রাজন্যা হালদার

Rajanya Haldar: ছবি বিতর্কের জের…? যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ইউনিট থেকে সরলেন রাজন্যা 

কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের  ইউনিট প্রেসিডেন্ট ছিলেন রাজন্যা। এরপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএমসিপির কমিটি থেকেও সরানো হল রাজন্যাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিট সভানেত্রীর পদ থেকেও সরানো হয়েছে রাজন্যা হালদারকে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কমিটি গড়া হল। তাতে ব্যাপক রদবদল করা হয়েছে টিএমসিপির তরফে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ইউনিটের সভাপতি হলেন কিশলয় রায়।

প্রসঙ্গত, এর আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ইউনিট সভাপতি ছিলেন রাজন্যা হালদার। এবার সহ সভাপতির দায়িত্ব পেলেন তন্ময় প্রামাণিক, ফিরোজ আলি লস্কর, এবং সায়ক চক্রবর্তী। আমিনুল ইসলাম মোল্লা, তীর্থরাজ বর্ধন পেলেন সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব । সম্পাদকের দায়িত্বে শেখ সাহিল, শাহওয়াজ খান, অন্তরা দাস, সোমনাথ সর্দার, উদিতা পাল, রাজ অর্জন সিং এবং ঋতম দত্ত। কার্যনির্বাহী সদস্য হলেন কুতুবুদ্দিন বদ্দি, ঈশিতা সরকার, রূপসা রায়, সানা মন্ডল এবং সৃজিতা বড়ুয়া। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের যাদবপুর ইউনিটের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে অমিত কুমার মণ্ডল।

আরও পড়ুন: ফিরতি বর্ষা…! বৃষ্টির তাণ্ডব…! ভারী-অতি ভারী বৃষ্টি আসছে ৫ রাজ্যে! কী পূর্বাভাস বাংলায়? ভাসবে পুজো? ‘সতর্কতা’ জানিয়ে দিল IMD

প্রসঙ্গত ২০২১ সালে তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে ভাষণ দিয়েছিলেন রাজন্যা হালদার। তাঁর বক্তব্যর ঝাঁঝ মন কেড়েছিল তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের। যাদবপুরের বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন রাজন্যা। নিশানায় বামেদের রেখে তিনি বলেছিলেন, “এই বাম অতিবামদের চিনে নিন। বর্জন করুন ওদের। ওরা খুনি। ওরা আমার এক ভাইকে খুন করেছে। সেটা ঢাকা দেওয়ার জন্য ওরা তৎপর। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ডেপুটেশন দিতে এলে আমাদের অত্যাচার করেছে। আমাদের খুন করার চেষ্টা করেছে। আমাদের মেরেছে। ওরা প্রোগ্রেসিভ বলে নিজেদের! এটা ওদের প্রগতিশীলতা?”

আরও পড়ুন: কিচকিচ করছে বালি…? ১ মিনিটে পরিষ্কার করুন পালং, কলমি, মেথি, সর্ষে শাক! শিখে নিন দুর্দান্ত কৌশল! চকচক করবে প্রতিটা পাতা!

এর পরেই ২০২৩ সালে যাদবপুরকাণ্ডে রাজ্য জুড়ে তোলপাড়ের আবহেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ইউনিট ঘোষণা করেছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। বছর ঘুরতেই সেই ইউনিটে বদল আনা হল। ইতিমধ্যেই রাজন্যা আর প্রান্তিকের স্বল্পদৈর্ঘ্যর সিনেমা নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে। সরিয়ে দেওয়া হয় দু’জনকেই পদ থেকে। সিনেমা রিলিজ করার ব্যাপারে প্রথমে দু’জনে অনড় থাকলেও, পরে তাঁরা সিদ্ধান্ত নেয় সিনেমা রিলিজ হবে না।