নিমের মতো দেখতে হলেও এই গাছটি আর পাঁচটা সাধারন গাছের মতো নয়৷ ১১টিরও বেশি রোগ নির্মূল করা হয় এর শিকড় দিয়ে৷ এই পাতা দিয়ে অনেক সুস্বাদু খাবার তৈরি করা হয়৷ এই পাতা পুষ্টিগুণে ভরপুর। গাছটি কারি পাতা নামে পরিচিত।বালিয়ার সরকারি আয়ুর্বেদিক হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ প্রিয়াঙ্কা সিং লোকাল-১৮কে বলেন, কারি পাতা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী ও উপকারী। এটি অনেক রোগ নিরাময় করে। যেমন- হৃদরোগ, সুগার, কিডনি, চোখ, পরিপাকতন্ত্র, চুল মজবুত করা, দুর্বলতা, প্রদাহরোধী, চর্মরোগ, লিভার, ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ইত্যাদি।সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল কারি পাতার একটি শীতল প্রভাব রয়েছে, যা শরীরে সতেজতা প্রদান করে। যদি আমরা এর ব্যবহার সম্পর্কে কথা বলি, তাহলে দিনে ৫ থেকে ৬টি পাতা ব্যবহার করা যেতে পারে। সকালে বাসি মুখে এটি খাওয়া অত্যন্ত উপকারী। এটি রক্ত পরিশোধনেও কাজ করে।কারি পাতায় পাওয়া পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বলতে গেলে, এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন মিনারেল যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী।যাদের হাঁপানি বা অ্যালার্জি আছে তাদের কারি পাতা খাওয়া উচিত নয়। চুলে কারি পাতা বেশি ব্যবহার না করাই ভালো৷ এটি ব্যবহার করার আগে একটি আয়ুর্বেদ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। যাতে বয়স এবং রোগ অনুযায়ী আপনার জন্য সঠিক ডোজ নির্ধারণ করা যায়।
