এক অফিসিয়াল বিবৃতির মাধ্যমে টাটা গ্রুপ রতন টাটার মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে এনেছে। তবে তাঁর মৃত্যুর পরে এই বিশাল সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকারী কে হবেন, তা নিয়ে ঘনীভূত হচ্ছে জল্পনা।

Ratan Tata Death News: ‘থ্যাংক- ইউ ফর…’ তাঁর ‘শেষ’ সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে কী লিখেছিলেন রতন টাটা? চোখের জলে ভাসলেন অসংখ্য ফ্যান!

মুম্বই: ভারতের ‘অমূল্য রত্ন’ রতন টাটা আর নেই। টাটা গ্রুপের প্রাক্তন চেয়ারম্যান রতন টাটা বুধবার রাতে মুম্বইয়ের ব্রিচ কান্ডি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্য়াগ করেন। মৃত্য়ুকালে বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। আজ, বৃহস্পতিবার তাঁকে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় সম্মানের সঙ্গে বিদায় জানানো হবে। তিনি শুধু শিল্পপতি নন, বরং পরিচিত ছিলেন উদ্যোগপতি হিসাবে। রতন টাটা টাটা গ্রুপকে বৈশ্বিক মঞ্চে পরিচিতি দিয়েছেন। গত সোমবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এই প্রবীণ শিল্পপতি। সোমবার সকাল থেকেই সংবাদমাধ্যম ছেয়ে গিয়েছিল একাধিক ভুয়ো খবরে। নানা মহলে তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছিল। দু’দিন আগেই রতন টাটা তাঁর সোশ্যাল পোস্টের মাধ্যমের পোস্টে সব জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে শিল্পপতি নিজেই জানান, এ সব খবর ভুয়ো।

রতন টাটা সোমবারের শেষ পোস্টে সব জল্পনা নস্যাৎ করে দিয়ে নিজেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, সুস্থ রয়েছেন তিনি। তিনি লিখেছিলেন: “আমার সম্পর্কে ভাবার জন্য ধন্যবাদ।” সম্প্রতি আমার স্বাস্থ্য নিয়ে নানা জল্পনা রটেছে। কিন্তু আমি সকলকে জানাতে চাই যে, এই খবরগুলি ভুয়ো। বর্তমানে বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যার কারণে নিয়মমাফিক চেক-আপের জন্য হাসপাতালে যেতে হচ্ছে। চিন্তার কোনও কারণ নেই। আমি সুস্থ রয়েছি। জনগণ এবং সংবাদমাধ্যমের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি, আপনারা দয়া করে ভুয়ো খবর ছড়াবেন না।”

তবে বুধবার টাটার এক প্রতিনিধি জানান, তিনি চিকিৎসায় তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দিচ্ছেন না। তারপর থেকেই বাড়ছিল উদ্বেগ। তারপরেই রাতে এল এই দুঃসংবাদ। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা দেশে।

আরও পড়ুন: শিল্প তাঁর, তিনি শিল্পীও! কর্পোরেট থেকে পথকুকুর, তিনি বন্ধু! বিদায় রতন টাটা…

আরও পড়ুন: ভারতের শিল্পজগতে নক্ষত্র পতন, ‘অসাধারণ মানুষ ছিলেন…’ বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

বিশ্বের দরবারে জনপ্রিয় এই ভারতীয় শিল্পপতির প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লিখেছেন, ‘শ্রী রতন টাটা জি একজন দূরদর্শী ব্যবসায়ী নেতা, একজন মমতাময়ী আত্মা এবং একজন অসাধারণ মানুষ ছিলেন। তিনি ভারতের অন্যতম প্রাচীন এবং সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে স্থিতিশীল নেতৃত্ব প্রদান করেছিলেন। একই সময়ে, তাঁর অবদান বোর্ডরুম ছাড়িয়ে গিয়েছে। তিনি তার নম্রতা, দয়া এবং আমাদের সমাজকে আরও উন্নত করার জন্য একটি অটল অঙ্গীকারের জন্য অনেক লোকের কাছে নিজেকে প্রিয় করেছিলেন।’