আবীর ঘোষাল, কলকাতা: দু’জনের পুজোর লড়াই নাকি জমজমাট। স্বল্প দূরত্বের মধ্যেই দুই মেগা-পুজোর মধ্যে চলে ভিড় টানার লড়াই। পুরস্কারের লড়াই। কান পাতলেই শোনা যায়, দুই হেভিওয়েটের পুজো নিয়ে ঠান্ডা লড়াই। এহেন দুই হেভিওয়েটের পুজোর মধ্যেই এক অন্য সম্পর্কের হাতছানি।
অতীতে নবমীর সন্ধ্যায় সপরিবারে সুরুচির পুজো দেখতে হাজির হতেন কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম। সুরুচি সঙ্ঘ। যে পুজোর এবারের থিম পুরানো সেই দিনের কথা। আর এই পুজো হল রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাসের ৷ অন্যদিকে দুর্গাপুর ব্রিজ পেরোলেই চেতলা অগ্রণীর পুজো। যাদের থিম আবার গঙ্গা দূষণ রুখে। আর এই দুই পুজোর থিমের লড়াইয়ে জমজমাট পুজো পাগলদের লড়াই। চেতলার দাদা অবশ্য ভাই অরুপের পুজো দেখতে নবমীর সন্ধ্যায় হাজির হতেন নিউ আলিপুরে। সেখানেই অন্য মুডে পাওয়া যেত দুই হেভিওয়েটকে। ঢাক বাজাতেন দু’জনে একসঙ্গে এই ছবিও দেখা যেত।
আরও পড়ুন– রতন টাটার ভাই জিমিকে চেনেন? দুই কামরার ফ্ল্যাটে মধ্যবিত্ত জীবনযাপন করেন,রাখেন না মোবাইলও
কেমন লাগল সুরুচির পুজো? ববি হাকিম জানিয়েছেন, ‘‘দারুণ পুজো করেছে অরুপ। বিশেষ করে পুজোর খুঁটিনাটি ও দেখাশোনা করে।’’ কিন্তু অভিযোগ বা অনুযোগ থাকে, দাদা ববির পুজোয় যান না অরুপ। খুব কষ্ট করে মনে করলে কয়েক বছর আগে, দলনেত্রীর আদেশে দাদা ববির পুজো দেখতে গিয়েছিল অরুপ। ব্যাস, ওই একবারই। তবে আবার প্রশ্ন উঠতেই ফিরহাদের সপাটে জবাব, ‘‘অরুপ আমার অনেক আগে থেকে পুজো করে। তবে আমরা দু’জনেই লোহার ব্যবসায়ী। একজন টাটা স্টিলের। অন্যজন হল, রাখালদার দোকানের।’’
মেয়রের এই কথায় অবশ্য সম্মতি আছে উভয় ক্লাবেই। দাদার কথায় বেদম মজা পেয়েছেন ভাই অরুপ। তিনি জানিয়েছেন, ‘‘দাদা আমার বিনয়ের অবতার। কিন্তু চেতলার পুজোও আমার পুজো। আমরা দুই দাদা-ভাই একসাথে পুজো করি। আর আমাদের পুজোতেই ভিড় হয়।’’ দু’জনেই পুজোর লড়াইয়ে বন্ধুত্বের বার্তা দিচ্ছেন৷ তবে কলকাতার পুজো নিয়ে যারা খোঁজ খবর রাখেন, তারা বলছেন চেতলা অগ্রণী ও সুরুচি সঙ্ঘ উভয় মণ্ডপ দেখতে হয়, না হলে পুজো দেখার আশ মেটে না।