ব্যবসা-বাণিজ্য Value Of Money: জানেন ২০, ৩০ এবং ৪০ বছর পরে ১ লক্ষ টাকার মূল্য কত হবে ? দেখে নিন সেই হিসেব Gallery September 18, 2024 Bangla Digital Desk সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে। আর ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির কারণে টাকার দামও বছরের পর বছর ধরে কমছে। সহজ কথায় বলতে গেলে, কেউ যদি আজকের দিনে যে পরিমাণ টাকায় কিছু কিনতে পারেন, ভবিষ্যতে সেই দামে সংশ্লিষ্ট জিনিসটি কিনতে পারবেন না। আসলে মুদ্রাস্ফীতির কারণে সমস্ত জিনিসে দাম বাড়ছে আর টাকার মূল্যও হ্রাস পাচ্ছে। টাকার মান এভাবে গণনা করতে হবে:টাকার ভবিষ্যৎ মূল্য বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ শুধুমাত্র তখনই অনুমান করা যাবে যে, কারও সঞ্চয় তাঁর ভবিষ্যতের জন্য যথেষ্ট কি না। মুদ্রাস্ফীতি বেশি হলে কিন্তু টাকার মানও কমে যায়। তবে আবার মুদ্রাস্ফীতি কমে গেলে কিন্তু আবার টাকার মান বেড়ে যাবে। অতএব, অর্থের ভবিষ্যৎ মূল্য জানা থাকলে এটা হিসাব করতে সুবিধা হবে যে, তাঁর সঞ্চয় ভবিষ্যতের চাহিদা এবং লক্ষ্য পূরণের জন্য যথেষ্ট কি না। যদি মুদ্রাস্ফীতির আগের রেকর্ডের দিকে চোখ রাখা যায়, তাহলে দেখা যাবে যে, ২০১০ সালে মুদ্রাস্ফীতি ১২ শতাংশে পৌঁছেছিল। এরপর ২০১৬ সাল থেকে মুদ্রাস্ফীতি কমতে শুরু করেছিল, গড় প্রায় ৪ শতাংশ। তবে কোভিড অতিমারীর পরে মুদ্রাস্ফীতির হার বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৬ শতাংশেরও বেশি। সম্প্রতি মুদ্রাস্ফীতির হার ৪ শতাংশের নীচে নেমে এসেছে। ৪ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতির হার অনুসারে ভবিষ্যতে ১ লক্ষ টাকার মূল্য কত হবে?বর্তমান মুদ্রাস্ফীতির হার এবং দীর্ঘ মেয়াদে আরবিআই দ্বারা নির্ধারিত মুদ্রাস্ফীতির হার ২ শতাংশ সহনশীলতার সীমা-সহ মাত্র ৪ শতাংশ। আজ আমরা এই মুদ্রাস্ফীতির হারে টাকা বা রুপির মূল্য গণনা করব। এর থেকে বোঝা যাবে যে, আগামী ২০, ৩০ এবং ৪০ বছরে ১ লক্ষ টাকার মূল্য কত হবে! ধরে নেওয়া যাক যে, মুদ্রাস্ফীতি আরবিআই-এর লক্ষ্য সীমার মধ্যেই থাকবে। ২০, ৩০ এবং ৪০ বছর পর ১ লক্ষ টাকার মূল্য কত হবে?যদি আমরা বার্ষিক মূল্যস্ফীতির হার ৪% ধরে নিই, তাহলে ১ লক্ষ টাকার মূল্য ২০ বছর পরে কমে প্রায় ৪৫৮০০ টাকায় এসে দাঁড়াবে। একই সময়ে বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতির হার ৪ শতাংশ ধরে নিলে ৩০ বছর পরে ১ লক্ষ টাকার মূল্য আরও কমে ২৩৫০০ টাকায় এসে দাঁড়াবে। আবার যদি বার্ষিক ৪ শতাংশ হারে মুদ্রাস্ফীতি চলতে থাকে, তাহলে ৪০ বছর পরে ১ লক্ষ টাকার দাম কমে প্রায় ১২১০০ টাকায় নেমে আসবে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে যে, ভবিষ্যতের জন্য আর্থিক পরিকল্পনা করার সময় মুদ্রাস্ফীতির হার মাথায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে অবসর গ্রহণের পরিকল্পনা করার সময় কারণ যে তহবিল মূল্য আজ অবসর গ্রহণের জন্য পর্যাপ্ত বলে মনে হচ্ছে, তা ২০-৩০ বছর পরে পর্যাপ্ত না-ও হতে পারে।