পাঁচমিশালি First Hijack on Foreign Soil: বিমানবন্দরে ঢুকেছিল ৪৭ জন জঙ্গি, আরোহীদের পণবন্দি বানিয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান অপহরণ, আতঙ্কের প্রহর গুনছিলেন সকলে! তারপর… Gallery September 23, 2024 Bangla Digital Desk জাম্বিয়ার লুসাকা বিমানবন্দর থেকে রওনা হয়ে প্রায় ২১ ঘণ্টা যাত্রার পরে মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছনোর কথা ছিল এয়ার ইন্ডিয়া উড়ান এআই-২২৪-এর। এর জন্য এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে কাজে লাগানো হয়েছিল বোয়িং ৭০৭ এয়ারক্র্যাফ্ট। দীর্ঘ যাত্রাপথে বিমানের জ্বালানির ক্ষমতা ছিল সীমিত। যার জেরে আরও জ্বালানি ভরার জন্য সেশেলসের মাহে-তে নেমেছিল উড়ানটি।রিফুয়েলিংয়ের সময় শিহরণ জাগানো এমন এক ঘটনা ঘটে, যা ইতিহাসের পাতায় সহজেই স্থান করে নিয়েছিল। ঘটনাটি অবশ্য ৪৩ বছর আগের। ১৯৮১ সালের ২৫ নভেম্বর রওনা হওয়া এয়ার ইন্ডিয়ার ওই উড়ানে ছিলেন ৬৫ জন যাত্রী। আর ছিলেন ১৩ জন বিমানকর্মী। ঘণ্টা দশেকের যাত্রার পরে মাহের সেশেলস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছিল বিমানটি। আর সেখানে জ্বালানি ভরার সময়ই ঘটে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। আফ্রিকার সোয়াজিল্যান্ড থেকে প্রায় ৪৭ জন জঙ্গি সেশেলসের ওই বিমানবন্দরে প্রবেশ করে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল এয়ার ইন্ডিয়ার উড়ানটিকে হাইজ্যাক করা। (Representative File Image) নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে রীতিমতো মোকাবিলা করেই জঙ্গিরা সকলে বিমানবন্দরে প্রবেশ করে। সেই সময় তাদের কাছে ছিল অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রশস্ত্র এমনকী হ্যান্ড গ্রেনেডও। সকল আরোহীকে পণবন্দি করে উড়ানটিকে হাইজ্যাক করে জঙ্গিদলটি। ওই দলের মাথা পিটার ড্যাফি বারবার এয়ার ইন্ডিয়া বিমানের ক্যাপ্টেন উমেশ সাক্সেনার কাছে দাবি জানাতে থাকে যে, উড়ানটিকে দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে নিয়ে যেতে হবে। তবে জঙ্গিদের এই দাবিতে একেবারেই দমেননি ক্যাপ্টেন, বরং উপস্থিত বুদ্ধির জোরে বিমানবন্দরেই উড়ানটিকে দাঁড় করিয়ে রাখেন। Representative Image সেই সময় বিমানের আরোহীদের কোনও রকমে নিরাপদে বার করে আনাটাই যেন একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে ওঠে। স্থানীয় এজেন্সি এবং অপহরণকারীদের মধ্যে কথাবার্তা শুরু হয়। রীতিমতো প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে চলতে থাকে দর কষাকষি। আর হাইজ্যাকারদের হাতে থাকা অস্ত্রশস্ত্র এবং তাদের ভয়ঙ্কর আগ্রাসী আচরণের কারণে এই সময়টায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন বিমানের আরোহীরা। সকলেই যেন ভয়ে কাঁপছিলেন। প্রায় ৬ ঘণ্টা এই বাকবিতণ্ডা চলার পরে অপহরণকারীরা বিমানের আরোহীদের মুক্তি দেয়। আর নিজেরাও আত্মসমর্পণ করে। এরপর তাদের গ্রেফতার করে মামলা হয়েছিল। Representative Image মামলার শুনানি শেষে ১ বছর থেকে ২০ বছরের জেল হয় জঙ্গিদের। আসলে আশির দশকে এটাই ছিল দ্বিতীয় বিমান অপহরণের ঘটনা। এর আগে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীরা অমৃতসর থেকে দিল্লিগামী ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি উড়ান অপহরণ করেছিল। ওই উড়ানটিকে লাহোরে নামানো হয়। সেখানে পাক সেনাবাহিনীর এসএসজি কম্যান্ডো অভিযান চালায় এবং অপহরণকারীদের কবল থেকে বিমানের আরোহীদের মুক্ত করে। Representative Image