কলকাতা: সভা করতে চেয়ে বার বার পুলিশের অনুমতি না পাওয়া নিয়ে এবার গর্জে উঠলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার হাজরায় বিজেপির সভামঞ্চে বক্তব্য রাখার সময় বিরোধী দলনেতা বলেন, “কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কোনও সভা আমাদের করতে দেওয়া হয়নি এত বছরে। রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের জন্য পুলিশের কাছে অনুমতি চাইলে অনুমতি পাওয়া যায় না। তাই এবার আর পুলিশের কাছে অনুমতি চাইব না। এবার থেকে দলের তরফে ঠিক সময়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।” একইসঙ্গে ত্রিফলা অভিযানের প্রস্তাব দেন শুভেন্দু।
কালীঘাট, লালবাজার, নবান্নে ত্রিফলা অভিযানের প্রস্তাবে এদিন অনড় ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। দলের কাছে ত্রিফলা অভিযান করার প্রস্তাব দেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর কথায়, “তৃণমূল কংগ্রেস ভয় পেয়েছে। তারা জানে বিজেপিকে আটকাতে হবে। ২১ এর ভোটের পর থেকে ভোট পরবর্তী হিংসায় ক্ষত বিক্ষত হয়েছি আমরা। এই একমাত্র রাজ্যের বিধানসভা যেখানে লাইভ স্ট্রিমিং হয় না। সিপিআইএম এর মত আমরা ফিশ ফ্রাই খেয়ে আসিনি। নো সেটিং অপোজিশন আমরা।”
আরও পড়ুন: পুজোর মুখে বিরাট সিদ্ধান্ত…! কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলররা যা করলেন, সাধুবাদ রাজ্যজুড়ে
রাজ্যের পুলিশ নিয়ে এদিন অন্য সুরে ছিলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “পুলিশের নীচের তলা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নেই। পুলিশের নীচের তলার কর্মীরা আমাদের সব বলে।” একইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র কটাক্ষ করে শুভেন্দুর মন্তব্য, “বিজেপি পদত্যাগ চাইছে আপনার। ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড গেরুয়া করে বিজেপি মানুষের আশীর্বাদ নিয়ে ক্ষমতায় আসবে। আমাদের দুধে জল নেই। আমরা সকলকে এক করে ভোটে জিতব, আপনাকে হারাব।”
আরজি কর প্রসঙ্গে শুভেন্দুর মন্তব্য, “আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের বিচার হয়নি। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের পাশে বিজেপি সবসময় আছে ছিল, থাকবে। আজও আছে বিজেপি চিকিৎসকদের সঙ্গে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য জুনিয়র চিকিৎসকদের দল এসেছে কালীঘাটে, মিটিং করেছে । ডাক্তার বোনের খুনের ঘটনার বিচার চেয়ে বিজেপি লড়ছে-লড়বে। আমরা ডাক্তারদের আন্দোলনের রাজনীতিকরণ করিনি। এই জন্য আগেই মোদিজি অমিত শাহ ধর্ষণ বিরোধী চূড়ান্ত শাস্তির বিল পাশ করেছেন এনেছেন সেই বিল।”
শুভেন্দুর ঘোষণা, “পুজোয় বিজেপি ১০০০ এর বেশি জায়গায় অভয়া মঞ্চ তৈরি করে সই সংগ্রহ করবে। আড়াই কোটি সই সংগ্রহ করতে হবে। সেই সই মাথায় করে এক লক্ষ বিজেপি কর্মী জমায়েত হয়ে রাজ্যপালের কাছে পৌঁছে দেব। এরপর থেকে কোথাও অনুমতি চাইব না আর। নবান্ন, কালীঘাট, লালবাজার অভিযান চালানো হবে এরপর। আমি চাকরিপ্রার্থীদের পরামর্শ দিয়েছি বিরোধী দলনেতা হিসেবে লং মার্চ করুন নবান্ন। রাস্তা বন্ধ করে দিন। ইতিমধ্যেই পাঁচ লক্ষ চাকরি প্রার্থী আমার সঙ্গে দেখা করেছে। এত বেকার আপনাকে ছেড়ে দেবে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”