: অমিতাভ বচ্চন এবং জয়া বচ্চন কয়েক বছরের সম্পর্কের পর ১৯৭৩ এ গোপনে বিয়ে করেছিলেন। জয়া ভাদুড়ি তখন অমিতাভ বচ্চনের চেয়ে বড় তারকা ছিলেন, যদিও ‘জাঞ্জির’-এর সাফল্যের পর, ইন্ডাস্ট্রিতে বিগ বি-নিজের পা বলিউডের শক্ত জমিতে রাখতে শুরু করে। দম্পতির বিয়ের পর বিরোধীরা অমিতাভ বচ্চনকে হেয় করার প্রাণপণ চেষ্টা করেছিল। এরপর জয়া ভাদুড়ির বাবা নিজেই একটি খবরের মাধ্যমে বিয়ে নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানান। Photo – Collectedজয়া বচ্চনের বাবা তরুণ কুমার ভাদুড়ি ছিলেন সাংবাদিক ও লেখক। তিনি বলেছিলেন যে জয়া হঠাৎ করেই অমিতাভ বচ্চনকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তরুণ কুমার ভাদুড়ি অর্থাৎ অমিতাভ বচ্চনের শ্বশুরই জানান যে জয়া হঠাৎ করেই অমিতাভ বচ্চনকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। Photo – Collectedনিউজ ১৮ ইংলিশের প্রতিবেদন অনুসারে, জয়ার বাবা তরুণ কুমার ভাদুড়ি ১৯৮৯ সালে ‘ইলাস্ট্রেটেড উইকলি অফ ইন্ডিয়া’-তে একটি খবর লিখেছিলেন, ‘‘আমার মনে হয় ও বোম্বে থেকে একজন স্ট্রাগলিং অ্যাক্টর নন। কিছু বাজে লোক আছে যাঁরা বলে যে অমিতাভ জয়াকে বিয়ে করেছেন কারণ তিনি একজন বড় তারকা, যা একেবারেই ভুল। তিনি ‘জঞ্জির’-র সাফল্যের জন্য অপেক্ষা করেছিলেন, তবে এটি না হলেও জয়া তাঁকে বিয়ে করতেন। আমি নিশ্চিত।’’ Photo Courtesy-Instagram@bombaybasantiতরুণ কুমার জয়া বচ্চন সম্পর্কে আরও বলেছিলেন, তিনি চঞ্চল মনের মানুষ নন। ও খুব শক্তিশালী প্রকৃতির একজন ব্যক্তি। ছোটবেলা থেকেই সে এমনই। কেন তাঁরা একত্রিত হয়েছিল তা বলা আমার পক্ষে কঠিন। তিনি বলেছিলেন যে অমিতাভ জয়ার মাকে ফোন করেছিলেন এবং বিয়েতে অংশ নিতে মুম্বই আসার অনুরোধ করেছিলেন। Photo Courtesy-Instagram@shwetabachchanজয়া বচ্চনের বাবা আরও লিখেছেন, ‘গোপন বিয়ের প্রস্তুতির জন্য আমরা পরের দিন ৩ জুন ১৯৭৫-এ বম্বে পৌঁছেছিলাম। পুরো বিষয়টি কীভাবে গোপন রাখা হয়েছিল তা এখন আর বলার দরকার নেই। মালাবার হিলে আমাদের পরিবারের এক বন্ধুর বাড়িতে বিয়ে হয়েছিল। Photo Courtesy- Instagram@shwetabachchanজয়া বচ্চনের মা তার মেয়েকে বাঙালি রীতি অনুযায়ী বিয়ে করতে চেয়েছিলেন এবং এত তাড়াতাড়ি একজন বাঙালি পুরোহিত খুঁজে পাওয়া কঠিন ছিল।জয়ার বাবা লিখেছেন, ‘বাঙালি বিয়ে দীর্ঘ, তবে খুব আকর্ষণীয়। বহু কষ্টে পাওয়া বাঙালি পুরোহিত প্রথমে বাঙালি ব্রাহ্মণ জয়াকে অ-ব্রাহ্মণ (অমিতাভ) বিয়ে করার দায়িত্ব নিতে রাজি ছিলেন না। অনেক চেষ্টার পর বিষয়টি মিটে যায়। স্পষ্টতই পুরোহিত চাননি তাদের বিয়ে হোক। তিনি তার প্রতিবাদ নথিভুক্ত করেন। Photo Courtesy-Instagram@shwetabachchanজয়া বচ্চনের বাবা নিবন্ধে আরও লিখেছেন, ‘অমিতাভ বচ্চন কাউকে আঘাত না করেই সমস্ত রীতিনীতি গ্রহণ করেছিলেন। পরদিন সকাল পর্যন্ত চলল বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। জয়া বচ্চনের বাবা নিবন্ধে আরও লিখেছেন, ‘অমিতাভ বচ্চন কাউকে আঘাত না করেই সমস্ত রীতিনীতি গ্রহণ করেছিলেন। পরদিন সকাল পর্যন্ত চলল বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। Photo Courtesy-Instagram@shwetabachchanজয়ার বাবা এই গুজব অস্বীকার করেছিলেন যে তিনি জয়ার সাথে অমিতাভের বিয়ের বিপক্ষে ছিলেন। তিনি লিখেছেন, ‘আমাকে একটি কারণ বলুন কেন আমি এবং আমার স্ত্রী জয়া ও অমিতাভের সম্পর্কের বিরুদ্ধে থাকব?অমিতাভ খুব আদরের ছেলে। চলচ্চিত্রে আসার জন্য তাকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। প্রাথমিক ব্যর্থতায় তিনি বিচলিত হননি। Photo Courtesy-Instagram@shwetabachchan
