বিনোদন ‘বিয়ে করে সংসার পাততে চেয়েছিলাম…’, মেটেনি মনের সাধ, ৭০ বছর বয়সেও একাই কাটে রেখার দিন-রাত Gallery October 10, 2024 Bangla Digital Desk মনের সাধ না মেটার যাতনা বড় দুঃসহ। বিশেষ করে তা না মেটার কোনও কারণ যখন ছিল না। রূপ দিয়েছেন বিধাতা উজাড় করা, মানবজীবনের প্রতি পদক্ষেপে অর্জন করেছেন গুণাবলী। তার পরেও পুষ্পাবলী আর জেমিনি গণেশনের মেয়ের জীবন কাটে একাই! আজ একদিকে যেমন দেশ মেতেছে শারদ নবরাত্রির উদযাপনে, বাংলায় এবং আরও কয়েক রাজ্যে বেজে উঠেছে দুর্গা সপ্তমীর ঢাক, ঠিক সেই ১০ অক্টোবর, ২০২৪ তারিখেই নিজের জন্মদিন পালন করছেন রেখা। এবার পা দিলেন ৭০ বছর বয়সে। জীবনের রেখা কিন্তু একই রকম- শুভেচ্ছার বন্যা বয়ে যাবে জন্মদিনে, নিঃসঙ্গতার প্লাবনে ভাটা আসবে না। বলতেই পারেন অনেকে, কী না পেয়েছেন তিনি সুদীর্ঘ এই জীবনে! সাফল্য, অর্থ, চিরস্থায়ী যৌবন- ঈর্ষা করার জন্য যা যা থাকতে পারে, সবই তো তাঁর আছে! ভানুরেখা কিন্তু এর কোনওটাই চাননি। মা-বাবার রাখা নাম এটাই, রেখা হয়ে ওঠার ইতিহাস স্বতন্ত্র। সিমি গারেওয়ালকে এক ইন্টারভিউতে বলেছিলেন রেখা, তিনি কোনও দিন অভিনয়ের জগতে আসতেই চাননি। আর পাঁচটা মেয়ের মতো তাঁরও স্বপ্ন ছিল সংসারের। “বিয়ে করে সংসার পাততে চেয়েছিলাম”, জানিয়েছেন রেখা। ফলে, যতই তিন বছর বয়স থেকে ক্যামেরার সামনে এসে দাঁড়ান না কেন, অভিনয়টাকে সেভাবে গুরুত্ব দেননি কেরিয়ারের প্রথমে। ঘর ছবিতে ধর্ষিতার চরিত্রে অভিনয় যখন তুমুল প্রশংসা নিয়ে এল, রেখা বলছেন, একমাত্র সেই সময় থেকেই তিনি অভিনয়টা গুরুত্ব দিয়ে করতে শুরু করেন। বিয়ে অবশ্য হয়েছিল ১৯৯০ সালে, উদ্যোগপতি মুকেশ আগরওয়ালের সঙ্গে। অবসাদগ্রস্ত স্বামী আত্মহত্যা করেন বিয়ের ৮ মাসের মাথায়, শ্বশুরবাড়ি থেকে জোটে ডাইনি অপবাদ! রেখা চুপ করেই ছিলেন, ভদ্রতার সীমা তিনি কোনও দিন লঙ্ঘন করেননি। বিয়ে এবং সংসারের এই অচরিতার্থ আকাঙ্ক্ষাই সিঁথিতে টেনে সিঁদুর দেওয়ার কারণ, বলে থাকেন অনেকেই। নায়িকা নিজে বলেন অন্য কথা। উমরাও জান ছবির যখন জাতীয় পুরস্কার নিতে যান, সে দিনেও ছিল সিঁথিতে সিঁদুর। সেই সময়ের রাষ্ট্রপতি নীলম সঞ্জীবা রেড্ডি প্রশ্ন করেই ফেলেন- ‘‘আপনি সিঁথিতে সিঁদুর দেন কেন’’? ‘‘আমি যে শহর থেকে এসেছি, ওখানে সিঁথিতে সিঁদুর দেওয়া খুব সাধারণ ব্যাপার… ফ্যাশন বলতে পারেন’’, সবিনয়ে শুধু এটুকুই জানিয়েছিলেন রেখা!