আজকাল চুল পড়ার সমস্যা সাধারণ হয়ে উঠেছে।বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে এই সমস্যা দ্রুত বাড়ছে। বিশৃঙ্খল জীবনযাপন, দূষণ এবং ভারসাম্যহীন খাবার এর প্রধান কারণ হতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়া খাবারে পুষ্টির অভাব, বিশেষ করে প্রোটিন এবং আয়রন চুলের বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করতে পারে। খাদ্যাভ্যাসের উন্নতির মাধ্যমে আমরা কীভাবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে? বিস্তারিত জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদ ডাঃ সারিকা শ্রীবাস্তব।যখন শরীরে পুষ্টির অভাব থাকে বা সঠিক পুষ্টি পাওয়া যায় না, তখন চুল পড়া খুবই স্বাভাবিক। এছাড়াও অনেক রোগে চুল পড়া দেখা যায়। যেমন থাইরয়েড রোগী বা যারা পুষ্টির ঘাটতিতে ভুগছেন তাদেরও চুল পড়ে।শরীরে প্রোটিনের তীব্র ঘাটতি থাকলে চুল পড়াও দেখা যায়। কোভিডের পর থেকে মানুষের চুল পড়া বেড়েছে। এতে অনেকেই বিপাকে পড়েছেন। সাধারণত যদি ১০০টি চুল পড়ে তবে এটি স্বাভাবিক। এর চেয়ে বেশি চুল পড়া মানে অতিরিক্ত চুল পড়ছে।একজন মহিলার 0.১ গ্রাম প্রোটিন গ্রহণ করা উচিত এবং একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের এক গ্রাম প্রোটিন গ্রহণ করা উচিত। এর চেয়ে যদি বেশি বা কম প্রোটিন গ্রহণ করা হয় তবে চুল পড়াও হয়।বায়োটিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বায়োটিনের ঘাটতি থাকলে চুল পড়াও হয়। টাইফয়েড, ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার মতো যে কোনও রোগে ভুগলেও দীর্ঘদিন দুর্বলতা থাকলে চুল পড়ে যায়।প্রোটিনের অভাবে যদি চুল পড়া হয়, তা হলে খাদ্যতালিকায় দুধ, দই, পনির, দুগ্ধজাত খাবার এবং ডিম, মুরগি, মাছ রাখুন। এর সঙ্গে সূর্যমুখী বীজ অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। কাজু বাদাম খেলে চুল পড়া নিয়ন্ত্রণ করে কারণ এতে জিঙ্ক পাওয়া যায়। জিঙ্কের ঘাটতি থাকলে চুলও পড়ে। কাজুতে রয়েছে বায়োটিন যা চুল পড়া রোধে সহায়ক।শুকনো মটরশুটি, ছাতু, কাজুবাদাম, বাদাম জাতীয় জিনিস ব্যবহার করা অবশ্যই চুল পড়া রোধে কার্যকর হবে।
