মেট্রোর লাইন পাতার কাজ শুরু হতেই বিপত্তি; ভয়ে-আতঙ্কে হোটেলে আশ্রয় নিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা

উন্নয়নের জোয়ার আগ্রায়, মেট্রোর লাইন পাতার কাজ শুরু হতেই বিপত্তি ! ভয়ে-আতঙ্কে হোটেলে আশ্রয় নিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা

Report: Harikant Sharma

আগ্রা: আগ্রায় যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে উঠেছে মেট্রো রেল। যা এই শহরের উন্নয়নের মুকুটে একটা আলাদাই পালক যোগ করেছে। এদিকে শহর জুড়ে মেট্রোর কাজ চলছে জোরকদমে। তবে মেট্রো রেলের কাজের জন্য বিপাকে পড়েছেন আগ্রা মোতি কাটরা তার কি গলিতে বসবাসকারী কিছু পরিবার। আসলে মেট্রোর জন্য মাটির নীচে সুড়ঙ্গ খোঁড়াখুঁড়ির কাজ চলছে। যার জেরে এলাকার ওই বাড়িগুলির ভিত নড়ে গিয়েছে। এমনকী, বাড়িগুলিতে দেখা দিয়েছে ফাটল। বাসিন্দাদের প্রবল আশঙ্কা, যে কোনও মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে বাড়িগুলি। ফলে তাঁরা হোটেলে আশ্রয় নিয়েছেন। কিন্তু যাঁদের কোনও উপায় নেই, তাঁরা আপাতত আশঙ্কাতেই দিন গুনছেন।

আরও পড়ুন– পুলিশের উর্দি পরে এলাকা টহল দিচ্ছিলেন যুবক; সন্দেহ হতে এগিয়ে এল পুলিশ, জেরা করতেই প্রকাশ্যে চরম সত্য!

সারা শহর জুড়ে মেট্রো রেলের লাইন পাতার কাজ করছে উত্তরপ্রদেশ মেট্রো রেল কর্পোরেশন (ইউপিএমআরসি)। বর্তমানে ৬টি মেট্রো স্টেশন পুরোপুরি ভাবে তৈরি হয়ে গিয়েছে। শুরু হয়েছে মেট্রো চলাচলও। রুটের বাকি স্টেশনগুলি তৈরির কাজ চলছে এবং মাটির তলার সুড়ঙ্গ নির্মাণও হচ্ছে। মানকামেশ্বর স্টেশন থেকে এসএন মেডিক্যাল কলেজ এবং আগ্রা কলেজের রুট সংযোগ করার জন্য সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ চলছে। আগ্রা মোতি কাটরা তার কি গলি এলাকায় মাটির নিচের সুড়ঙ্গ তৈরি করতে ব্যবহার করা হচ্ছে ভারি ভারি যন্ত্রপাতি। প্রবল কম্পনের জন্য বেশ কয়েকটি বাড়িতে ফাটল লক্ষ্য করা গিয়েছে। যদিও বাড়িগুলি যাতে ভেঙে না পড়ে, তার জন্য মেট্রো রেলের ইঞ্জিনিয়াররা লোহার রড লাগিয়ে দিয়েছিলেন বাড়িগুলিতে। তা সত্ত্বেও ভয় কাটছে না বাড়ির বাসিন্দাদের।

আরও পড়ুন– বিয়ের কার্ডে এ কী লেখা! চমকে গেলেন আমন্ত্রিত অতিথিরাও; যদিও সমাধান বার করে দিয়েছেন আমন্ত্রণকারীরাই

ওই গলির বাসিন্দা রেখা যাদব। তিনি বলেন যে, বিগত ৩-৪ দিন ধরে তাঁর পরিবার হোটেলে থাকছে। কারণ তাঁদের বাড়ির পরিস্থিতি খুবই শোচনীয়। তিন-তলা বাড়িটির একাধিক জায়গায় ধরেছে ফাটল। আসলে মেট্রোর কাজের জন্য মাটির তলায় খোঁড়াখুঁড়ির জেরেই এই ফাটল তৈরি হয়েছে। এদিকে রেখাদেবীর বাড়ির সামনেই থাকেন জগদীশ শর্মা। তাঁর বাড়িরও একই হাল। রেখাদেবী এবং জগদীশ শর্মা উদ্বেগ প্রকাশ করে জানান যে, যে কোনও মুহূর্তে ভেঙে পড়বে তাঁদের বাড়িগুলি। আর এমনটা ঘটলে তো রাস্তায় এসে দাঁড়াতে হবে তাঁদেরই।

ফলে মেট্রো আধিকারিকদের কাছে রেখা যাদব দাবি জানিয়েছেন যে, তাঁদের বাড়ি ভেঙে পড়লে মেট্রো কর্তৃপক্ষকে তা আবার বানিয়ে দিতে হবে। তবে এই বিষয়ে আশ্বস্ত করেননি মেট্রো আধিকারিকরা। আপাতত তাঁদের বাড়ি যাতে ধূলিসাৎ না হয়, সেদিকে যেন নজর দেয় সরকার। এটাই আর্জি এলাকার বাসিন্দাদের।