দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে স্টেশন সুপারিনটেনডেন্ট শামিম আহমেদ বলেন, “বিকল্প লাইন ধরে ট্রেন চলছিল, তবে ক্রসিং প্রায় ৬ ঘণ্টা বন্ধ ছিল”। রেলকর্মীদের প্রচেষ্টায় ১১টা ১৫ নাগাদ বেলাইন কামরা দুটিকে লাইনে স্থানান্তরিত করে ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক করা হয়”। প্রতীকী ছবি।

Durga Puja Special Train: পুজোতে নেই ট্রেনের টিকিট, ভর্তি ওয়েটিং লিস্টও! মাথায় হাত ভ্রমণপিপাসুদের

কলকাতাঃ ভ্রমণপ্রিয় বাঙালি পুজোর সময় বেড়াতে যাবেই। পুজোর সময় ট্রেনে প্রচুর ভিড় হয় এবং ওয়েটিং লিস্টও থাকে প্রচুর। অনেকেই হয়তো অনেকদিন আগে থেকে প্ল্যান করেও টিকিট পান না কারণ টিকিটের চাহিদা সবসময়ই তুঙ্গে থাকে। ট্রেন যেহেতু খুবই সাশ্রয়ী একটি পরিবহনের মাধ্যম, তাই অনেকেই ট্রেন পথটিকেই নিজেদের প্রথম পছন্দের তালিকায় রাখেন এবং তা প্রাপ্ত অকুপেন্সি পসিশনের লিস্ট থেকেই পরিষ্কার।

আরও পড়ুনঃ ‘অলৌকিক’ সবজি! তেঁতো বলে খেতে চান না? এই ‘আনাজ’ বধ করে সব রোগের বাড়বাড়ন্ত

যেমন, কলকাতা – আগরতলা গরিব রথ এক্সপ্রেসে অকুপেন্সি পসিশন প্রায় ১৮৫% অর্থাৎ মানুষ একটি বার্থে একাধিকবার ভ্রমণ করেছেন। তেমনি কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসেও প্রায় ১৮০% অকুপেন্সি রয়েছে। আবার জম্মু তাওয়াই এক্সপ্রেস যেটি কলকাতা থেকে ছাড়ে সেটিরও অকুপেন্সি প্রায় ১৬৫% এই পুজোর ৭ দিনে। কামরূপ এক্সপ্রেস যেটি ডিব্রুগড় যায় সেটির চাহিদা তো বরাবর থাকে, এই ট্রেনটির অকুপেন্সিও প্রায় ১৬৪% অর্থাৎ একটি বার্থ একাধিকবার ব্যবহার করা হয়েছে।

তেমনি মুম্বই মেল, হাওড়া – অমৃতসর মেল যেগুলির অকুপেন্সি প্রায় ১৫০% অর্থাৎ ট্রেনের উপর মানুষের যে অগাধ ভরসা সেটা পুজোর এই ৭ দিনের পরিসংখ্যান থেকেই প্রমাণিত। অমৃতসরগামী অকালতখ্ত এক্সপ্রেসের অকুপেন্সি প্রায় ১৫০%, হাওড়া – বিকানির সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস অকুপেন্সি প্রায় ১৪৩% । এছাড়া পূর্বা এক্সপ্রেস, উপাসনা এক্সপ্রেস এগুলির অকুপেন্সি ১৪০% ।

এরপর আসা যাক মালদা – দিঘা এক্সপ্রেস, এই ট্রেনটিতেও অকুপেন্সি ১৩০% অর্থাৎ এই ট্রেনটিতেও প্রচুর মানুষ ঘুরতে গেছেন। রাধিকাপুরগামী কুলিক এক্সপ্রেস ১২১%, তিস্তা – তোর্সা এক্সপ্রেস ১২৫%, মালদা – আনন্দ বিহার যেই ট্রেনটির মাধ্যমে প্রচুর মানুষ মালদা থেকে দিল্লী যান সেটির অকুপেন্সি ১২৪% , কলকাতা – শিলঘাট কাজিরাঙা এক্সপ্রেসেও ১২২% অকুপেন্সি, রাজধানী এক্সপ্রেসে ১১৪% অকুপেন্সি , পুজোর চারদিনে দার্জিলিং মেলে অকুপেন্সি ১১৪% ।

যে ট্রেনটির কথা উল্লেখ না করলেই নয়, সেটি হল হাওড়া – নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। এই ট্রেনটিতেও অকুপেন্সি ১০৫% । শিয়ালদহ – নিউ দিল্লী দুরন্ত এক্সপ্রেসেও অকুপেন্সি প্রায় ১১০% ।

বাঙালি পুরী যাবেনা এটা তো হতে পারেনা, কলকাতা – পুরী স্পেশাল ট্রেনটির অকুপেন্সিও ১০০ শতাংশের উপরে । অর্থাৎ প্রতিবারের মতো এবারের পুজোতেও বাঙালির ভ্রমণের মাধ্যম হিসেবে প্রথম পছন্দ ট্রেন। মানুষ ট্রেনের উপরেই ভরসা রেখেছেন এবং এই পরিসংখ্যানই তার প্রমাণ ।