সময়ের কাজ সময়ে করলে শরীর থাকে চাঙ্গা। সব কিছুরই একটা নির্দিষ্ট সময় হয়। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনে সেই সময়টা মানা হয় না। আর তখনই হয় বিপদ।রাতের খাবার খাওয়ার আদর্শ সময় যে কখন তা নিয়ে প্রশ্নের শেষ নেই। কেউ বলে আটটার ভিতর রাতের খাবারটা খেয়ে নেওয়া উচিত আবার কেউ বলে নটা-কিংবা ১০টা।এখন কেউ কেউ শরীরের তুলনায় ওজনের কথা ভেবে নৈশভোজের সময় ঠিক করেন। ওজন কমাতে ফল, শুকনো ফল, সেদ্ধ সবজি, স্যুপ, পনির, মুরগির মাংস, ডিম এবং বাটারমিল্ক নৈশভোজে অন্তর্ভুক্ত হতেই পারে তবে তার কিন্তু নির্দিষ্ট সময় আছে।পুষ্টিবিদদের মতে, রাত ৮ টার আগে খাবার খেয়ে নিলে সবচেয়ে আদর্শ। এই অভ্যাসের কিছু স্বাস্থ্যকর দিক রয়েছে। বেশি রাতে খেলে খাবার হজম করতে সমস্যা হয়।রাত ৮টার মধ্যে ডিনার সারলে শরীর ক্যালোরি খরচ করার অনেক বেশি সময় পায়। ফলে হজম ভাল হয়।রাতের খাবার খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে পড়লে হতে পারে বড় বিপদ। ডায়াবেটিস, থাইরয়েড, হৃদরোগে ভুগছেন, এমন রোগীদের রাতে হালকা এবং তাড়াতাড়ি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।বিশেষজ্ঞদের মতে, খাওয়ার পরই ঘুমালে খাবার ঠিকমতো হজম হয় না। যে কারণে ওজন বৃদ্ধি, অ্যাসিড রিফ্লাক্স এবং হজমের সমস্যা যেমন বুকজ্বালা, গ্যাস অ্যাসিডিটি, পেট ফোলা দেখা দেয়।ডায়েটিশিয়ান কামিনী সিনহার মতে, রাতের খাবারের সময় আমাদের ঘুমের গুণমান এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উপর দারুণ প্রভাব ফেলে। ঘুমের প্রায় ২-৩ ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খাওয়া উচিত। আপনি যদি রাত ১০ টায় ঘুমাতে যান তবে আপনার রাতের খাবার ৭-৮ টায় খাওয়া উচিত।রাতে জাঙ্কফুড বা ভারী খাবার এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। সতর্কীকরণ- প্রতিবেদনটি সাধারণ জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে লেখা। বিশদ জানতে বিশেষজ্ঞের পরমার্শ নিন।
