লাইফস্টাইল Parenting Tips: আপনার সন্তান কি মোবাইলে আসক্ত…? ১ মিনিটে ছাড়ান নেশা! ছোট্ট টোটকায় কিস্তিমাত! স্ক্রিন টাইম কমবেই, গ্যারান্টি Gallery October 5, 2024 Bangla Digital Desk বর্তমান জীবনে নিউক্লিয়ার ফ্যামিলিতে বাচ্চাদের বড় করা বেশ চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে মা-বাবা কাজে বেরোলে কেয়ার গিভারদের বা বাড়িরই অভিভাবকদের কাছে থাকলে সন্তানরা বেশিরভাগ সময়ই মোবাইল বা ট্যাব নিয়ে কাটিয়ে দেয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। কিন্তু এর ফল হয় সুদূরপ্রসারী। অনেক সময়ই দৃষ্টি শক্তি থেকে মানসিক বিকাশ এমনকি সামাজিক বিকাশের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে ওঠে বাচ্চার মোবাইলের নেশা। কিন্তু কী ভাবে এই সমস্যা থেকে বাঁচাবেন আপনার শিশুটিকে? উত্তর খুঁজতে গেলে বেশিরভাগ সময়ই খুঁজে পান না বাবা-মায়েরা। অথচ বিশেষজ্ঞরা বারবারই এই নিয়ে সতর্ক করেন অভিভাবকদের। তাহলে কী উপায়ে শিশুদের এই ফোন আসক্তি বন্ধ করা যায়? সম্প্রতি এই নিয়ে একটি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে যা চমকে দেবে আপনাকেও। কারণ এই গবেষণা বলছে আপনি চাইলে মিনিটের মধ্যেই ছাড়াতে পারেন সন্তানের নাছোড় স্ক্রিনটাইম। কিন্তু কী উপায়ে? চলুন জেনে নেওয়া যাক বিশদে। গবেষণার দাবি একটি ছোট্ট পরীক্ষা শিশুদের স্ক্রিন টাইম কমিয়ে পড়ুয়াদের ক্লাসে পড়াশোনার কর্মক্ষমতা উন্নত করতে পারে। এর পাশাপাশি অভিভাবকরাও শিশুদের এই আসক্তি থেকে মুক্তি পেতে পারেন ছোট্ট উপায়েই। আমেরিকান গবেষকদের একটি দল এই নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী পরীক্ষা চালায়। আর তাঁদের এই গবেষণাতে উঠে এসেছে যে শিক্ষার্থীদের মাত্র এক মিনিটের জন্য তাদের ফোন ব্যবহার করার অনুমতি দিলে তা ক্লাস চলাকালীন বা দীর্ঘক্ষণ নাগাড়ে ফোনের ব্যবহার কমাতে পারে এবং এমনটা করলে তাঁদের পরীক্ষার ক্ষেত্রেও দারুণ সুবিধা হতে পারে। গবেষণার প্রথম লেখক এবং সাউদার্ন ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অধ্যাপক রায়ান রাডনার এই প্রসঙ্গে বলেছেন, গবেষকরা দেখেছেন যে ক্লাস সেশন ব্রেকে যে ক্ষেত্রে ছাত্রদের প্রযুক্তি বিরতি দেওয়া হয়েছিল সেক্ষেত্রে তাঁদের পরীক্ষায় ভাল পারফরম্যান্স ছিল (৮০ শতাংশের বেশি)। র্যাডনার আরও বলেন, গবেষণায় আমরা দেখেছি এক্ষেত্রে কিন্তু ওই শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার সময় কম বিক্ষিপ্ত হয়েছেন, যার কারণে তারা পরীক্ষায় ভাল পারফর্ম করতে পেরেছে। শিক্ষার্থীরা অ-একাডেমিক উদ্দেশ্যে অর্থাৎ পড়াশোনার কারণ ছাড়া দিনে ১০ বার পর্যন্ত তাদের ফোন ব্যবহার করতে পারেন। কারণ বাস্তবে ক্লাসে ফোন নেওয়ার অনুমতি নেই। পুরো সেশন জুড়ে গবেষকরা এক, দুই বা চার মিনিটের প্রযুক্তি বিরতির প্রভাবকে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে পর্যবেক্ষন করেছেন। গবেষণার ফলাফলে প্রকাশ্যে এসেছে চমকে দেওয়া রেজাল্ট। দেখাচ্ছে মাত্র ১ মিনিটের প্রযুক্তি বিরতির সময় ছাত্র ছাত্রীদের ফোনের ব্যবহার ছিল সর্বনিম্ন। অর্থাৎ মাত্র এক মিনিটের জন্য ফোন থেকে দূরে রাখলে শিক্ষার্থীদের ফোনের ব্যবহার ন্যূনতম কমে যায় এবং সন্তানদের ফোন আসক্তি কমাতে এই পদ্ধতিটি তাই সবচেয়ে কার্যকর। এতে শিশুদের ফোন ব্যবহার কমে যাবে হু হু করে। অস্বীকৃতি: আমাদের এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্য প্রদানের জন্য। সামাজিক মাধ্যম ও নানা ওয়েবসাইটের পাওয়া তথ্য থেকে এই জ্ঞান নেওয়া হয়েছে। তবে এই সংক্রান্ত আরও তথ্যের জন্য এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞের বা আপনার ব্যক্তিগত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।