পুরুলিয়া: শিল্প সংস্কৃতিতে পরিপূর্ণ লালমাটি জেলা পুরুলিয়া। এই জেলায় পালিত হয়ে আসছে গ্রাম বাংলার একাধিক প্রাচীন লোক উৎসব। তেমনই এই জেলার অন্যতম উৎসব ভাদু উৎসব। গ্রাম বাংলার অন্যান্য পুজা গুলির মধ্যে অন্যতম এইভাবে পুজো। পুরুলিয়া জেলার সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ লোক উৎসব গুলির মধ্যে অন্যতম এই উৎসব। ভাদু উৎসবের দিন সারারাত ভাদু দেবীর সামনে গান গেয়ে তার আরাধনা করা হয়। কথিত আছে, ভাদু বা ভদ্রাবতী ছিলেন পুরুলিয়ার কাশিপুর রাজ পরিবারের কন্যা। তার অকাল মৃত্যুতে শোকার্ত রাজা তার পুজো শুরু করেন। পরবর্তীকালে সারা মানভূম জুড়ে তা প্রচলিত হয়। যা আজও চলে আসছে। ভাদু আরাধনায় রাত জাগরণ করে চলে মহিলাদের ভাদু গান রাখা হয় থালা ভর্তি নানা রকমের মিষ্টি। এই পুজো প্রতি বৎসর বিশ্বকর্মা পুজোর আগের রাতে হয় ও বিশ্বকর্মা পুজোর দিন ভাদু কে বিসর্জন করা হয়। এই ভাবেই এই পুজো চলে আসছে বংশপরম্পরা অনুসারে।
এ বিষয়ে ব্রতীরা বলেন , ভাদু তথা ভদ্রাবতী হল আমাদের ঘরের মেয়ে। কাশীপুরের রাজা এই পুজো শুরু করেছিলেন। তারপর থেকে রীতিনীতি মেনে বংশপরম্পরা অনুযায়ী এই পুজো চলে আসছে। ভাদ্র মাসের সংক্রান্তির দিন পুজো হয়। সারা রাত ধরে তারা ভাদু গান গেয়ে ভাদুর আরাধনা করে থাকেন। মানভূমের অন্যতম উৎসব এটি। মানভূমের লোকসংস্কৃতির মধ্যে অন্যতম এই ভাদু পুজো। ভাদুর আরাধনায় তাই মেতে উঠেছে গোটা পুরুলিয়া। যুগ যুগ ধরে এই পুজো চলে আসছে জেলার বেশিরভাগ বাড়িতে। এ বছরও নিয়ম ও রীতি মেনে ধুমধাম এর সঙ্গে পালিত হল ভাদু পুজো।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি