আখের  মা দুর্গা

Durga Puja 2024: আখের ছিবড়ে দিয়ে মা দুর্গা বানালেন বাঁকুড়ার গৃহবধূ!

বাঁকুড়া: আখের ছিবড়ে দিয়ে মা দুর্গা বানিয়ে তাক লাগালেন বাঁকুড়ার গৃহবধূ। মা দুর্গার কোনও সাধারণ মূর্তি নয়। বাঁকুড়ার গৃহবধূর হাতের তৈরি এই মূর্তিতে রয়েছে লুকোনো অর্থ। প্রায় একমাস সময় লেগেছে আখের ছিবড়ে দিয়ে মা দুর্গাকে ফুটিয়ে তুলতে। ঘরের কাজ সামলে, প্রতিদিন রাত জেগে একটু একটু করে তৈরি করেছেন বাঁকুড়ার ভকতপাড়ার বাসিন্দা অর্পিতা সরকার। তবে মা দুর্গা দুই ভাগে বিভক্ত এই মূর্তিতে। ডানদিকের ভাগ মা দুর্গা দুর্গতিনাশিনীকে বোঝাচ্ছে। ডান ভাগে দেখা যাচ্ছে মায়ের রুদ্র মূর্তি যেখানে দমন করা হচ্ছে মহিষাসুরকে। তবে বামভাগে দেখা যাচ্ছে একজন নির্যাতিতাকে। যার চোখে মুখে ফুটে উঠেছে নির্যাতনের ছাপ। প্রতিকী রূপে বাম ভাগে রয়েছে ছুরি, হ্যান্ডকাফ এবং ফাঁসির দড়ি। পুরোটাই তৈরি হয়েছে আগের ছিবড়ে দিয়ে, খরচ মাত্র ২০০ থেকে ৩০০ টাকা।

আরও পড়ুনঃ রগরগে তেলঝাল খাবার ছাড়া মুখে রোচে না? নিমেষে শেষ হয়ে যাবে সব! আজই বদলান খাওয়ার অভ‍্যাস

বাঁকুড়ার ভকত পাড়ার বাসিন্দা অর্পিতা সরকার, শিল্প কর্ম করতে সিদ্ধহস্ত। বিভিন্ন ধরনের অব্যবহারযোগ্য জিনিস দিয়ে তৈরি করে থাকেন নতুন নতুন মূর্তি। প্রতি বছরই দুর্গাপুজোর আগে তাক লাগানো মা দুর্গার মূর্তি তৈরি করে থাকেন এই গৃহবধূ। এই বছরও করলেন সেই একই কাজ। তবে সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটকে সামনে রেখে, নারী নিরাপত্তা এবং নারী নির্যাতন ফুটে উঠল তার শিল্পকর্মের মধ্যে দিয়ে। অর্পিতা সরকার জানান, \”প্রত্যেক নারীর মধ্যেই মা বাস করছেন। তাই নারী নিরাপত্তা নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একদিকে মায়ের পুজো করা হচ্ছে অপরদিকে নির্যাতিত হচ্ছেন মহিলারা। এটা মেনে নেওয়া যায় না।”

আরও পড়ুনঃ ফের নিগ্রহের শিকার কলকাতা পুলিশ! নাকা চেকিং-এ দুস্কৃতীদের হাতে আহত ট্রাফিক সার্জেন্ট

অর্পিতা সরকারের ছোট থেকেই ইচ্ছে ছিল শিল্পকর্ম করার। হাতে-কলমে করে শিল্পকর্ম শেখেননি তিনি। নিজের ইচ্ছায় একটু একটু করে মাইক্রো আর্ট থেকে শুরু করে আবস্ট্যাক্ট আর্টের প্রতি নজর দিয়েছেন তিনি। ডোকরার মা দুর্গা, টেরাকোটার ছোট্ট মা দুর্গা, চালের উপরে ওয়ার্ল্ড কাপ এবং পেরেকের মাথায় মা দুর্গা তৈরি করে এর আগে বহুবার তাক লাগিয়েছেন অর্পিতা। তাই ২০২৪ সালে দুর্গা পুজোর আগে তাঁর তরফ থেকে একটি সৃষ্টি পাওনা ছিল বাঁকুড়াবাসীর। আখের ছিবড়ে দিয়ে মা দুর্গা তৈরি করে, সেই আশাই পূরণ করলেন তিনি।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী