ইজরায়েলকে আক্রমণ।

Lebabnon Pager blast: ‘জঙ্গি কার্যকলাপ, গণহত্যার নিকৃষ্টতম উদাহরণ’, ইজরায়েলের বিরুদ্ধে তোপ ইরানের, পাল্টা হামলার হুঁশিয়ারি হিজবুল্লাহর

বেইরুট: ইজরায়েলের বিরুদ্ধে এবার তোপ দাগল ইরান। লেবাননে পেজার বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত ১২ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আহত প্রায় ৩ হাজার। ঘটনায় ইজরায়েলকে দায়ী করে ইরান বলল, “জঙ্গি কার্যকলাপ। ইজরায়েলকে গণহত্যার দায় নিতে হবে।’’

বুধবার ইরানের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র নাসের কানানি আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলেছেন, “গণহত্যার নিকৃষ্টতম উদাহরণ। জায়োনিস্ট শাসকদের জঙ্গি কাজকর্মের তীব্র নিন্দা জানাই।’’ ইজরায়েলের উদ্দেশে হিজবুল্লাহর হুঁশিয়ারির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইরানের তরফে এই বিবৃতি জারি করা হয়।

আরও পড়ুন: রোগীর পরিবারের থেকে ১ টাকা বেশি নেওয়ার শাস্তি! চাকরি গেল সরকারি হাসপাতালের কর্মীর

পেজার বিস্ফোরণে মারা গিয়েছেন এক হিজবোল্লাহ সাংসদের ছেলেও। ঘটনায় লেবাননের পাশে দাঁড়িয়েছে ইরান। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র নাসের কানানি বলেছেন, ‘লেবাননকে সব রকম সাহায্যের জন্য ইরান প্রস্তুত।’ গত বছর ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে একটি মিউজিক কনসার্টে হামলা চালিয়েছিল হামাস। তারপর থেকেই শুরু হয় সংঘাত। গাজার অবস্থা ভয়াবহ। জড়িয়ে পড়েছে প্রায় গোটা মধ্যপ্রাচ্যই। এর মধ্যে হামাসের সহযোগী গোষ্ঠী হিসাবে হিজবুল্লাহ ছাড় পাবে না বলে হুঙ্কার দিয়েছিলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

পেজার বিস্ফোরণের পিছনে তাই ইজরায়েলের হাত দেখছে হিজবোল্লাহ। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, “ইজরায়েলই এই কাজ করেছে। এর ফল ওঁদের ভুগতে হবে।’’ এরপর বুধবার টেলিগ্রামে আরও একটি বিবৃতি দিয়ে হিজবোল্লাহ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, “গাজার সমর্থনে লড়াই চলবে। বিস্ফোরণের প্রতিশোধ নেওয়া হবে।’’

আরও পড়ুন: আরজি কর দুর্নীতি মামলায় উঠে এল অন্য সন্দীপের নাম! মঙ্গলবার সকাল থেকেই তল্লাশি অভিযান ইডির

লেবাননের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফিয়াস আবিয়াদ জানিয়েছেন, বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত কয়েক হাজার। এর মধ্যে ২০০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। লেবাননে ইরানের রাষ্ট্রদূত মোজতাবা আমানিও গুরুতর জখম হয়েছেন বিস্ফোরণে। তাঁর একটি চোখ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে খবর। তাঁকে চিকিৎসার জন্য তেহরানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

প্রশ্ন উঠছে পেজার বিস্ফোরণ হল কীভাবে? মিডল ইস্ট ইনস্টিটিউটের চার্লস লিস্টার বলছেন, “লিথিয়াম ব্যাটারিতে জোর করে ওভাররাইডের ফলেই বিস্ফোরণ হয়।“ তাঁর মতে, “ব্যাটারির পাশে ছোটপ্লাস্টিকের বিস্ফোরক লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। ফোন করতেই বিস্ফোরণ হয়।’’ এর পিছনে ইজরায়েলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের হাত রয়েছে বলে মনে করেন তিনি।