ব্যবসা-বাণিজ্য Post Office Superhit Scheme: পোস্ট অফিসে টাকা রেখে হয়ে যেতে পারেন কোটিপতি ? দেখে নিন কীভাবে Gallery September 23, 2024 Bangla Digital Desk শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে রাতারাতি কোটিপতি হওয়া যায়। কিন্তু ঝুঁকি অনেক। ঠিকঠাক শেয়ার বাছতে না পারলে পথে বসতে হবে। মিউচুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগ থেকেও কোটিপতি হওয়া সম্ভব। কিন্তু ঝুঁকি এখানেও কম নেই। তাহলে নিরাপত্তা কোথায় মিলবে? ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিস স্কিমে। কিন্তু প্রশ্ন হল, এসব জায়গায় বিনিয়োগ করে কি কোটিপতি হওয়া যায়। এর উত্তর হল, যায়। তাও কম সময়ে। পোস্ট অফিসের রেকারিং ডিপোজিট স্কিম থেকেই মাত্র ১০ বছরে কোটিপতি হতে পারেন বিনিয়োগকারী। রেকারিং ডিপোজিটের মেয়াদ ৫ বছর। বর্তমানে ৬.৭ শতাংশ হারে সুদ পাওয়া যাচ্ছে। বড় কথা হল, আরডি স্কিমে চক্রবৃদ্ধি হারে সুদের সুবিধা মেলে। ফলে দ্বিগুণ সুবিধা পান গ্রাহকরা। পোস্ট অফিসে ন্যূনতম ১০০ টাকা দিয়ে রেকারিং ডিপোজিট বিনিয়োগ শুরু করা যায়। সর্বোচ্চ বিনিয়োগের কোনও সীমা নেই। প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করার সুবিধা মেলে আরডি-তে। হাতে মোটা টাকা না থাকলেও চলবে। মেয়াদ ৫ বছর হলেও আরও ৫ বছরের জন্য তা বাড়ানোও যায়। এই সময় গ্রাহক বিনিয়োগ নাও করতে পারেন। জমার উপর শুধু সুদ মিলতে থাকবে। আবার চাইলে বিনিয়োগ করতেও পারেন। পুরোটাই তাঁর মর্জি। রেকারিং ডিপোজিট স্কিমেই দশ বছরের মধ্যে কোটিপতি হওয়া যায়। তবে এর জন্য মোটা টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। পোস্ট অফিসের রেকারিং ডিপোজিট ক্যালকুলেটর অনুযায়ী, আরডি স্কিমে প্রতি মাসে ৬০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করলে দশ বছরে ১.২ কোটি টাকা রিটার্ন পাবেন গ্রাহক। এর মধ্যে মোট জমার পরিমাণ ৭২ লাখ টাকা। আর সুদ থেকে মিলবে ৩০.৫১ লাখ টাকা। এখন কেউ বলতে পারেন, প্রতি মাসে ৬০ হাজার টাকা বিনিয়োগ সম্ভব নয়। কম টাকা বিনিয়োগ করে কী কোটি টাকা রিটার্ন মিলতে পারে। হ্যাঁ, রেকারিং ডিপোজিটে তাও সম্ভব। প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকা বিনিয়োগ করলে ৩০ বছরে কোটি টাকা রিটার্ন মিলবে। তবে প্রতি বছর বিনিয়োগ ১০ শতাংশ হারে বাড়াতে হবে। রিটায়েরমেন্ট কর্পাসের জন্য এই বিনিয়োগ পদ্ধতি আদর্শ।