তাঁরা বলেন, "আমরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করলেও ঘড়িতে শনিবার রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত সময় দিলাম আমাদের দাবি দাওয়া মেটানোর জন্য। আমাদের দাবি যুক্তিযুক্ত। আমাদের ১০ দফা দাবি অবিলম্বে মেনে নিন। আমরা চাই হুমকি সংস্কৃতি বন্ধ হোক, রোগী পরিষেবা সুরক্ষিত না হলে ডাক্তাররাও সুরক্ষিত নয়। আমাদের নমনীয়তাকে দুর্বলতা ভাববেন না। এই ঘটনার 'মোটিফ' কী সেটা জানাতে হবে। না হলে অভয়ার পুনরাবৃত্তি ঘটবে। আমরা চাই সিবিআই-এর তদন্ত আরও দ্রুততার সঙ্গে করা হোক।"

RG Kar Protest: চিকিৎসকদের মঙ্গলের মিছিলে অনুমতি আদালতের! কিন্তু…মহামিছিলের ‘শর্ত’ বলে দিলেন বিচারপতি

কলকাতাঃ আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে চিকিৎসকদের মিছিলে অনুমতি আদালতের। আগামী ১লা অক্টোবর কলেজ স্কোয়ার থেকে রবীন্দ্রসদন পর্যন্ত মিছিলে অনুমতি বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের। বিকাল ৫ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত মিছিলে অনুমতি আদালতের। তবে, আদালতের নির্দেশ পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক রাখতে হবে মিছিলের সময়।

রাজ্যের পক্ষে আইনজীবী সওয়াল করেন, মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা স্পষ্ট করুক চিকিৎসকদের সংগঠন। অপরদিকে, চিকিৎসকদের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমরা আমাদের সদস্যদের সংখ্যা বলতে পারি, কিন্তু সাধারণ মানুষ যদি যোগ দেন সেই সংখ্যা আমরা কী করে বলব ?’

আরও পড়ুনঃ পুজোর আগেই ‘হাতে হাত’…মানববন্ধন কর্মসূচিতে আজ নামছে তৃণমূল কংগ্রেস!

বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের রাজ‍্যকে প্রশ্ন করেন, মনে করুন যদি এই মিছিলে ১০ লাখ সাধারণ নাগরিক শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ জানাতে স্বতস্ফূর্তভাবে যোগ দেন তাহলে কী তাঁরা প্রতিবাদ জানাতে পারবেন না ? এটা তো তাঁদের সাংবিধানিক অধিকার।

মনে করুন যে এলাকায় ১৪৪ ধারা নেই, সেই এলাকায় বহু মানুষ বেরিয়ে এসে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করলেন। রাজ্য কী ট্রাফিকের কারণ দেখিয়ে প্রতিবাদ জানাতে বারণ করতে পারে? নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা রাজ্যের আছে, জানাল রাজ্য।

রাজ্যের এডভোকেট জেনারেলকে উদ্দেশ করে মন্তব্য বিচারপতি বলেন, ‘আমি এবং আপনি দুজনেই এখানে ছোটবেলা থেকে আছি। দুর্গাপুজোর সময় লক্ষ লক্ষ মানুষ রাস্তায় নামেন। ৪৫-৫০ বছর ধরে পুলিশ দক্ষতার সঙ্গে সবটা নিয়ন্ত্রণ করছে। মানুষ শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রতিবাদ করুক, পুলিশও নিয়ন্ত্রণ করুক। গোটা শহরে ১৪৪ ধারা জারি করে দিন, তাহলে আর কোথাও মিটিং মিছিল হবে না।’ বিচারপতি আরও বলেন, ‘যারা দুর্গাপুজো করেন তাঁরা কি জানেন যে কত দর্শক আসবেন ?

যেমন, সুরুচি সংঘ, গত বছর আমি গেছিলাম। হাজার হাজার মানুষ যান, পুলিশ এবং স্বেচ্ছাসেবক থাকেন। পুলিশ দারুন করে নিয়ন্ত্রণ করেন।’ চিকিৎসকদের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য সওয়াল করেন, ‘পুলিশ তাঁদের অফিসে বসে থাকুক, আমরা চিকিৎসকরা শান্তিপূর্ণ মিছিল করে দেখিয়ে দিচ্ছি।’