ভূতনি চরের কাছে এই জায়গাতেই নিখোঁজ হয় নৌকাটি৷

Malda boat capsize: গঙ্গার প্রবল স্রোতে মালদহের ভূতনিতে ভেসে গেল যাত্রীবাহী নৌকা, নিখোঁজের সংখ্যা নিয়ে ধোঁয়াশা

মানিকচক: গঙ্গার প্রবল স্রোতের মধ্যে পড়ে মালদহের ভুতনিতে যাত্রী সমেত ভেসে গেল একটি নৌকা৷ যদিও নৌকায় মোট কতজন যাত্রী ছিলেন তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে৷ স্থানীয় সূত্রে খবর, মহিলা এবং শিশু সমেত অন্তত ১৫ থেকে ২০ জন যাত্রী নৌকায় ছিলেন৷ তাঁদের মধ্যে কয়েকজন সাঁতরে পাড়ে উঠতে পারলেও ভেসে যান বাকিরা৷ এ দিন দুপুরেই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে৷

নিখোঁজের সংখ্যা নিয়ে নিশ্চিত ভাবে কিছু বলতে পারেননি স্থানীয় বিধায়ক এবং রাজ্যের মন্ত্রী সাবিত্রী মণ্ডলও৷ তিনি বলেন, কেউ বলছেন পাঁচ জন ছিল, দু জন নিখোঁজ৷ আবার শুনছি নৌকায় দশ জন মতো যাত্রী ছিলেন৷ সঠিক সংখ্যা এখনই বলতে পারছি না৷ আজকে হাট বার থাকায় নদী পারাপারের জন্য ভিড় বেশি ছিল৷ ঘটনাস্থলে সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা পৌঁছেছেন, প্রশাসন উদ্ধারকাজে সবরকম সহযোগিতা করবে৷

আরও পড়ুন: ৩৫০ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১০০০ কোটির লেনদেন! ইডি-র নতুন চার্জশিটে বালুর চাপ বাড়ল?

স্থানীয় সূত্রে খবর, ভুতনি সেতু থেকে দক্ষিণ চণ্ডীপুর এলাকার কাঁটাবাঁধে যাচ্ছিল যাত্রী বোঝাই নৌকাটি। তখনই গঙ্গার প্রবল জলস্রোতে ভেসে যায় নৌকাটি৷ ঘটনাস্থলে যাচ্ছে এনডিআরএফ-এর দলও৷

মালদহের ভুতনির চরের চার দিকে গঙ্গা দিয়ে ঘেরা৷ একপাশে বইছে ফুলাহার নদী৷ তিন গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে তৈরি ভূতনিতে প্রায় ২ লক্ষ মানুষের বাস৷ প্রতি বছরই বর্ষায় ভুতনির চারপাশে গঙ্গা, ফুলাহার ফুলে ফেঁপে ওঠে৷ আগে যোগাযোগ ব্যবস্থা বলতে শুধুমাত্র নৌকাই ভরসা ছিল ভূতনির বাসিন্দাদের৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর এক কিলোমিটারেরও বেশি দীর্ঘ সেতু তৈরি করেন ভুতনির চরের সঙ্গে মানিকচকের সরাসরি যোগাযোগের জন্য৷ কিন্তু বন্যায় সেই সেতুতে ওঠার অ্যাপ্রোচ রোড ভেসে গিয়েছে৷ যার ফলে এখন নৌকা করেই যাতায়াত করতে হচ্ছে এলাকার বাসিন্দাদের৷