কলকাতা: যে পুলিশকে এতদিন বিভিন্ন ইস্যুতে তীব্র নিশানা করতে দেখা গেছে শুভেন্দু অধিকারীকে সেই শুভেন্দু অধিকারী এবার পুলিশের ‘পাশে’ থাকার বার্তা দিলেন। ‘মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার তাদের নিজেদের পুলিশ কর্মীদের উপরেই নজরদারি চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে।’ এমনটাই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে আনলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দুর কথায়, ‘এটা ঠিক যে পুলিশে চাকুরিরত সকলকেই একটা নির্দিষ্ট নিয়ম শৃঙ্খলা, অনুশাসন মেনে চলতে হয়। কিন্তু তার মানে এটা নয় যে তাদের ব্যক্তিগত জীবন বলে কিছু থাকবে না।’ নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি নথি তুলে ধরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি,’হাওড়া পুলিশ কমিশনারেট একটি আদেশ জারি করেছে, যেখানে বলা হয়েছে যে সমস্ত পুলিশ কর্মীদের তাদের ব্যক্তিগত সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত বিবরণ জানাতে হবে।’
Mamata Police plans to snoop on their own Police Personnels !!!
No doubt, persons employed with the Police Force have to maintain certain discipline and decorum. But it doesn’t mean that they will be subjected to exposing their private life.
This Memo issued by the Howrah… pic.twitter.com/SMPpn5KecH
— Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) September 21, 2024
হাওড়া পুলিশ কমিশনারেট-এর এই আদেশ ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বলে মত বিরোধী দলনেতার। এই প্রসঙ্গ তুলে শুভেন্দু অধিকারী বলেন,’ ভারতবর্ষের সংবিধান দেশের সমস্ত নাগরিককে যে বাক স্বাধীনতার অধিকার দিয়েছে তাতে হস্তক্ষেপ করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ কোনও পোস্ট করলে সেটা তাঁর বাক স্বাধীনতার মধ্যেই পড়ে। পুলিশের চাকরিরত যে কেউ তাঁর ব্যক্তিগত সময়ে কি করছেন তা নিয়ে কারও কোনও প্রশ্ন থাকতে পারে না।’
এই মর্মে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা হিসেবে তিনি সকল পুলিশ কর্মীদের এই ধরনের অসাংবিধানিক আদেশ না মানার পরামর্শ দিয়ে পুলিশ কর্মীদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী সমাজমাধ্যমে লিখেছেন যে, “যদি কোনও পুলিশকর্মী এই আদেশ অমান্য করার জন্য কোনও রকম শাস্তির সম্মুখীন হন তবে তিনি সেই পুলিশ কর্মীকে আইনি সহায়তা দিয়ে সাহায্য করবেন। এ ব্যাপারে পুলিশ কর্মীরা যদি কোনও রকম অন্যায় আচরণের সম্মুখীন হন তাহলে তাঁকে adhikarisuvenduwb1@gmail.com এই ইমেইল আইডিতে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন বলেও জানান শুভেন্দু।”