বীরভূম: আর মাত্র কুড়ি দিন পরেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ পুজো দুর্গা পুজো।আর নিজের কর্ম ব্যস্তময় জীবন ছেড়ে কয়েক দিনের ছুটি পেলেই সাধারণ মানুষ ছুটে আসেন বোলপুর শান্তিনিকেতন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লাল মাটির শহর এই বোলপুর শান্তিনিকেতন।বোলপুর শান্তিনিকেতনে বিশ্বকবির বিভিন্ন দর্শনীয় জায়গার পাশাপাশি এখন বর্তমানে মূল আকর্ষণ সোনাঝুরির হাট।
তবে এই বোলপুর এসে দেখার কী কী জায়গা রয়েছে! আর আসবেন কী ভাবে? বোলপুর আসতে গেলে আপনি হাওড়া,শিয়ালদা,অথবা কলকাতা স্টেশন থেকে যে কোনো ট্রেনে চেপে বোলপুর শান্তিনিকেতন স্টেশনে নামতে পারেন।আর আপনি যদি স্পেশালি সোনাঝুরির হাট ঘুরতে যেতে চান তাহলে আপনি নামতে পারেন বোলপুর স্টেশনের পরে স্টপেজ প্রান্তিক স্টেশনে। কারণ বোলপুর স্টেশনের থেকে এই প্রান্তিক স্টেশনের নামলে আপনার সোনাঝুরির হাট অল্প সময়ের মধ্যে পৌঁছে যেতে পারবেন।
তবে এই বোলপুর তো পৌঁছলেন এবার দেখবেন কী!
১:খোয়াই মেলা, এখানে গেলে আপনার হৃদয় থেকে কেনাকাটা করতে পারবেন।
২: উপাসনা ঘর,আশ্চর্যজনক প্রার্থনা হল এটি।
৩: রবি ঠাকুরের আশ্রম,এখানে তাঁর জীবনের এক ঝলক পাবেন।
৪: ছাতিমতলা, এটি একটি নিখুঁত মেডিটেশন স্পট এখানে গেলেই আপনার মন শান্ত হয়ে যাবে।
৫: কঙ্কালিতলা, পাঁচটি সতীপিঠের মধ্যে অন্যতম একটি সতীপিঠ এই মন্দির।
৬: অমর কুটির,স্থানীয় শিল্প ও কারুশিল্প কেন্দ্র এটি একটি।
৭: বল্লভপুর বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য এবং হরিণ পার্ক।
আরও পড়ুন RG Kar Protest: জুনিয়র ডাক্তারদের পেনশনের টাকা দিলেন প্রাক্তন শিক্ষিকা, জানালেন তাঁর মতামত
এছাড়াও রয়েছে আরও বিভিন্ন জায়গা। এইগুলো তো গেল দেখা এবং ঘুরে বেড়ানোর জায়গা।এবার প্রশ্ন থাকবেন কোথায় আর খাবেন কী! বোলপুরের মধ্যে রয়েছে একাধিক হোম স্টে এবং হোটেল।৫০০ থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত আপনি এখানে রুম পেয়ে যাবেন।আর আপনি যদি একটু উন্নতমানের খাবার খেতে চাইছেন তাহলে আপনি পৌঁছে যান সোনাঝুড়ি হাট সেখানে একটু ভেতর দিয়ে গেলেই আপনি ভাল খাবার হোটেল পাবেন।সেখানে আপনি মাটির থালা বাটিতে খাবার সুযোগ পাবেন।আর যদি একদম অল্প টাকায় ঘরোয়া খবর খেতে চাইছেন তাহলে সোনাঝুড়ি হাট যাবার আগেই রাস্তার ধারে বিভিন্ন খবার হোটেল পাবেন সেইখানেই সেরে নিতে পারেন দুপুরের খাবার।
সৌভিক রায়