরির মাইনের পয়সা কোথা থেকে আসে বলতো?’’ উত্তরও দিয়েছেন নিজেই৷ বলেছেন, ‘‘আমরা দিই৷ আমাদের টাকাতেই সব ভান্ডার চলে৷’’ অভিনেতা তথা উত্তরপাড়ার বিধায়কের প্রতি কনীনিকার পরামর্শ বুঝে কথা বলার জন্য৷