তিস্তার গতি পরিবর্তন 

Jalpaiguri News: বদলাচ্ছে তিস্তার গতিপথ ! বন্যার আশঙ্কা বাড়ছে অসুরক্ষিত এলাকায়

জলপাইগুড়ি: অতি বর্ষণে ভাঙন ধরছে তিস্তায়। পুজোর মধ্যেও দুশ্চিন্তায় দিন কাটাতে হচ্ছে নদীপাড়ের বাসিন্দাদের। এভাবে চলতে থাকলে হতে পারে বড়সড়ো বিপদ। তিস্তা নদীর তীরবর্তী এলাকায় ব্যাপক ভাঙনের মূল কারণ হিসেবে নদীর গতিপথের পরিবর্তনকে চিহ্নিত করেছে সেচ দফতর।

সেচ দফতরের আধিকারিকদের মতে, নদীর মধ্যভাগে চর তৈরি হওয়া এবং দুই পাশে জলের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়া এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী। দীর্ঘদিন ড্রেজিং না করার কারণে নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হচ্ছে। আর যার ফলে নদী ফুলে ফেঁপে উঠে নদীর তীরবর্তী এলাকায় গ্রামগুলিতে জল ঢুকে প্লাবিত হচ্ছে।ড্রেজিং হলে নদীর তলদেশ থেকে বালি, মাটি ইত্যাদি উত্তোলনের একটি প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়াটি নদীর গভীরতা বজায় রাখতে এবং তার প্রাকৃতিক গতিপথকে স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। নদীর গতিপথ পরিবর্তনের ফলে নদীর তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন ধরছে। নদী তার পথ পরিবর্তন করে নতুন জমি কেড়ে নিচ্ছে এবং গ্রামগুলিকে ধ্বংস করছে।

আরও পড়ুন: ট্রেনের কোচের সাজেই রেস্তরাঁ! পুজোয় আড্ডা, পেটপুজোর ঠিকানা! কোথায় পাবেন

সিকিম এবং ভুটান থেকে আসা জলের প্রবাহও তিস্তার জলস্তর বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সিকিমে আসার জলের সঙ্গে বহু পরিমাণ বালি, মাটি ইত্যাদিও আসে, যা নদীর তলদেশে জমে নদীর গতিপথ পরিবর্তনে সাহায্য করে। তবে দ্রুত নদীখাত ড্রেজিং না করলে তিস্তা সংলগ্ন অসুরক্ষিত এলাকাগুলিতে বন্যার প্রবণতা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে সেচ দফতরের তরফে। প্রসঙ্গত, গত বছর সেপ্টেম্বরে তিস্তায় যে বিপর্যয় দেখা দিয়েছিল তারপর থেকে ভেসে আসা নুড়ি, কাঁকড়, কাদা নদীতে জমে গিয়ে নদীর গভীরতাকে কমিয়ে দিচ্ছে।