কলকাতা: পুজোর দিনগুলিতে গভীর রাত পর্যন্ত ট্রেন চালাবে পূর্ব রেল। হাওড়া, শিয়ালদহ দুই ডিভিশনেই চলবে গভীর রাতের লোকাল। পাশাপাশি ভিড়ের মধ্যে যাতে যাত্রীদের টিকিট কাটতে লম্বা লাইনে দাঁড়াতে না হয় সেজন্য বড় স্টেশনগুলিতে বাড়তি কাউন্টারও খোলা হবে। পাশাপাশি সব স্টেশনে স্বয়ংক্রিয় ভেন্ডিং মেশিনও সক্রিয় রাখা হবে।কলকাতায় যারা ঠাকুর দেখতে আসেন তাদের একটা বড় অংশ নির্ভর করে রেলের উপরে।
লোকাল ট্রেনে যাতায়াতকারী মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এর সঙ্গে আবার দূরপাল্লার ট্রেনে যাত্রী এই সময় অনেক বেড়ে যায়৷ সঙ্গে তো পুজো স্পেশ্যাল ট্রেন আছেই৷ এই অবস্থায় যাত্রীদের যাতায়াতে কোনও অসুবিধা হবে না বলে জানাচ্ছে পূর্ব রেল। মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, টিকিট কাটায় যাতে সমস্যা না হয়, সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে৷ সেই ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।
বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত স্টেশনগুলিতে সহায়তার জন্য কর্মী থাকবে। যারা যাত্রীদের টিকিট কাটতে সহযোগিতা করবে। পুজোর দিনগুলিতে স্টেশনগুলিতে পণ্যবহণকারী ট্রলিও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ভিড়ের মধ্যে এই ট্রলি যন্ত্রণার কারণ হতে পারে বলে মনে করেছেন রেলের অফিসাররা। হাওড়া-বর্ধমান মেন ও কর্ড শাখায় সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীতে গভীর রাতে তিনটি ট্রেন চলবে।
হাওড়ার ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার জানিয়েছেন, “প্রাথমিকভাবে আলোচনায় ঠিক হয়েছে রাত ১১.৪৫, ২.৪৫ ও ২টোর সময়ে হাওড়া থেকে আপ ট্রেনগুলি ছাড়বে। হাওড়া স্টেশনে এখন সর্বমোট ২৪টি কাউন্টার খোলা থাকে। পুজোর সময় আরও ছ’টি অর্থাৎ মোট ৩০টি কাউন্টার খোলা থাকবে। স্টেশনে মেডিক্যাল হেল্প বুথ থাকবে। শিয়ালদহ দক্ষিণ, বনগাঁ ও মেন সব শাখাতেও গভীর রাতে ট্রেন চালানো হবে বলে জানিয়েছে ডিভিশন।
পুজোর দিনগুলিতে বিভিন্ন দূরপাল্লার ট্রেন ও হাওড়া, শিয়ালদহের ফুডপ্লাজা ও রেস্তরাঁগুলিতে খাবারে সাত্বিক ও পুজোর বিশেষ মেনুও রাখা হচ্ছে। যাত্রী নিরাপত্তায় এবার কোনওরকম খামতি রাখবে না রেল। জিআরপির পাশাপাশি হাওড়া, শিয়ালদহ-সহ বড় স্টেশনগুলিতে ৫০০ আরপিএফ কর্মী মোতায়েন থাকবে বলে জানিয়েছেন, পূর্ব রেলের আইজি পরমশিব।