পাহাড়ে জন্মানো গাদেরি বর্তমানে শহরে বেশ পছন্দের এক সবজি। এটি স্বাস্থ্যের দিক থেকে খুবই উপকারী বলে বিবেচিত হয়। দেশের বিভিন্ন শহরাঞ্চলে ধীরে ধীরে এটি হয়ে উঠছে মানুষের প্রিয় এক খাবার। গাদেরির জনপ্রিয়তার কারণ হল এর ঔষধি গুণ যা একে বিশেষ করে তোলে। ফাইবার, প্রোটিন, পটাসিয়াম, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম এবং আয়রনের মতো অনেক ধরনের পুষ্টিকর উপাদানে সমৃদ্ধ এই সবজিটি পাহাড়ে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়।আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডা. আইজল প্যাটেলের মতে, আমরা যদি আমাদের ডায়েটে নিয়মিত ফাইবার যোগ করি, তাহলে তা আমাদের বিপাক প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করে, এটি পরিপাকতন্ত্রকে ভাল রাখতে সাহায্য করে। গাদেরিতে ফাইবার যথেষ্ট পরিমাণেই রয়েছে। পাশাপাশি এতে উপস্থিত সোডিয়াম আমাদের মানসিক চাপ কমাতে সহায়ক।এর নিয়মিত সেবন রক্তচাপ যেমন নিয়ন্ত্রণ করে, তেমনই এটি আমাদের হৃদরোগ প্রতিরোধেও সমান কার্যকরী। এই সবজিটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও বিশেষ ভাবে উপকারী, তবে এটি আমাদের সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখা উচিত যে, গাদেরি খাওয়ার পরে যদি কারও স্বাস্থ্যের অবনতি হয় তাহলে অবিলম্বে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।গাদেরি বিভিন্ন ভাবে রান্না করে খাওয়া হয়। পাহাড়ে এই সবজিটি সেদ্ধ করে মশলা সহ রান্না করা হয়, একে বলা হয় ‘গাদেরি কে গুটকে’। এছাড়াও গাদেরির পায়েস, পকোড়া এমনকি পাঁপড়ও তৈরি করা হয়। এর সঙ্গে ডাল যোগ করেও রান্না করা হয়, যা খেতে খুবই সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর।স্থানীয় ব্যবসায়ী ভূপেন্দ্র জোশীর মতে, বাজারে গাদেরির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। বর্তমানে বিভিন্ন শহরে এই সবজিটি প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়। তিনি আরও জানান যে, গ্রাহকরা খুব আগ্রহ নিয়ে এটি কিনছেন। সকালে সদ্য তোলা গাদেরি সন্ধ্যা নাগাদই বিক্রি হয়ে যায়, যা এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির জাজ্বল্যমান প্রমাণ।
