পূর্ব মেদিনীপুর: ধর্ষণে বাধা দেওয়ায় মহিলাকে খুনের অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর। এবার ময়না তদন্ত সম্পন্ন হওয়ার পর দেহ নিতে অস্বীকার মৃতার পরিবারের। রিপোর্টে সন্তুষ্ট নয় তাই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানালেন মৃতার ছেলে।
পটাশপুরের মৃতার ছেলে বাপি শীট এবং মৃতের দূর সম্পর্কিত ভাইয়ের অভিযোগ, পোস্ট মর্টেম সম্পন্ন হওয়ার পর পটাশপুর থানার যে পুলিশ পোস্ট মর্টেমের সময় উপস্থিত ছিলেন তিনি বলেছেন মৃত মহিলার কোনওরূপ ধর্ষণ হয়নি। এবং শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। কীটনাশক খাওয়ার ফলে মৃত্যু হয়েছে।
যদিও পরিবারের দাবি, কীটনাশক হয়তো মৃতা নিজেই খেয়েছেন। কিন্ত বাকি অভিযোগ তাঁরা মানতে নারাজ। তাই তারা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন। পুলিশ সাংবাদিক বৈঠক করে ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করলেও মৃতার ছেলে দাবি তার মা ধর্ষিতা হয়েছিলেন। যা পোস্ট মর্টেমের পরে বিষক্রিয়ায় মৃত্যু দেখানো হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ঘটনায় প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, গ্রামেরই এক ব্যক্তি বাড়ি থেকে জোর করে তুলে নিয়ে যান ওই গৃহবধূকে। ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করা হয়। বিষয়টি যাতে ফাঁস না হয়ে যায়, ওই গৃহবধূ যাতে কাউকে কিছু না বলতে পারেন, তার জন্য ধর্ষণের পর গৃহবধূর মুখে কীটনাশক ঢেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ওই অবস্থাতেই গ্রামবাসীরা গৃহবধূকে উদ্ধার করেন।
আরও পড়ুন: মহাষ্টমী-মহানবমীতেই অতি দুর্লভ যোগ! মা দুর্গার কৃপায় ধন দৌলতে ভরবে ঘর, ৪ রাশির শুভ সময় আসছে
এরপর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় মহিলাকে। কিন্তু সেখানেই মৃত্যু হয় নির্যাতিতার। বিষয়টি সামনে আসতেই এলাকায় জনরোষ ছড়িয়ে পড়ে। উত্তেজিত জনতা অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে বের করে এনে গণধোলাই দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ভূপতিনগর থানার পুলিশ। সেখানে পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি তোলা হয়েছে।
পঙ্কজ দাশ রথী