জ্যোতিষকাহন, দক্ষিণ ২৪ পরগনা Laxmi Puja Alpana: আলপনায় মা লক্ষ্মীর পায়ের ছাপ না থাকলে পুজোই হয় না, কিন্তু কেন এই আলপনা দেওয়া হয়, রইল কারণ Gallery October 15, 2024 Bangla Digital Desk লক্ষ্মীপুজো উপলক্ষে বহু ধরনের আলপনা দেওয়া হয়, তবে, তার মধ্যেও সবথেকে বেশি প্রচলিত হল ‘কোজাগরী আলপনা’। কোজাগরী, অর্থা়ৎ ‘কে জাগে রে’ যে জেগে থাকবে তার ঘরে মা লক্ষ্মী আসবেন পায়ে হেঁটে, ছ়ড়িয়ে যাবেন ধান। তাই আলপনায় এই লক্ষ্মীর পা ও ধানের নকশা থাকে। আলপনা ছাড়া লক্ষ্মীপুজো অসম্ভব। তবে অন্যান্য পুজো ও কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর আলপনায় কিছু পার্থক্য রয়েছে। এই পুজোর আলপনায় ধানের ছড়া, মুদ্রা ও দেবী লক্ষ্মীর পায়ের ছাপ থেকে যায় । এই আলপনা দেখেই কার বাড়িতে পুজো হচ্ছে তা বুঝতে পারেন দেবী । কারণ লক্ষ্মীর বিবিধ পাঁচালীতে আমরা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি, গৃহের বধূর লক্ষী ব্রত বা পূজনের কথা বলা হচ্ছে। অর্থাৎ অন্তরের বা অন্তঃপুরের লক্ষ্মীস্থিতির কথা তিনি বলছেন। প্রতিটি নারীলক্ষ্মীকে সূচিত করা হচ্ছে ওই জোড়া পা দিয়ে। তাঁরা ঘরেই থাকেন। বাঙালি বাড়িতে লক্ষ্মী পুজোর দিনে আলপনার এক বিশেষ ভূমিকা আছে। চালের গুঁড়ো গুলে সুন্দর মোটিফ এবং ফুলের নকশায় তুলো ভিজিয়ে বা তুলির টানে আঁকা হয় আল্পনা। সাধারণত প্রতিমার সামনে মেঝেতে বা ঘরের প্রবেশপথে দরজার সামনে আলপনা দেওয়া হয়ে থাকে লক্ষ্মীর আরাধনায় চিরকালের অংশ হয়ে উঠেছে আলপনা। লক্ষ্মীপুজোয় কবে প্রথম ব্যবহার করা হয়েছিল আলপনা, তা জানা যায় না। তবে, কথিত আছে, যে ভক্ত সারা রাত নিষ্ঠাভরে জেগে থাকেন দেবীর অপেক্ষায়, দেবী তাঁর ঘর আলো করে আসেন। চুপচাপ তিনি পুজোর ঘরে প্রবেশ করেন চৌকাঠ পেরিয়ে। লক্ষ্মীর পায়ের প্রতীকী ছাপও তাই থাকে আলপনায়। লক্ষ্মীর আরাধনায় চিরকালের অংশ হয়ে উঠেছে আলপনা। লক্ষ্মীপুজোয় কবে প্রথম ব্যবহার করা হয়েছিল আলপনা, তা জানা যায় না। তবে, কথিত আছে, যে ভক্ত সারা রাত নিষ্ঠাভরে জেগে থাকেন দেবীর অপেক্ষায়, দেবী তাঁর ঘর আলো করে আসেন। চুপচাপ তিনি পুজোর ঘরে প্রবেশ করেন চৌকাঠ পেরিয়ে। লক্ষ্মীর পায়ের প্রতীকী ছাপও তাই থাকে আলপনায়।