গাজিয়াবাদ: রান্নার জন্য পরিচারিকা রেখেছিলেন গাজিয়াবাদের একটি পরিবার। কিন্তু পরিচারিকা যে এমন কাণ্ড ঘটাবেন স্বপ্নেও ভাবেননি তাঁরা। জলের বদলে প্রস্রাব দিয়ে ময়দা মেখে রুটি করতেন তিনি। সেই রুটিই খেত গোটা পরিবার।
ক্রসিংস রিপাবলিক সোসাইটির এই ঘটনার ভিডিও এখন ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। মোবাইল ফোনে ভিডিও অন করে রান্নাঘরের এক কোণে লুকিয়ে রেখেছিলেন পরিবারের এক সদস্য। তাতেই ধরা পড়েছে পুরো ঘটনা।
নতুন পরিচারিকা কাজে যোগ দেওয়ার পর থেকেই গোটা পরিবারের পেটের সমস্যা শুরু হয়। ডাক্তার দেখান তাঁরা, ওষুধও খান। কিন্তু লাভের লাভ কিছু হয় না। তখন পরিবারের কর্তার মনে সন্দেহ হয়, খাবারে কিছু মেশানো হচ্ছে না তো! চুপিচুপি মোবাইল ফোনের ভিডিও ক্যামেরা অন করে রান্নাঘরের একটি তাকে রেখে দেন তিনি।
আরও পড়ুন: শিয়ালদহ ESI হাসপাতালে ভয়াবহ আগুন, দমবন্ধ হয়ে ১ রোগীর মৃত্যু! দাবি পরিবারের
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, প্রথমেই রান্নাঘরের দরজা ভেজিয়ে দিলেন পরিচারিকা। তারপর ফ্রিজের পাশে বাটি রেখে তাতে প্রস্রাব করলেন। তারপর সেটাই ঢেলে দিলেন ময়দায়। অভিযোগ, প্রতিদিন এভাবেই প্রস্রাব দিয়ে ময়দা মেখে রুটি করতেন তিনি।
गाजियाबाद में घरेलू नौकरानी रीना मूत्र में आटा गूंथकर बनाकर खिलाती थी रोटियां , मालिक लोग उसको घर का टॉयलेट इस्तेमाल नहीं करने देते थे ,,, #Ghaziabad #यूपी pic.twitter.com/u5PgXa6iag
— TANVIR RANGREZ (@virjust18) October 16, 2024
এই ভিডিও ভাইরাল হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন নেটিজেনরা। পরিচারিকাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের হয়। এবিপি-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওয়েভ সিটির সহকারী পুলিশ কমিশনার লিপি নাগায়াচ মামলা দায়ের হওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন। তবে জিজ্ঞাসাবাদে ওই গৃহ পরিচারিকা প্রস্রাব দিয়ে ময়দা মাখার কথা অস্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: বদলে গেল রিজার্ভেশনের নিয়ম, কতদিন আগে কাটলে কনফার্ম টিকিট মিলবে? রেলের বড় ঘোষণা
গত ৮ বছর ধরে ওই বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করছেন মহিলা। কিন্তু প্রস্রাব দিয়ে ময়দা মাখার অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে আগে কখনও ওঠেনি। কয়েক বছর আগে বাড়িতে বড়সড় চুরি হয়। সেই নিয়েও গৃহপরিচারিকাকে সন্দেহ করেননি কেউই। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে তেলেঙ্গানার ওয়ারঙ্গলের এক ফালুদা বিক্রেতার বিরুদ্ধেও একই রকম অভিযোগ উঠেছিল। ফালুদায় হস্তমৈথুন করে বীর্য মেশাতে গিয়ে ধরা পড়ে যান তিনি। পুরো ঘটনার ভিডিও করেছিলেন এক পর্যটক।
এরপরই ল এনফোর্সমেন্ট এবং ফুড সেফটি অথরিটি যৌথ অভিযান চালিয়ে কালুরাম কুরবিয়া নামের ওই ফালুদা বিক্রেতাকে গ্রেফতার করে। পাবলিক প্লেসে অশ্লীল কাজ করার অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) ধারা ২৯৪-এর আওতায় রাজস্থানের বাসিন্দা কুরবিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। গৃহপরিচারিকার বিরুদ্ধেও একই রকমের মামলা দায়ের হয়েছে। শেষ পর্যন্ত তাঁর কী হয়, এখন সেটাই দেখার।