কলকাতাঃ টালা থানার ওসি অভিজিৎ মন্ডলের বাড়িতে পুলিশ আধিকারিকেরা। সার্ভেপার্ক থানার অন্তর্গত ২১/৩ সেকেন্ড স্ট্রিটে দেবযানী ইনক্লেভ বহুতলেই থাকেন অভিজিৎ মন্ডল ও তাঁর পরিবার। সোমবার দুপুরে তার বাড়িতে পৌঁছায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (চতুর্থ) ভি সলোমান নিশা কুমার, ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (ইস্ট ডিভিশন) আরিশ বিলাল, ডেপুটি কমিশনার (এসএসডি) বিদিশা কলিথা ।
আরও পড়ুনঃ ফের আন্দোলনরত চিকিৎসকদের বৈঠকে ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী, দিয়ে দিলেন শর্ত, জানালেন এটাই তাঁর শেষ চেষ্টা
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় শনিবার গ্রেফতার করা হয় টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল-কে। এই প্রথম সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতারির ঘটনা ঘটে। ষড়যন্ত্র, প্রমাণ লোপাট, এফআইআর করায় বিলম্বের অভিযোগে গ্রেফতার অভিজিৎ মণ্ডল। তাঁকে গ্রেফতার করে স্পেশ্যাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ। ১২০বি, ২৩৮/১৯৯ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আরজি কর কাণ্ডের পরে অপসারিত করা হয় টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, প্রমাণ লোপাট, এফআইআর করায় বিলম্বের অভিযোগ রয়েছে। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগে অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয় শনিবার। এ দিন শুধু অভিজিৎ মণ্ডল নয়, গ্রেফতার করা হয় আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকেও।
আরও পড়ুনঃ মুখোমুখি বসালেই ফাঁস ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্র’? সিবিআই-এর হাতে এবার বড় তাস! কী ঘটতে চলেছে আজ?
প্রসঙ্গত, ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতাল থেকে উদ্ধার হয় তরুণী চিকিৎসকের দেহ৷ এই ঘটনার তদন্তে নেমে পরের দিনই গ্রেফতার করা হয় সঞ্জয় রায় নামে একজন সিভিক ভলেন্টিয়ারকে৷ এরপর এই মামলার তদন্তভার হাতে নেয় সিবিআই। সন্দীপ ঘোষকে একটানা প্রায় ১৪ দিন জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই৷ তাঁর পলিগ্রাফ টেস্টও করা হয়৷ এরপর আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতির তদন্তে সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করে সিবিআই৷ এবার মূল মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হল৷