কলকাতাঃ কলকাতা পুজোর সময়ে ঠাকুর দেখার ভিড় সামাল দিতে রাত পর্যন্ত মেট্রো চলে। এ বার সেই পথে হাঁটতে চলেছে হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতি। পুজোয় ক’টা দিন যানজট এড়িয়ে জলপথে রাত পর্যন্ত যাতে লোকজন কলকাতায় ঠাকুর দেখতে যেতে পারেন তারই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এর আগেও বেশি রাত অবধি ভেসেল পরিষেবা চেয়ে বারবার সরব হয়েছেন যাত্রীরা৷ কিন্তু সেই পরিষেবা মেলে না৷ এর মধ্যে হাওড়া স্টেশন থেকে মেট্রো চালু হয়ে যাওয়ায় যাত্রীদের একটা বড় অংশ মেট্রো নির্ভরশীল হয়ে উঠেছে৷ তাই লঞ্চে কমেছে যাত্রী৷
আরও পড়ুনঃ মুঠো মুঠো ড্রাই ফ্রুটস রোজ সকালে খালি পেটে খাচ্ছেন? জানুন এর ফলে আপনার শরীরে কী হচ্ছে!
কিন্তু পুজোর সময়ে যাত্রী যথাযথ পাওয়া যাবে বলে মনে করছে হুগলি নদী জলপথ সমবায় সমিতি৷ তাই বেশি রাত অবধি লঞ্চ চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ৯ থেকে ১২ অক্টোবর বেশি রাত পর্যন্ত হাওড়া ফেরিঘাট থেকে লঞ্চ চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কলকাতার বাগবাজার, শোভাবাজার, আহিরিটোলায় পৌঁছে যাবেন। তারপর খুব সহজেই পায়ে হেঁটে চলে যাবেন নামকরা সব মণ্ডপে। লঞ্চে যাওয়া যাবে বাবুঘাটে। সেখানে নেমেও দক্ষিণের ঠাকুর দেখতে যেতে পারবেন দর্শনার্থীরা।সমিতির চেয়ারম্যান রাইচরণ মান্না বলেন, ‘সাধারণত সকাল আটটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত ফেরি সার্ভিস চলে। পুজোর চারটে দিন দর্শকদের কথা চিন্তা করে বেশি রাত পর্যন্ত লঞ্চ চলবে। হাওড়া থেকে বাগবাজার রুটে চারটি ভেসেল ১৫ মিনিট অন্তর ছাড়বে।’
তবে কত রাত পর্যন্ত লঞ্চ চলবে তা এখনও জানানও হয়নি। যাত্রীদের ভিড় কেমন হয়, তা বুঝেই লঞ্চ চালানো হবে। একই সঙ্গে যে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে লঞ্চঘাটের নিরাপত্তায় পুলিশ এবং জলসাথী কর্মীদের সংখ্যাও বাড়ানো হবে। যাত্রীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি এড়াতে হাওড়া ফেরিঘাটের এক নম্বর জেটি থেকে যাত্রী তোলা হবে এবং দু’নম্বর জেটিতে যাত্রী নামানো হবে। নিত্যযাত্রীরা যাতে জলপথে ঠাকুর দর্শনে যান তার জন্য মাইকে প্রচারের পাশাপাশি ঘাটে ফ্লেক্স টাঙানো হবে। সমিতির এই সিদ্ধান্তে খুশি যাত্রীরা। তাদের দাবি রাত অবধি ভেসেল চললে যাত্রীদের সুবিধা হবে৷ আর যাত্রী মিলবেও৷ মানুষ ভিড় বা যানজট এড়িয়ে আরামে স্টেশনে আসতে পারবেন ট্রেন ধরতে৷ তাই সারারাত ভেসেল পরিষেবা দেওয়া হোক৷