বলিউডের সবচেয়ে স্বল্পচর্চিত নায়ক তিনি। একাধিক সুপারহিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন। অভিনয় করেছেন সেরা পরিচালকদের সঙ্গে। কিন্তু লাইমলাইট থেকে দূরে থেকে গিয়েছেন চিরকাল। তিনি আর কেউ নন, সঞ্জীব কুমার।

Bollywood News: নিজের মৃত্যু নিয়ে করেছিলেন ভবিষ্যদ্বাণী, মিলেও গিয়েছিল ভয়ঙ্করভাবে… শোলের অভিনেতার জীবনকাহিনিতে গা শিউরে ওঠে

বলিউডের সবচেয়ে স্বল্পচর্চিত নায়ক তিনি। একাধিক সুপারহিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন। অভিনয় করেছেন সেরা পরিচালকদের সঙ্গে। কিন্তু লাইমলাইট থেকে দূরে থেকে গিয়েছেন চিরকাল। তিনি আর কেউ নন, সঞ্জীব কুমার।
বলিউডের সবচেয়ে স্বল্পচর্চিত নায়ক তিনি। একাধিক সুপারহিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন। অভিনয় করেছেন সেরা পরিচালকদের সঙ্গে। কিন্তু লাইমলাইট থেকে দূরে থেকে গিয়েছেন চিরকাল। তিনি আর কেউ নন, সঞ্জীব কুমার।
আসল নাম হরিহর জেঠালাল জারিওয়ালা। গুজরাতের সুরাতে জন্ম। ‘হাম হিন্দুস্তানি’ ছবির হাত ধরে বলিউডে আত্মপ্রকাশ। তবে পরিচিতি পান ‘নিশান’ ছবিতে। গুলজারের সঙ্গে জুটি বেঁধে ‘পরিচয়’ ‘কোশিস’, ‘আন্ধি’-এর মতো কাল্ট ছবিতে অভিনয় করেছেন। ছাপ রেখে গিয়েছেন রূপালি পর্দায়। অল্প বয়সে বৃদ্ধের চরিত্রে অভিনয়ে তাঁর দক্ষতা ছিল প্রশ্নাতীত। তবে সঞ্জীব কুমারের অভিনয় কেরিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দেয় ‘শোলে’।
আসল নাম হরিহর জেঠালাল জারিওয়ালা। গুজরাতের সুরাতে জন্ম। ‘হাম হিন্দুস্তানি’ ছবির হাত ধরে বলিউডে আত্মপ্রকাশ। তবে পরিচিতি পান ‘নিশান’ ছবিতে। গুলজারের সঙ্গে জুটি বেঁধে ‘পরিচয়’ ‘কোশিস’, ‘আন্ধি’-এর মতো কাল্ট ছবিতে অভিনয় করেছেন। ছাপ রেখে গিয়েছেন রূপালি পর্দায়। অল্প বয়সে বৃদ্ধের চরিত্রে অভিনয়ে তাঁর দক্ষতা ছিল প্রশ্নাতীত। তবে সঞ্জীব কুমারের অভিনয় কেরিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দেয় ‘শোলে’।
হেমা মালিনী তখন বলিউডের ‘ড্রিমগার্ল’। শোলে ছবিতে অভিনয় করতে গিয়েই হেমার প্রেমে পড়েন সঞ্জীব। শ্যুটিংয়ের সময় একদিন বিয়ের প্রস্তাবও দিয়ে বসেছিলেন। হেমা মালিনী তখন ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করছেন। সঞ্জীবকে পাত্তা দেননি। ব্যর্থ মনোরথেই ফিরতে হয়েছিল তাঁকে।
হেমা মালিনী তখন বলিউডের ‘ড্রিমগার্ল’। শোলে ছবিতে অভিনয় করতে গিয়েই হেমার প্রেমে পড়েন সঞ্জীব। শ্যুটিংয়ের সময় একদিন বিয়ের প্রস্তাবও দিয়ে বসেছিলেন। হেমা মালিনী তখন ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করছেন। সঞ্জীবকে পাত্তা দেননি। ব্যর্থ মনোরথেই ফিরতে হয়েছিল তাঁকে।
তবে হেমা মালিনীর প্রতি সঞ্জীবের প্রেম ছিল অমিলন। আজীবন তিনি এই প্রেম বয়ে বেড়িয়েছেন। জীবনে আর বিয়ে করেননি। এই প্রেম নিয়ে বলিউডে অনেক জল্পনা কল্পনা রয়েছে। তবে সঞ্জীব কুমার নিজে বিষয়টা নিয়ে প্রকাশ্যে খুব বেশি মুখ খোলেননি।
তাঁর পরিবারে কেউই ৫০ বছরের বেশি বাঁচেননি। সঞ্জীব কুমারের পরিবারের সকল পুরুষ, তাঁর দাদা, বাবা এবং ভাই নিকুল-সহ প্রত্যেকেই ৫০-এ পা দেওয়ার আগেই মারা যান।
সঞ্জীব নিজেই ছিলেন এক রহস্য। নিজের মৃত্যু নিয়েও ভয়ঙ্কর ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। আশ্চর্যের বিষয় হল, তা মিলেও গিয়েছিল। একবার তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, বয়স্কদের চরিত্রে কেন অভিনয় করেন? সঞ্জীব কুমার বলেছিলেন, “আমি কোনওদিন বুড়ো হব না। ৫০ বছর বয়সের আগেই মারা যাব। তাই পর্দায় অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে বোঝার চেষ্টা করি বৃদ্ধ বয়সে আমি কীভাবে জীবন কাটাতাম।’’
সঞ্জীব নিজেই ছিলেন এক রহস্য। নিজের মৃত্যু নিয়েও ভয়ঙ্কর ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। আশ্চর্যের বিষয় হল, তা মিলেও গিয়েছিল। একবার তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, বয়স্কদের চরিত্রে কেন অভিনয় করেন? সঞ্জীব কুমার বলেছিলেন, “আমি কোনওদিন বুড়ো হব না। ৫০ বছর বয়সের আগেই মারা যাব। তাই পর্দায় অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে বোঝার চেষ্টা করি বৃদ্ধ বয়সে আমি কীভাবে জীবন কাটাতাম।’’
কী মারাত্মক কথা, তাই না? ঘটেও ছিল তাই। ৫০ বছর বয়সে পৌঁছনোর আগে বংশগত হৃদরোগে আক্রান্ত হন সঞ্জীব কুমার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর বাইপাস সার্জারি হয়। কিন্তু তারপরেও বাঁচানো যায়নি। দ্রুত স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। ১৯৮৫ সালের ৬ নভেম্বর মাত্র ৪৭ বছর বয়সে হৃদরোগে মৃত্যু হয় সঞ্জীব কুমারের। ঠিক যেমন তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন।
কী মারাত্মক কথা, তাই না? ঘটেও ছিল তাই। ৫০ বছর বয়সে পৌঁছনোর আগে বংশগত হৃদরোগে আক্রান্ত হন সঞ্জীব কুমার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর বাইপাস সার্জারি হয়। কিন্তু তারপরেও বাঁচানো যায়নি। দ্রুত স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। ১৯৮৫ সালের ৬ নভেম্বর মাত্র ৪৭ বছর বয়সে হৃদরোগে মৃত্যু হয় সঞ্জীব কুমারের। ঠিক যেমন তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন।