লাইফস্টাইল Health Tips: মটন ফেলে হাত চেটে খাবেন প্রোটিনের ‘পাওয়ারহাউজ’ এই সবজি, ডায়াবেটিস-হার্টের অসুখের যম Gallery October 12, 2024 Bangla Digital Desk ‘ধরতি কা ফুল’। নাম শুনলে মনে হবে কোনও ফুল বুঝি, যার সঙ্গে মাটির নিবিড় যোগ রয়েছে। কিন্তু আদতে সবজি। ইদানীং লখিমপুরের বাজারে ‘ধরতি কা ফুল’-এর চাহিদা তুঙ্গে। রমরমিয়ে বিক্রি হচ্ছে। দাম কেজি প্রতি হাজার টাকা। কিন্তু তারপরেও এই সবজি কেনার জন্য সকাল থেকে লাইন পড়ে যায় খদ্দেরদের। নিরামিষ এই সবজি দেখতে মোটা পাট কাঠির মতো। দুধের মতো সাদা রঙ। বর্ষার মরশুমে বনে জঙ্গলে হয়। মাটি খুঁড়ে তুলে আনেন বিক্রেতারা। খেতে সুস্বাদু। পুষ্টিগুণও অনেক। মজার ব্যাপার হল, চিকেন তো দূরের কথা, মাটনের চেয়েও ‘ধরতি কা ফুল’-এর দাম বেশি। তবে যাঁরা খেয়েছেন, তাঁরা বলেন, ধরতি কা ফুল রাঁধলে মাটন ফেলে খেতে হবে। সবজি বলা হলেও ‘ধরতি কা ফুল’ এক ধরনের ছত্রাক। এর বিজ্ঞানসম্মত নাম Termitomyces। এটি Lyophyllaceae পরিবারের অন্তর্গত। অনেকে বুনো মাশরুমও বলে থাকেন। গোটা বিশ্বে প্রায় ৪০টি প্রজাতি রয়েছে। সবকটাই খাওয়া হয়। তবে বিষাক্ত মাশরুমের সঙ্গে এর গঠনগত মিল প্রচুর। তাই একমাত্র অভিজ্ঞ ব্যক্তিরাই আসল ‘ধরতি কি ফুল’ চিনতে পারেন। বিষাক্ত মাশরুমের সঙ্গে গুলিয়ে ফেললে মৃত্যু নিশ্চিত। ‘ধরতি কা ফুল’-এর ডাঁটি প্রায় ৩ আঙুল লম্বা। ক্যাপ ৩ ফুট ব্যাসার্ধের হয়। সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় আফ্রিকায়। উগান্ডার আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে এই মাশরুম খাওয়ার চল বহু প্রাচীন। কৃষিবিজ্ঞানীরা দেখেছেন, যেখানে উইপোকার ঢিবি থাকে সেখানেই এই মাশরুম জন্মায়। উইপোকার মল থেকে এই মাশরুম পুষ্টি সংগ্রহ করে। আবার এই মাশরুম উইপোকার খাদ্য। অর্থাৎ এরা একে অপরের পরিপূরক। বিজ্ঞানের পরিভাষায় একে বলা হয় ‘সিম্বায়োসিস’। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘ধরতি কা ফুল’-এ প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। যাঁরা প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারের সন্ধান করছেন, তাঁদের জন্য এই সবজি বা মশরুম আদর্শ। হৃদরোগী এবং ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য বিশেষ উপকারী। শুধু গ্রাম নয়, শহরের বাসিন্দাদের মধ্যেও এই মাশরুমের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এর মূল অংশটা থাকে মাটির নীচে। বাকিটা উপরে। গ্রামের মানুষ ভোরবেলা দল বেঁধে মাশরুম তুলতে বার হন। মাটি খুঁড়ে খুব সাবধানে বার করা হয় ‘ধরতি কা ফুল’, কারণ এটি খুব পলকা। একটু চাপ দিলেই ভেঙে যায়। আর ভেঙে গেলে বা বেঁকে গেলে দাম কমে যায়।