কলকাতা: আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ তিনি৷ তার উপরে চিকিৎসক৷ কিন্তু জেলবন্দি হয়ে কার্যত টানাটানির অবস্থা সন্দীপ ঘোষের৷ পরিস্থিতি এমনই যে আইনজীবীর পারিশ্রমিকও দিতে হিমশিম খাচ্ছে সন্দীপ ঘোষের পরিবার৷
শেষ পর্যন্ত ব্যাঙ্কে জমা থাকা ফিক্সড ডিপোজিট ভাঙিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে চান সন্দীপ ঘোষ৷ তার জন্য এবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করলেন আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ৷ হাইকোর্টে করা আবেদনে সন্দীপ ঘোষ জানিয়েছেন, তিনি জেল বন্দি থাকায় তাঁর সই পাচ্ছে না ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ৷ তাই ২০ লক্ষ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট থাকলেও তা ভাঙানো সম্ভব হচ্ছে না৷ প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন সন্দীপ ঘোষ৷
আরও পড়ুন: ধর্ষণ না আত্মহত্যা? কী হয়েছিল কৃষ্ণনগরে, ময়নাতদন্ত রিপোর্টে মিলল স্পষ্ট ইঙ্গিত
আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার পাশাপাশি আরজি কর দুর্নীতি মামলাতেও সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন সন্দীপ৷ একাধিক মামলায় জর্জরিত তিনি৷ ফলে আইনজীবীদের পারিশ্রমিক হিসেবেও মোটা টাকা গুনতে হচ্ছে তাঁকে৷ সেই টাকা জোগাড়েই এবার ফিক্সড ডিপোজিট ভাঙতে হচ্ছে সন্দীপ ঘোষকে৷ আগামিকাল, শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলাটি শুনানির জন্য উঠতে পারে৷
শুধু সিবিআই নয়, সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে ইডি-ও৷ আরজি করের মূল মামলায় সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ লোপাটের মতো গুরুতর অভিযোগ তুলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷ ফলে সব দিক দিয়েই এখন চরম বিপাকে একদা আরজি কর হাসপাতালে ছড়ি ঘোরানো সন্দীপ ঘোষ৷