প্রযুক্তি নো কস্ট ইএমআই ব্যাপারটা কী? সত্যি কি বাড়তি সুদ দিতে হয় না? নাকি সবটাই ফাঁকি? Gallery October 3, 2024 Bangla Digital Desk উৎসবের মরশুম শুরু। বিভিন্ন অনলাইন শপিং সাইটে এখন একগুচ্ছ অফার চলছে। ফ্লিপকার্ট, অ্য়ামাজনের মতো সাইটে অফার চলবে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত। এই সময় অনেকেই নতুন ফোন বা অন্য গেজেট কেনার প্ল্যান করে থাকেন। ই-কমার্স ওয়েবসাইটে বেশিরভাগ জিনিসই নো কস্ট ইএমআই-তে দেওয়া হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে, একটি প্রশ্ন ওঠে যে, কোম্পানগুলি বা ব্যাঙ্ক আসলেই নো কস্ট ইএমআই-তে কোনও চার্জ নেয়? নাকি এটা পুরোটাই আসলে ফাঁকি? অনেক ই-কমার্স ওয়েবসাইটে গ্রাহকদের ডিসকাউন্ট দেওয়ার পাশাপাশি নো কস্ট ইএমআই অফার করা হয়। গ্রাহকরাও এই অপশন-এ জিনিস কেনার দিকে ঝুঁকে থাকেন। কোম্পানির তরফে দাবি করা হয়, নো কস্ট ইএমআই-তে গ্রাহক কিস্তিতে অর্থাৎ EMI-তে জিনিস কিনতে পারবেন, অথচ দামের উপরে সুদ নেওয়া হবে না। নো কস্ট ইএমআই -এর অর্থ এই ধরনের ইএমআই-এর ক্ষেত্রে গ্রাহকদের কোনও চার্জ দিতে হবে না। কোনও সুদও দিতে হবে না। ইএমআই শোধ করা হলে গ্রাহকের উপর কোনও অতিরিক্ত বোঝা চাপবে না। তবে, এই সুবিধা শুধুমাত্র নির্দিষ্ট ধরনের কার্ডের উপরেই দেওয়া হয়ে থাকে। নো কস্ট ইএমআই-এ ব্যাঙ্কগুলি গ্রাহকদের কাছ থেকে সুদ নেয়। কিন্তু ডিসকাউন্ট আকারে সেগুলি ফেরত দেওয়া হয়। সুদের পরিমাণ গ্রাহককে ফেরত দেওয়া হয়। তবে এক্ষেত্রে গ্রাহকের কাছ থেকে শুধুমাত্র প্রসেসিং ফি নেওয়া হয়। সেটি বেশ কম। ধরা যাক, একটি ল্যাপটপ অনলাইন শপিং সাইটে এক লাখ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে নো কস্ট ইএমআই নিতে পারেন। তা হলে আপনাকে ৩ বা ৬ মাসের কিস্তিতে টাকা পরিশোধ করার সুবিধা থাকবে। ব্যাঙ্ক এক্ষেত্রে ১৫.৯৯ শতাংশ সুদ ধার্য করল। এর পর ডিসকাউন্ট হিসাবে সেই টাকা গ্রাহককে ফেরত দেওয়া হয়। উদাহরণ হিসেবে, ৩-মাসের কিস্তিতে ২৭৩৭ টাকার সুদ নেওয়া হলে, তার সম্পূর্ণ পরিমাণ ডিসকাউন্ট হিসেবে ফেরত দেওয়া হয়। একইভাবে, ৬ মাসের কিস্তিতে ৪৭২৮ টাকা সুদ নেওয়া হলে তা সরাসরি ফেরত দেওয়া হয়। ল্যাপটপের মোট খরচ অনেকটা কমে যায়। আরবিআই কিন্তু স্পষ্ট বলেছে, আপনি যদি কোনও ঋণ নেন তা হলে সুদসমেত তা ফেরত দিতে হবে। ক্রেডিট কার্ডের বকেয়া জিরো কস্ট ইএমআই স্কিমে, সুদের পরিমাণ প্রায়শই প্রসেসিং ফি আকারে পুনরুদ্ধার করা হয়। জিরো কস্ট ইএমআই-এর ক্ষেত্রে, আরবিআই স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, নো কস্ট ইএমআই-এর ক্ষেত্রে কোনও নির্ধারিত নিয়ম নেই। এক্ষেত্রে প্রসেসিং ফি-র মাধ্যমেও আপনার থেকে অতিরিক্ত টাকা ফেরত নেওয়া হতে পারে।