অনশনকারীদের শারীরিক অবস্থা লিখে রাখা হচ্ছে

Junior Doctors: লালবাজারে ইমেল জুনিয়র ডাক্তারদের, অনশনকারীদের জন্য করলেন জরুরি আবেদন!

কলকাতা: ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনের মঞ্চে বায়ো টয়লেটের বসানোর অনুমতি চেয়ে পুলিশকে ইমেল করা হল। শনিবার রাতেই জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের তরফে ইমেল করা হয়েছে লালবাজারে। পুরুষ এবং মহিলাদের জন্য আলাদা বন্দোবস্তের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত পুলিশের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনও জবাব আসেনি বলে সূত্রের খবর।

ইমেলে লেখা হয়েছে, ”ধর্মতলায় মেট্রো চ্যানেলের পাশে আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশনে বসছি। অনশনে পুরুষ এবং মহিলা আন্দোলনকারীরা যোগ দেবেন। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সম্ভাব্য জটিলতা এড়াতে মহিলাদের জন্য একটি এবং পুরুষদের জন্য একটি বায়ো টয়লেট বসানো প্রয়োজন। যাঁরা অনশনে অংশগ্রহণ করছেন, এক মাত্র তাঁরাই ওই বায়ো টয়লেট ব্যবহার করবেন। অন্য কেউ নয়। আমাদের সেই বায়ো টয়লেট বসানোর অনুমতি দেওয়া হোক।”

আরও পড়ুন: এবার পটাশপুর! বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে মহিলাকে ধর্ষণ-খুনের অভিযোগ! গণপিটুনি অভিযুক্তকে

হুঁশিয়ারি মতোই ধর্মতলার অবস্থান মঞ্চে আমরণ অনশন শুরু করেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা৷ জুনিয়র চিকিৎসকরা কর্মবিরতি প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেও দাবি পূরণের জন্য রাজ্য সরকারকে শনিবার রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত সময় দিয়েছিলেন৷ আন্দোলনকারীদের হুঁশিয়ারি ছিল, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দাবি পূরণ না হলে তাঁরা শনিবার রাত সাড়ে আটটা থেকে আমরণ অনশন শুরু করবেন৷ সেই মতো শনিবার রাত সাড়ে আটটার পরই ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে অবস্থান মঞ্চে আমরণ অনশন শুরু করেন ৬ জন জুনিয়র চিকিৎসক৷

তবে প্রথম দিন অনশন শুরু করা জুনিয়র চিকিৎসকদের মধ্যে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাাতালের কেউ নেই৷ আন্দোলনকারীদের অবশ্য দাবি, ভবিষ্যতে প্রয়োজনে আরও অনেকেই অনশনে বসবেন৷ আরজি কর হাসপাতালের কেউ অনশনে যোগ দেবেন না, এমন কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি৷ জুনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অনশনের স্বচ্ছতা বজায় রাখতে তাঁরা অনশন মঞ্চে সিসিটিভি লাগাবেন৷ শুধু তাই নয়, জুনিয়র চিকিৎসকরা আরও দাবি করেছেন, তাঁরা হাসপাতালে পরিষেবা চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বাকি সময়ে অবস্থান মঞ্চে থাকবেন৷ অনশনরত কোনও জুনিয়র চিকিৎসক অসুস্থ হলে তার দায়ও রাজ্য সরকারকেই নিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা৷ ভবিষ্যতে অনশনকারী চিকিৎসকের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও আন্দোলনকারীদের পক্ষে জানানো হয়েছে৷