ছোট গোলাকার আকৃতির আমলকি ফলকে ভিটামিন সি-এর খনি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এই গাছকে আয়ুর্বেদের ‘রাজা’ও বলা হয়। বাগান ও ক্ষেতে আমলকি গাছ লাগানো যায় সহজেই। অনেক কৃষক উন্নত প্রযুক্তিতেও এর চাষ করেন।আমলকি চাষকারী অগ্রসর কৃষক কালু রাম বলেন, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে আমলকি গাছ লাগানো উচিত। এ মাসে রোপণ করা আমলকি গাছ ভাল জন্মায়। রাজস্থানের অনেক অঞ্চলে, জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি মাসে আমলকি চাষ করা হয়।কীভাবে আমলকি গাছ রোপণ আমলা চাষকারী উন্নত কৃষক কালু রাম বলেন, আমলা গাছ লাগানোর জন্য প্রথমে জায়গা নির্বাচন করার সময় জলাবদ্ধ মাটি থাকা উচিত নয়। জল জমে থাকায় গাছটি তেমন জন্মাতে পারে না। গাছ লাগানোর জন্য প্রথমে এক মিটার গভীর একটি বর্গাকার গর্ত খনন করে সূর্যের আলোতে ১৫-২০ দিন খোলা রেখে দিতে হবে।এরপর মাটিকে উর্বর করতে মাটির সঙ্গে গোবর সার মিশিয়ে গাছ লাগানো হয়। তারপর ক্রমাগত জল দিতে থাকুন, কয়েক দিন পরে, গাছ বাড়তে শুরু করবে। কীটপতঙ্গ, উইপোকা থেকে উদ্ভিদ রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় ঔষধ ব্যবহার করা যেতে পারে।আমলকির ঔষধি গুণাগুণ আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক কিষাণলাল জানিয়েছেন, ছোট ছোট গোলাকার গুচ্ছে জন্মানো আমলকি ভিটামিন সি-এর ভাণ্ডার। এতে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি উপাদান। এছাড়াও এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, ফাইবার ও কার্বোহাইড্রেট।১. দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক- আমলকি প্রধানত দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধির ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এতে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রেটিনার জন্য খুবই উপকারী। আমলকি ভিটামিন সি-এর খুব ভাল উৎস।২. ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: আমলকি শরীরে উপস্থিত ময়লা পরিষ্কার করতে এবং ওজন কমাতে খুব সহায়ক বলে মনে করা হয়। প্রতিদিন এটি খেলে শরীরে ময়লা জমে না।৩. ডায়রিয়ায় উপকারী: আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার। এর ব্যবহারে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়। হজমের সমস্যাও সেরে যায়।৪. অনেক রোগ নিরাময়ে উপকারী ফল: আমলকি ফলের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এ কারণে এটি থেকে অনেক ধরনের আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরি করা হয়, যা অনেক রোগের চিকিৎসায় উপকারী। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন)
