মুম্বই: নিজের দুর্ধর্ষ অভিনয় দক্ষতার জোরে ভক্তদের মনে বিশেষ জায়গা তৈরি করে নিয়েছেন আলিয়া ভাট। ‘হাইওয়ে’-র মতো ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। তবে অভিষেক চৌবের ‘উড়তা পঞ্জাব’ যেন অভিনেত্রীর কেরিয়ার গ্রাফটাই আমূল বদলে দিয়েছিল! আসলে আলিয়াকে এমন এক চরিত্রে দেখা গিয়েছিল, যা তিনি আগে কখনও করেননি। এমনকী একটি পুরনো ভিডিও ক্লিপে অভিনেত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছে যে, ‘উড়তা পঞ্জাব’ ছবির পরিচালক তাঁকে নিয়ে একেবারেই নিশ্চিত ছিলেন না। ফলে পরিচালককে রাজি করাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছিল অভিনেত্রীকে।
কীভাবে এই চরিত্র তিনি পেয়েছেন, তা রেডিট-এ শেয়ার করা একটি ক্লিপে আলিয়াকে বলতে শোনা গিয়েছে। অভিনেত্রীর কথায়, “ওই সময় আমি আর শাহিদ ‘শানদার’ ছবির শ্যুটিং করছিলাম। তো উনি আমায় চিত্রনাট্যের বিষয়ে বলেন। আসলে উনি বলেছিলেন, খুবই ভাল চিত্রনাট্য, তাই আমাকে পড়ে শোনাতে চেয়েছিলেন। হয়তো উনি আমার পরামর্শ চেয়েছিলেন অথবা কিছু বলতে চেয়েছিলেন, সেটা আমি জানি না। আসলে শাহিদ আর আমার ভাল বন্ধুত্ব তৈরি হয়ে গিয়েছিল। উনি শুধু আমায় চিত্রনাট্যটা পড়তে বলেছিলেন। তো আমি চিত্রনাট্য পড়লাম। মনে হল, বাহ! কী দারুণ চরিত্র। আমি তখন বলেছিলাম, শোনো আমি এই চরিত্রটা করতে চাই। তো শাহিদ আমায় বললেন যে, ‘আচ্ছা। আমারও মনে হয় এটা খুবই ভাল হবে। তোমার একবার চৌবের সঙ্গে দেখা করা উচিত’। তাই আমি চৌবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁকে রাজি করিয়েছিলাম।”
এই বিষয়ে আলিয়া বলেন যে, “চৌবের মনে আমার একটা অন্যরকম ছবি ছিল। ফলে উনি আমাকে ওই চরিত্রের সঙ্গে মেলানোর চেষ্টা করছিলেন। তাই আমাকে ওই চরিত্রের ছাঁচে কল্পনা করা চৌবের জন্য বড় বিষয় ছিল। কিছুতেই মানছিলেন না তিনি। তাই আমরা একটা লুক টেস্ট বা ওরকমই কিছু একটা করেছিলাম। তারপরেও আশ্বস্ত হননি তিনি।
আমি এ-ও বলেছিলাম যে, আমি খুবই কঠোর পরিশ্রম করব। আমি সত্যি সত্যিই নিজেকে প্রমাণ করব। কিন্তু এই চরিত্রে আমায় অভিনয় করতেই হবে। আসলে আমি প্রমাণ করতে চেয়েছিলাম যে, অন্য ধারার চরিত্রও আমি করতে পারি। আমি আসলে নিজেকে প্রমাণ করে সকলকে দেখাতে চেয়েছিলাম যে, আমি একটা গিরগিটি। যে কোনও জায়গায় যে কোনও আকার-আকৃতি নিতে পারি আমি। মোট কথা, যে কোনও ভাবে এটাই প্রমাণ করতে চেয়েছিলাম। তাই লুক টেস্ট আর সব কিছুই করেছিলাম। আমার মনে হয়, এই সময় তাঁর মাথায় কোনও কিছু ক্লিক করে যায়। আমার কঠোর সাধনা দেখে মন বদল হয়েছিল তাঁর। আর সত্যি সত্যিই আমি কঠোর পরিশ্রম করেছিলাম।” আর বলাই বাহুল্য যে, এক পরিযায়ী শ্রমিক যিনি মাদকের নেশা কাটাতে লড়াই করছেন, সেই চরিত্রে আলিয়া ভাটের অভিনয় সকলের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা কুড়িয়ে নিয়েছে।