লাইফস্টাইল Health Tips: শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কত হওয়া ভাল? না জেনে রাখলেই বড় বিপদ, রইল চার্ট Gallery September 28, 2024 Bangla Digital Desk উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা দ্রুত বাড়ছে এবং বিপুল সংখ্যক মানুষ শিকার হচ্ছে। ভুল জীবনযাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এই সমস্যাটিকে মারাত্মক করে তুলেছে। কোলেস্টেরল রক্তে পাওয়া মোমের মতো পদার্থ, যা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে রক্তের ধমনীতে জমা হয়। সেই কারণে হৃৎপিণ্ড এবং মস্তিষ্কে রক্তের সরবরাহ ব্যাহত হয়। কোলেস্টেরলের পরিমাণ অতিরিক্ত বেড়ে গেলে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোক হতে পারে। এমন অবস্থায় অসতর্ক থাকা মারাত্মক হতে পারে। এটা নিয়ন্ত্রণ করা খুবই জরুরি। বিস্তারিত জানাচ্ছেন চিকিৎসক সোনিয়া রাওয়াত। কোলেস্টেরল প্রধানত দু’ধরনের। প্রথমটি ভাল কোলেস্টেরল এবং দ্বিতীয়টি খারাপ কোলেস্টেরল। খারাপ কোলেস্টেরলের বৃদ্ধি হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলে মনে করা হয় এবং বেশিরভাগ মানুষেরই এই সমস্যা থাকে। ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক থাকা উচিত, কারণ এটি প্রায়ই হ্রাস পায়। ভাল কোলেস্টেরলকে উচ্চ ঘনত্বের লাইপোপ্রোটিন (HDL) এবং খারাপ কোলেস্টেরলকে কম ঘনত্বের লাইপোপ্রোটিন (LDL) বলা হয়। এগুলি ছাড়াও রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইড রয়েছে, যা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। চিকিৎসকের মতে, খারাপ কোলেস্টেরল যদি 100 mg/dL এর কম হয়, তা হলে এটা স্বাভাবিক। যদি এটি 130 mg/dL বা তার বেশি হয়, তাহলে এটি বর্ডার লাইন। যদি এটি 160 mg/dL এর বেশি হয়, তবে এটি বিপজ্জনক হতে পারে। যখন রক্তে ভাল কোলেস্টেরল 60 mg/dL বা তার বেশি হয়, তখন এটি স্বাভাবিক বলে বিবেচিত হয়। যদি পরিমাণ 40 mg/dL বা তার কম হয়, তা হলে এটি খুবই কম বলে বিবেচিত হয়। এটি হার্টের স্বাস্থ্যকে আরও খারাপ করতে পারে। যদি শরীরের মোট কোলেস্টেরল 200 mg/dL বা তার কম হয়, তবে এটি স্বাভাবিক হিসাবে বিবেচিত হয়। কিন্তু যদি কোলেস্টেরলের মাত্রা 240-এর বেশি হয় তবে এটি উচ্চ কোলেস্টেরল হিসাবে বিবেচিত হয়। যখন শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল 190 mg/dL ছাড়িয়ে যায়, তখন এটি একটি বিপজ্জনক অবস্থা হিসাবে বিবেচিত হয়। হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। এমন পরিস্থিতিতে মানুষের অবিলম্বে একজন চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত। মোট কোলেস্টেরল 300 বা তার বেশি হলে সেটি উদ্বেগজনক। হার্ট অ্যাটাকও হতে পারে। শরীরে ট্রাইগ্লিসারাইডের পরিমাণ 150 mg/dL-এর কম হওয়া উচিত। এর বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এটি হার্টের স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি করতে পারে।