সুমন রঙ্গনাথন। বর্তমানে এই নামটি স্মৃতি থেকে প্রায় মুছেই গিয়েছে। অথচ বলিউডে এক সময় চুটিয়ে অভিনয় করেছেন তিনি। একের পর এক ছবিতে অভিনয় দিয়ে দর্শকদের মন জয় করেছিলেন।সুমনকে শেষ দেখা গিয়েছিল ফিল্ম ‘গুমনাম-দ্য মিস্ট্রি’তে। ছবিটি মুক্তি পায় ২০০৮ সালে। তবে বহু বছর ধরেই আলোকবৃত্ত থেকে দূরে তিনি। ক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে যদিও তিনি বেশ সক্রিয়।১৯৯৬ সালের ‘ফারেব’ দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ সুমনের। বিক্রম ভাট পরিচালিত এই ছবিতে ফারাজ খান এবং সুমন ছিলেন প্রধান ভূমিকায়। ছবিটি বক্স অফিসে বেশ সফল হয়।প্রায় তিন দশকের কেরিয়ারে অনেক হিট ছবি উপহার দিয়েছেন সুমন। ১৯৯৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ঋষি কাপুরের ‘আ আব লউট চলে’ ছবিতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেন। এই ছবিটিতে অক্ষয় খান্না, ঐশ্বর্য রাই বচ্চন এবং রাজেশ খান্নার মতো তারকাদের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছিলেন তিনি। ‘হম তুমহারে হ্যায় সনম’ ছবিতে শাহরুখ খানের বোনের ভূমিকাতেও দেখা যায় তাঁকে।পেশাগত জীবনে সাফল্য পেলেও ব্যক্তিগত জীবনে কম ওঠাপড়া দেখেননি সুমন। তিন বার বিয়ে করেন অভিনেত্রী। প্রথম বিয়ে করেন মডেল গৌতম কাপুরকে। কিন্তু সেই সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর পরিচালক বান্টি ওয়ালিয়াকে বিয়ে করেন তিনি। কিন্তু ২০০৭ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়।তারপর সুমন ব্যবসায়ী সাজন চিন্নাপ্পাকে বিয়ে করেন। কিন্তু সেই সম্পর্কও তাসের ঘরের মতো ভেঙে যায়। বিচ্ছেদের সময় সুমনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছিলেন বান্টি।একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বান্টির পাতানো ভাই এবং জিম প্রশিক্ষকের সঙ্গে সুমনের অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এক সময় অভিনেতা রাহুল রায়ের সঙ্গেও সুমনের নাম জড়িয়েছিল। তাঁরা নাকি লিভ-ইন সম্পর্কেও ছিলেন।
