বৈঠকের ডাক মুখ্য সচিবের

Junior Doctors: অবশেষে জুনিয়র ডাক্তারদের স্বাস্থ্য ভবনে বৈঠকে ডাকলেন মুখ্যসচিব! আজই উঠবে অনশন?

কলকাতা: আরজি কর-কাণ্ডে প্রতিবাদে আমরণ অনশনের পথে গিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। গত শনিবার রাত থেকে ধর্মতলায় আমরণ অনশনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। শনিবার রাতে অনশনে বসেছিলেন ছয় জন জুনিয়র ডাক্তার। রবিবার সেই অনশনে যোগ দেন আরজি কর হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতো। অবশেষে সেই জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকে ডাকলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ।

রাজ্যের মুখ্য সচিবের পক্ষ থেকে জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকে বসার আহ্বান জানিয়ে ইমেল করা হয়েছে। সল্টলেক স্বাস্থ্য ভবনে আজ সন্ধ্যা ৭:৪৫ মিনিটে রাজ্য টাস্ক ফোর্সের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য ডাক দেওয়া হয়েছে। এই টাস্ক ফোর্সের চেয়ারম্যান মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ। ৮ থেকে ১০ জন জুনিয়র চিকিৎসককে আলোচনায় বসার ডাক দিয়ে মেইল করা হয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টকে। আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের তরফেও জানানো হয়েছে, মুখ্যসচিবের ডাকে সাড়া দিয়ে তাঁরা বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছেন। ফলে ষষ্ঠীর দিনই আন্দোলনকারীরা অনশন থেকে সরে আসবেন কিনা, তা নিয়েই এখন যাবতীয় জল্পনা।

আরও পড়ুন: ফের জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনায় বসুন মুখ্যমন্ত্রী, আমরণ অনশনের প্রেক্ষিতে চিঠি নাগরিক সমাজের

এদিকে, জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনকে সমর্থন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে চিঠি দিয়েছেন নাগরিক সমাজের একাংশ। জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে রাজ্য সরকারকে ফের আলোচনায় বসার আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। মঙ্গলবারই জুনিয়রদের সমর্থন জানিয়ে সিনিয়র ডাক্তাররাও বড় পদক্ষেপ করেন। আরজি কর হাসপাতালের বিভিন্ন ফ্যাকাল্টি অর্থাৎ অধ্যাপকেরা জুনিয়র ডাক্তারদের সমর্থনে প্রতীকী গণইস্তফা দেন। সেই তালিকায় জুড়েছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও মেদিনীপুরেও সিনিয়র ডাক্তাররা গণইস্তফা দিয়েছেন। এবার মুখ্যমন্ত্রীকে আবেদন জানিয়ে নাগরিক সমাজের একাংশ চিঠি দিল রাজ্য সরকারকে।

বুধবার ৭৫ জন মানুষের সই করা সেই চিঠি ইমেল করা হয়েছে। সেই ৭৫ জনের মধ্যে চলচ্চিত্র, চিকিৎসা, শিক্ষা, আইন ক্ষেত্রের বিশিষ্টজনরা রয়েছেন। চিঠিতে জয়নগরে শিশু খুনের ঘটনা, পার্ক স্ট্রিট থানায় মহিলাকে নিগ্রহের ঘটনার মতো বেশ কিছু ঘটনারও উল্লেখ করা হয়েছে। চিঠিতে লেখা হয়েছে, ”আরজি করের ঘটনার পরেও নানা জায়গায় রাজ্যের একাধিক জায়গায় যৌন নিগ্রহ, হেনস্থার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট এলাকার পুলিশ-প্রশাসনের খামতি, কোথাও কোথাও পুলিশই নিগ্রহে অভিযুক্ত হওয়ায় সার্বিক ভাবে নিরাপত্তাহীনতার বোধ তৈরি হয়েছে। সেই কারণে জুনিয়র ডাক্তারেরা বাধ্য হয়েই আমরণ অনশন শুরু করেছেন।” জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে ফের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যচিবকে বৈঠকে বসার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। এরপরই মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসার ডাক দেওয়া হল জুনিয়র ডাক্তারদের।