কলকাতা: দেশে অটোমেটিক ট্রান্সমিশন (AT)-বিশিষ্ট গাড়ির চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতিরিক্ত দাম সত্ত্বেও আরামদায়ক ড্রাইভিং অভিজ্ঞতা এবং জ্বালানির ভাল কার্যকারিতার জন্য অটোমেটিক গাড়ি বা স্বয়ংক্রিয় গাড়ি বেছে নিচ্ছেন গ্রাহকরা।
এই গাড়িগুলিকে এক সময় বিলাসবহুল বলে মনে করা হত। আর দেশের মাস-মার্কেটে গাড়ি বিক্রির ক্ষেত্রে ২৬ শতাংশই অবদান ছিল এই গাড়িগুলির। তবে ২০২০ সালে এই পরিসংখ্যান ছিল মাত্র ১৬ শতাংশ।
আরও পড়ুন- KEY-BOARD এ কেন ABCD পরপর থাকে না বলুন তো? ৯৯% উত্তর দিতে কালঘাম ছুটিয়েছেন
Jato Dynamics-এর সংগ্রহ করা তথ্য থেকে এই বিষয়টা প্রকাশ্যে এসেছে। আরবান এবং মেট্রো সিটিগুলিতে ট্রাফিক বৃদ্ধি পাওয়ার দরুন মানুষ এমন গাড়ি বেছে নিচ্ছেন, যেগুলি প্রচণ্ড যানজটের মধ্যেও তা অনায়াসে দৌড়তে পারে।
এই ডেটা অনুযায়ী, দেশের শীর্ষ ২০টি শহরে বিক্রি হওয়া প্রতি তিনটি গাড়ির মধ্যে একটিতে এখন স্বয়ংক্রিয় ট্রান্সমিশন রয়েছে। যদিও ম্যানুয়াল গাড়ির তুলনায় এগুলির দাম ৬০০০০ টাকা থেকে ২ লক্ষ টাকা বেশি। তারপরও স্বয়ংক্রিয় গাড়ির ক্রমবর্ধমান চাহিদা এই ব্যবধান কমিয়ে দিচ্ছে
৮৩টি মডেলে AT অপশন:
বাজারে ক্রমশই বাড়ছে AT বিকল্পের উপস্থিতি। বর্তমানে এরকম ৮৩টি মডেল রয়েছে। যা অটোমেটিক ট্রান্সমিশনের বিকল্প প্রদান করে। Maruti Suzuki, Toyota, Tata Motors, Mahindra & Mahindra, Hyundai এবং Kia-র মতো বড় বড় গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি AT মডেলের প্রচার করছে।
আরও পড়ুন- iPhone ব্যবহার করেন? স্ক্রিনে সবুজ ও কমলা রঙের ডট – এর অর্থ কী জানেন?
Honda-র সাফল্য এবং CVT-র জনপ্রিয়তা:
Honda Motors নিজেদের গাড়িতে অ্যাডভান্সড Continuously Variable Transmission (CVT) প্রদান করে। আর Honda Motors সংস্থার মোট বিক্রয়ের ৫০ শতাংশেরও বেশি আসে স্বয়ংক্রিয় যানবাহন থেকে। Honda-র মতে, এই সংস্থার বিক্রি হওয়া ৬০ শতাংশ গাড়িই CVT ভ্যারিয়েন্টের।
তবে CVT ট্রান্সমিশন শুধুমাত্র টপ ভ্যারিয়েন্টের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এর সমস্ত মডেলের ক্ষেত্রে লোয়ার ভ্যারিয়েন্টও পাওয়া যায়। Honda লাইন-আপের মধ্যে রয়েছে Elevate, City, City e:HEV এবং Amaze-এর মতো মডেল।
এই অটোমেটিক ট্রান্সমিশন গাড়িগুলি শুধুমাত্র ফুয়েল এফিশিয়েন্ট নয়, এর পাশাপাশি সেগুলি সাশ্রয়ী AMT থেকে CVT অপশন এবং হাই-পারফরম্যান্স DCT-ও প্রদান করে।
জনপ্রিয়তা:
অটোমেটিক ট্রান্সমিশনের জনপ্রিয়তা গ্রাহকদের মধ্যে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর প্রধান কারণগুলির মধ্যে অন্যতম হল – ক্রমবর্ধমান নগরায়ণ, মানুষের আয় বৃদ্ধি ইত্যাদি। আর এই প্রবণতা আরও বাড়বে বলে আশা করছে গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি।
এখনও আমদানির উপর নির্ভরশীল: অটোমেটিক ট্রান্সমিশনের জন্য চাহিদা বাড়ছে। ভারতীয় গাড়ি নির্মাতারা এখনও বেশিরভাগ অটোমেটিক গিয়ারবক্স আমদানি করে থাকে। যার জেরে অটোমেটিক গাড়ির দামও বৃদ্ধি পাচ্ছে। আসলে গাড়ি যতক্ষণে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছচ্ছে, তখন অটোমেটিক গিয়ারবক্স-বিশিষ্ট গাড়ির দামও অনেকটাই বেড়ে যায়। যাতে এই ধরনের গাড়ি গ্রাহকদের বাজেটের নাগালের মধ্যে আসে, তাই Maruti Suzuki এবং Mahindra-র মতো সংস্থাগুলি স্থানীয় ভাবে AMT প্রোডাকশন করছে।